বাঙালি সংগ্রামী জাতি , বাংলাদেশের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস , রক্তের ইতিহাস। তাই যুগে
যুগে বাংলা মা এর দামাল সন্তানেরা জীবন মায়া তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পরে দেশ মা কে মুক্ত করার সংগ্রামে। বায়ান্ন , বাষট্টি , উনসত্তর, একাত্তরের পর এখন ২০১৩ সাল। এখন যৌবন যার , মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় - এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে আবারও বাংলার মাটিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে - আবারও জীবন বাজি রেখে দেশ মা এর জন্য রাজপথে নেমে এসেছে একদল তরুন - তরুণী। প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই এক ই - বায়ান্ন , বাষট্টি , ছেষট্টি উনসত্তর , একাত্তরের সেই পরাজিত প্রতিপক্ষ।
একদল মানুষ যখন ঘরে বসে ছুটির দিনে টেলিভিশন দেখছেন পরিবার -পরিজন নিয়ে , তখন একদল তরুন প্রবল ক্রোধে - আক্রোশে - বিপ্লবের বহ্নিশিখা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে রাজাকারের ফাসির দাবিতে । কেউ যখন বিভিন্ন রকম অপারগতার দোহাই দিয়ে , অফিস -আদালত -স্কুল -কলেজ -পরিবারে বাধার দোহাই দিয়ে শাহবাগের সহযাত্রী হওয়া থেকে দূরে থাকতে চাইছেন , কোন কিশোরী তখন হুইলচেয়ারে বসে শাহবাগ ছুটে আসছে , কোন তরুন তখন খালি হাতে রাস্তায় নেমে পরছে , যে করেই হোক তাকে যে শাহবাগ পৌঁছাতেই হবে।
বিভিন্ন রকম মত -পার্থক্য দেখে কিংবা একের পর এক আন্দোলনকারীর উপর হামলা দেখে কেউ কেউ যখন নিরপেক্ষতার পথ খুঁজছেন , আমরা তখন শাহবাগের মাটি আঁকড়ে ধরে থেকে রাজাকারের ফাসির দাবি জানিয়ে যাচ্ছি । আমরা জানি আমরা ভুল করি নি , পথ ভুলি নি। আমরা জানি আমরা কোন অন্যায় দাবি জানাই নি , এই দাবির জন্য যদি শাহবাগের একের পর এক যোদ্ধার উপর আক্রমন হতে থাকে
তাহলে সেটা আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারবে না , বরং আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠবে ।
শাহবাগে সব দল- মতের মানুষ একসাথে আন্দোলন করি আমরা , গনজাগরন মঞ্চ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার এক হওয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম। আমরা যারা সব দল -মতের ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি , রাজাকারের ফাসি চাই - তাদের সবার কাছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর হল আমাদের প্রাণের দাবি জানানোর তীর্থস্থান । আমার প্রথম ভালোবাসার নাম শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর , এই সেই ভালোবাসা - যার সাথে জন্ম -জন্মান্তরের আত্মার বন্ধন রচিত হয়ে গেছে। যেই ভালোবাসার টানে প্রিয় বান্ধবী , বাবা - সবার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যায় , কলেজের শাস্তি মেনে নেয়া যায় , প্রতি মুহূর্তে নিজ অন্তরে প্রজন্ম চত্বর কে জাগিয়ে রাখা যায়।
শাহবাগ আমাকে কি দিয়েছে জানতে চাও ? শাহবাগ আমাকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের তেজে জ্বলে উঠতে শিখিয়েছে দাবি আদায়ের পথে। শাহবাগ আমাকে বিদ্রোহী কবির বাণীর মত বিদ্রোহী ভাষা শিখিয়েছে । শাহবাগ আমাকে মানুষের তরে রক্ত দিতে শিখিয়েছে । শাহবাগে আমাকে দাবি আদায়ের পথে রাস্তায় ঘুমাতে , প্রেসক্লাবের সামনে রাতভোর হাঁটতে শিখিয়েছে । বন্ধু আর দেশ এর মধ্যে বন্ধুকে দূরে ছুঁড়ে দিয়ে দেশ কে আপন করে নিতে আমায় শিখিয়েছে শাহবাগ । বাবার বাধার মুখে কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমায় শিখিয়েছে শাহবাগ।
শাহবাগ আমাদেরকে অনেকগুলো রাজাকারের ফাসির রায় এনে দিয়েছে , স্বাধীনতার পর বিয়াল্লিশ বছরে যা সম্ভব হয়নি তাকে সম্ভব করে তুলেছে শাহবাগ - কিন্তু শাহবাগের মূল সার্থকতা হল একাত্তরের চেতনা বহন করে এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তোলা। রাজাকারদের ফাসি কার্যকরের সামর্থ্য আমাদের সাধারন জনতার হাতে নেই , কিন্তু রাজাকারদের তীব্রভাবে , অন্তর থেকে ঘৃণা করার সামর্থ্য আমাদের আছে , আর সেই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। শাহবাগে যখন স্লোগান ওঠে , "শহীদজননীর বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই - বঙ্গবন্ধুর বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই - আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাসি চাই" -বাংলার মানুষের হাতে রাজাকার -জামাত -শিবিরের পরাজয় ঘণ্টা তখনই বেজে যায়।
এখন সময় এই চেতনাকে লালন করার , যুগ - যুগান্তর ধরে একাত্তরের চেতনা , শাহবাগের চেতনা , প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার। সেই লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আসুন আজকে জয় বাংলা বলে আমাদের প্রিয় জাতীয় পতাকাটাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরি। লাল -সবুজ পতাকাটাকে সাক্ষী রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহন করার এবং জামাত -শিবির -যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার শপথ নেই। পড়াশুনা - খেলাধুলা - ব্যাক্তিগত - সামাজিক জীবনে বর্জন করি জামাত -শিবির - যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সমর্থক দের। প্রিয় পতাকাটার দিকে একবার তাকান , বাংলা মা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে । পারবেন না বাংলা মা এর কাছে দেয়া কথা রাখতে ? পারবেন না শাহবাগে করা আমাদের প্রতিজ্ঞাকে নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে ? আমাদের এক একটা শপথ , এক একটা স্লোগান - বাংলার মাটিতে রাজাকারদের এক একটা পরাজয় ঘণ্টা ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
যুগে বাংলা মা এর দামাল সন্তানেরা জীবন মায়া তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পরে দেশ মা কে মুক্ত করার সংগ্রামে। বায়ান্ন , বাষট্টি , উনসত্তর, একাত্তরের পর এখন ২০১৩ সাল। এখন যৌবন যার , মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় - এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে আবারও বাংলার মাটিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে - আবারও জীবন বাজি রেখে দেশ মা এর জন্য রাজপথে নেমে এসেছে একদল তরুন - তরুণী। প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই এক ই - বায়ান্ন , বাষট্টি , ছেষট্টি উনসত্তর , একাত্তরের সেই পরাজিত প্রতিপক্ষ।
একদল মানুষ যখন ঘরে বসে ছুটির দিনে টেলিভিশন দেখছেন পরিবার -পরিজন নিয়ে , তখন একদল তরুন প্রবল ক্রোধে - আক্রোশে - বিপ্লবের বহ্নিশিখা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে রাজাকারের ফাসির দাবিতে । কেউ যখন বিভিন্ন রকম অপারগতার দোহাই দিয়ে , অফিস -আদালত -স্কুল -কলেজ -পরিবারে বাধার দোহাই দিয়ে শাহবাগের সহযাত্রী হওয়া থেকে দূরে থাকতে চাইছেন , কোন কিশোরী তখন হুইলচেয়ারে বসে শাহবাগ ছুটে আসছে , কোন তরুন তখন খালি হাতে রাস্তায় নেমে পরছে , যে করেই হোক তাকে যে শাহবাগ পৌঁছাতেই হবে।
বিভিন্ন রকম মত -পার্থক্য দেখে কিংবা একের পর এক আন্দোলনকারীর উপর হামলা দেখে কেউ কেউ যখন নিরপেক্ষতার পথ খুঁজছেন , আমরা তখন শাহবাগের মাটি আঁকড়ে ধরে থেকে রাজাকারের ফাসির দাবি জানিয়ে যাচ্ছি । আমরা জানি আমরা ভুল করি নি , পথ ভুলি নি। আমরা জানি আমরা কোন অন্যায় দাবি জানাই নি , এই দাবির জন্য যদি শাহবাগের একের পর এক যোদ্ধার উপর আক্রমন হতে থাকে
তাহলে সেটা আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারবে না , বরং আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠবে ।
শাহবাগে সব দল- মতের মানুষ একসাথে আন্দোলন করি আমরা , গনজাগরন মঞ্চ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার এক হওয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম। আমরা যারা সব দল -মতের ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি , রাজাকারের ফাসি চাই - তাদের সবার কাছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর হল আমাদের প্রাণের দাবি জানানোর তীর্থস্থান । আমার প্রথম ভালোবাসার নাম শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর , এই সেই ভালোবাসা - যার সাথে জন্ম -জন্মান্তরের আত্মার বন্ধন রচিত হয়ে গেছে। যেই ভালোবাসার টানে প্রিয় বান্ধবী , বাবা - সবার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যায় , কলেজের শাস্তি মেনে নেয়া যায় , প্রতি মুহূর্তে নিজ অন্তরে প্রজন্ম চত্বর কে জাগিয়ে রাখা যায়।
শাহবাগ আমাকে কি দিয়েছে জানতে চাও ? শাহবাগ আমাকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের তেজে জ্বলে উঠতে শিখিয়েছে দাবি আদায়ের পথে। শাহবাগ আমাকে বিদ্রোহী কবির বাণীর মত বিদ্রোহী ভাষা শিখিয়েছে । শাহবাগ আমাকে মানুষের তরে রক্ত দিতে শিখিয়েছে । শাহবাগে আমাকে দাবি আদায়ের পথে রাস্তায় ঘুমাতে , প্রেসক্লাবের সামনে রাতভোর হাঁটতে শিখিয়েছে । বন্ধু আর দেশ এর মধ্যে বন্ধুকে দূরে ছুঁড়ে দিয়ে দেশ কে আপন করে নিতে আমায় শিখিয়েছে শাহবাগ । বাবার বাধার মুখে কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমায় শিখিয়েছে শাহবাগ।
শাহবাগ আমাদেরকে অনেকগুলো রাজাকারের ফাসির রায় এনে দিয়েছে , স্বাধীনতার পর বিয়াল্লিশ বছরে যা সম্ভব হয়নি তাকে সম্ভব করে তুলেছে শাহবাগ - কিন্তু শাহবাগের মূল সার্থকতা হল একাত্তরের চেতনা বহন করে এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তোলা। রাজাকারদের ফাসি কার্যকরের সামর্থ্য আমাদের সাধারন জনতার হাতে নেই , কিন্তু রাজাকারদের তীব্রভাবে , অন্তর থেকে ঘৃণা করার সামর্থ্য আমাদের আছে , আর সেই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। শাহবাগে যখন স্লোগান ওঠে , "শহীদজননীর বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই - বঙ্গবন্ধুর বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই - আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাসি চাই" -বাংলার মানুষের হাতে রাজাকার -জামাত -শিবিরের পরাজয় ঘণ্টা তখনই বেজে যায়।
এখন সময় এই চেতনাকে লালন করার , যুগ - যুগান্তর ধরে একাত্তরের চেতনা , শাহবাগের চেতনা , প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার। সেই লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আসুন আজকে জয় বাংলা বলে আমাদের প্রিয় জাতীয় পতাকাটাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরি। লাল -সবুজ পতাকাটাকে সাক্ষী রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহন করার এবং জামাত -শিবির -যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার শপথ নেই। পড়াশুনা - খেলাধুলা - ব্যাক্তিগত - সামাজিক জীবনে বর্জন করি জামাত -শিবির - যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সমর্থক দের। প্রিয় পতাকাটার দিকে একবার তাকান , বাংলা মা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে । পারবেন না বাংলা মা এর কাছে দেয়া কথা রাখতে ? পারবেন না শাহবাগে করা আমাদের প্রতিজ্ঞাকে নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে ? আমাদের এক একটা শপথ , এক একটা স্লোগান - বাংলার মাটিতে রাজাকারদের এক একটা পরাজয় ঘণ্টা ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন