বাংলাদেশ , বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল অসাম্প্রদায়িক , বাঙালি জাতীয়তাবাদে পরম ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সমগ্র বাঙালি জাতি। এদেশ বারো মাসে তের পার্বণের দেশ - ঈদ , পূজা , বৌদ্ধ পূর্ণিমা , ক্রিস্টমাস , পহেলা বৈশাখ - প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান বাঙালি পালন করে চিরন্তন ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। আর এইসব আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটা বাঙালি একে অপরের সহযাত্রী , একে অপরের প্রানের সহচর। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর , গনজাগরন মঞ্চ , আট মাস ধরে চলা রাজাকার বিরোধী আন্দোলন আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর বিপক্ষের শক্তির পার্থক্য । কে বাঙালি আর কে পাকিস্তানি এখন আমরা স্পষ্ট ভাবেই জানি । আর ভাল আর খারাপের যুদ্ধে , স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষ শক্তির যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। তাই এখন আমাদের মধ্যে নিরপেক্ষ বলে কোন পরিচয় নেই। হয় আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে , না হয় বিপক্ষে - হয় রাজাকারের ফাসি চান , না হয় চান না। কিন্তু এখানে নিরপেক্ষ বলে কোন কথা নেই।
একের পর এক উৎসব চলছে আমাদের বাঙালি জাতির । ঈদুল আজহা , দুর্গা পূজা - দুইটার আনন্দ তো চলছে একসাথেই একেবারে একাকার হয়ে মিলেমিশে বলতে গেলে। মুসলমান - হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান , উৎসবের আনন্দে যোগদানে কারো জন্য তো কোন বাধা নেই। হিন্দু বোন দেবী দুর্গাকে পূজা করে এসে মুসলমান বোনের হাতে তুলে দেবে পূজার প্রসাদ। মুসলমান বোন ঈদের দিন অনভ্যস্ত হাতে রান্না করবে হিন্দু বোনটিকে আপ্যায়ন করার জন্য । এটাই তো উৎসব , এটাই তো আনন্দ। এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , এটাই ভালোবাসা আর এর ই নাম বাঙালি জাতি । এই ভালোবাসাই আমাদের কে বাধ্য করে এক পতাকাতলে আবদ্ধ হয়ে "তুমি কে , আমি কে - বাঙালি , বাঙালি " স্লোগান তুলতে। এই ভালোবাসার টানেই রাত জেগে হিন্দু ভাই এর মন্দির পাহারা দেয় মুসলমান ভাই। কোন ধর্ম ব্যবসায়ী কাপুরুষ যাতে হিন্দু ভাইটির পূজা মণ্ডপে কোন বাধার সৃষ্টি না করতে পারে ।
ভাইয়ে - ভাইয়ে যাতে কোনোরকম বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ আর কক্ষনো না পায় ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবির সেদিকে আমাদের সর্বদা জাগ্রত দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের কষ্টে অর্জিত একটা পয়সাও যেন ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে না যায় । ধর্মের নাম করে অনেক ব্যবসা চালিয়েছে এই জামাত -শিবির , অনেক হয়েছে এইসব সহ্য করা -আর নয়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আমাদের মা। কোন সন্ত্রাসী , রাজাকার , ধর্ম ব্যবসায়ীর জায়গা এখানে হবে না। আর সেজন্য জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে জামাত -শিবিরকে বর্জন করতে হবে আমাদের । সেটা শিক্ষা হোক , চিকিৎসা হোক , ব্যাংক হোক , বানিজ্য হোক , খাদ্য হোক , বস্ত্র হোক । আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রতিটা মানুষ যদি জামাত -শিবির এবং জামাত -শিবির কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সব প্রতিষ্ঠান কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্জন করতে শুরু করি তাহলে জামাত -শিবির , যুদ্ধাপরাধী মুক্ত সোনার বাংলা গড়া খুব বেশি কঠিন কাজ নয়।
দেশের কওমি মাদ্রাসা গুলো হল এক একটা বোমা তৈরির কারখানা , জঙ্গি তৈরির কারখানা। এরা প্রথমে ধর্মের নাম করে গরিব -অসহায় মানুষ গুলোর ব্রেইন ওয়াশ করে , এরপর জিহাদের নাম করে এদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এদের জঙ্গি করে গড়ে তোলে । কিন্তু এরা ভাবে না - নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কিসের জিহাদের ঘোষণা দেয় এরা ? সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে , দেশপ্রেমিক জনসাধারনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিসের যুদ্ধ ? জিহাদ ইসলামের একটা অন্যতম স্তম্ভ , কিন্তু সেই জিহাদ কেই এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা ইসলামকে অবমাননার কাজে ব্যবহার করছে। ইসলাম কি বলেছে যারা দেশদ্রোহী অপশক্তি রাজাকারের ফাসি চাইবে , ধর্ম ব্যবসা নিষিদ্ধ চাইবে , জিহাদের নামে তাদের উপর আক্রমন কর? কখনো বলেনি । আর কিসের আদর্শের কথা বলে এই জঙ্গিরা যখন এরা নিজেদের সন্তান দের কেই এসব থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখে ? এরা নিজেরাও জানে এরা যা করছে তা ভয়াবহ অপরাধ , কখনই সঠিক পথ নয় - আর সেজন্যই তো অসহায় শিশুদের ধরে এনে নিজেদের কাছে রেখে জঙ্গি বানায় , দেশের সাধারন মানুষের উপর , মুক্তিকামী সাধারন জনতার উপর অস্ত্র চালায় ।
আসুন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্জন করি এই জঙ্গি দের। এটা আমাদের অঙ্গীকার , এটা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের অঙ্গীকার , এটা গনজাগরন মঞ্চের অঙ্গীকার । এ অঙ্গীকারের কথা আমরা যেন কক্ষনো না ভুলি। মুসলমান বন্ধুদের , সহযোদ্ধাদের প্রতি অনুরধ থাকবে , আপনার কুরবানির পশুর চামড়া গরীব -দুঃখী- অসহায় মানুষ , আত্মীয় -স্বজন কে দান করুন , কোন জঙ্গি তৈরির কারখানা কওমি মাদ্রাসায় না । আপনি নিশ্চয় চান না আপনার কুরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার হোক আপনার কিংবা আপনার ভাই - বোনের প্রান বিধ্বংসী বোমা তৈরির কাজে। আসুন এই ঈদে বর্জন করি ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত -শিবির কে , জঙ্গি তৈরির কারখানাকে । আপনার কুরবানির পশুর চামড়া গরীব - দুঃখী অসহায় মানুষের হক , জঙ্গি তৈরির কারখানায় দান করে তাদের এই হক নষ্ট করবেন না। আর এইসব জামাত -শিবির কে আমরা যদি বর্জন করতে শুরু করি , আস্তে আস্তে দেশের প্রত্যেকটা মা - বাবা একদিন সচেতন হবেন , নিজের সন্তান কে কখনও কওমি মাদ্রাসায় পাঠাবেন না , জঙ্গি বানাবেন না। এই সুদিন আসবেই , শুধু দরকার একটু সচেতনতা। আমাদের থেকেই হোক না সেই সচেতনতার শুরু।
ঈদ মোবারক এবং শারদীয় শুভেচ্ছা সবাইকে ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় শাহবাগ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
একের পর এক উৎসব চলছে আমাদের বাঙালি জাতির । ঈদুল আজহা , দুর্গা পূজা - দুইটার আনন্দ তো চলছে একসাথেই একেবারে একাকার হয়ে মিলেমিশে বলতে গেলে। মুসলমান - হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান , উৎসবের আনন্দে যোগদানে কারো জন্য তো কোন বাধা নেই। হিন্দু বোন দেবী দুর্গাকে পূজা করে এসে মুসলমান বোনের হাতে তুলে দেবে পূজার প্রসাদ। মুসলমান বোন ঈদের দিন অনভ্যস্ত হাতে রান্না করবে হিন্দু বোনটিকে আপ্যায়ন করার জন্য । এটাই তো উৎসব , এটাই তো আনন্দ। এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , এটাই ভালোবাসা আর এর ই নাম বাঙালি জাতি । এই ভালোবাসাই আমাদের কে বাধ্য করে এক পতাকাতলে আবদ্ধ হয়ে "তুমি কে , আমি কে - বাঙালি , বাঙালি " স্লোগান তুলতে। এই ভালোবাসার টানেই রাত জেগে হিন্দু ভাই এর মন্দির পাহারা দেয় মুসলমান ভাই। কোন ধর্ম ব্যবসায়ী কাপুরুষ যাতে হিন্দু ভাইটির পূজা মণ্ডপে কোন বাধার সৃষ্টি না করতে পারে ।
ভাইয়ে - ভাইয়ে যাতে কোনোরকম বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ আর কক্ষনো না পায় ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবির সেদিকে আমাদের সর্বদা জাগ্রত দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের কষ্টে অর্জিত একটা পয়সাও যেন ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে না যায় । ধর্মের নাম করে অনেক ব্যবসা চালিয়েছে এই জামাত -শিবির , অনেক হয়েছে এইসব সহ্য করা -আর নয়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আমাদের মা। কোন সন্ত্রাসী , রাজাকার , ধর্ম ব্যবসায়ীর জায়গা এখানে হবে না। আর সেজন্য জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে জামাত -শিবিরকে বর্জন করতে হবে আমাদের । সেটা শিক্ষা হোক , চিকিৎসা হোক , ব্যাংক হোক , বানিজ্য হোক , খাদ্য হোক , বস্ত্র হোক । আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রতিটা মানুষ যদি জামাত -শিবির এবং জামাত -শিবির কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সব প্রতিষ্ঠান কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্জন করতে শুরু করি তাহলে জামাত -শিবির , যুদ্ধাপরাধী মুক্ত সোনার বাংলা গড়া খুব বেশি কঠিন কাজ নয়।
দেশের কওমি মাদ্রাসা গুলো হল এক একটা বোমা তৈরির কারখানা , জঙ্গি তৈরির কারখানা। এরা প্রথমে ধর্মের নাম করে গরিব -অসহায় মানুষ গুলোর ব্রেইন ওয়াশ করে , এরপর জিহাদের নাম করে এদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এদের জঙ্গি করে গড়ে তোলে । কিন্তু এরা ভাবে না - নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কিসের জিহাদের ঘোষণা দেয় এরা ? সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে , দেশপ্রেমিক জনসাধারনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিসের যুদ্ধ ? জিহাদ ইসলামের একটা অন্যতম স্তম্ভ , কিন্তু সেই জিহাদ কেই এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা ইসলামকে অবমাননার কাজে ব্যবহার করছে। ইসলাম কি বলেছে যারা দেশদ্রোহী অপশক্তি রাজাকারের ফাসি চাইবে , ধর্ম ব্যবসা নিষিদ্ধ চাইবে , জিহাদের নামে তাদের উপর আক্রমন কর? কখনো বলেনি । আর কিসের আদর্শের কথা বলে এই জঙ্গিরা যখন এরা নিজেদের সন্তান দের কেই এসব থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখে ? এরা নিজেরাও জানে এরা যা করছে তা ভয়াবহ অপরাধ , কখনই সঠিক পথ নয় - আর সেজন্যই তো অসহায় শিশুদের ধরে এনে নিজেদের কাছে রেখে জঙ্গি বানায় , দেশের সাধারন মানুষের উপর , মুক্তিকামী সাধারন জনতার উপর অস্ত্র চালায় ।
আসুন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্জন করি এই জঙ্গি দের। এটা আমাদের অঙ্গীকার , এটা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের অঙ্গীকার , এটা গনজাগরন মঞ্চের অঙ্গীকার । এ অঙ্গীকারের কথা আমরা যেন কক্ষনো না ভুলি। মুসলমান বন্ধুদের , সহযোদ্ধাদের প্রতি অনুরধ থাকবে , আপনার কুরবানির পশুর চামড়া গরীব -দুঃখী- অসহায় মানুষ , আত্মীয় -স্বজন কে দান করুন , কোন জঙ্গি তৈরির কারখানা কওমি মাদ্রাসায় না । আপনি নিশ্চয় চান না আপনার কুরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার হোক আপনার কিংবা আপনার ভাই - বোনের প্রান বিধ্বংসী বোমা তৈরির কাজে। আসুন এই ঈদে বর্জন করি ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত -শিবির কে , জঙ্গি তৈরির কারখানাকে । আপনার কুরবানির পশুর চামড়া গরীব - দুঃখী অসহায় মানুষের হক , জঙ্গি তৈরির কারখানায় দান করে তাদের এই হক নষ্ট করবেন না। আর এইসব জামাত -শিবির কে আমরা যদি বর্জন করতে শুরু করি , আস্তে আস্তে দেশের প্রত্যেকটা মা - বাবা একদিন সচেতন হবেন , নিজের সন্তান কে কখনও কওমি মাদ্রাসায় পাঠাবেন না , জঙ্গি বানাবেন না। এই সুদিন আসবেই , শুধু দরকার একটু সচেতনতা। আমাদের থেকেই হোক না সেই সচেতনতার শুরু।
ঈদ মোবারক এবং শারদীয় শুভেচ্ছা সবাইকে ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় শাহবাগ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন