সকাল ৯ টা থেকে প্রজন্ম চত্বরে রাজাকার আব্দুল আলীমের ফাঁসির দাবিতে অবস্থান । আটটার একটু পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম প্রজন্ম চত্বরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সমস্যা হল কিছুদূর যাওয়ার পর এতটা অসুস্থ লাগতে শুরু করল যে আর হাঁটতে পারছিলাম না । এরপরও কোনোরকমে গিয়ে পৌঁছালাম প্রজন্ম চত্বরে - মা সাথে ছিলেন । কিন্তু বেশিক্ষন থাকা সম্ভব হল না , বাসায় ফিরে আসতেই হল রায় দেয়ার আগেই । কারণ , কলেজ আজকে্র পর বন্ধ হয়ে যাবে... ঈদ -পূজা উপলক্ষ্যে - কলেজে আজকে না গেলে পরে অনেক সমস্যা হবে ব্যাবহারিক খাতা নিয়ে । মনটা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেল । কলেজে গেলাম , ক্লাসে তো মন দিতেই পারছি না - রায় কি হল জানার জন্য সারাদিন অস্থির হয়ে ছিলাম । এর মধ্যে আবার এক সময়ের বেষ্ট ফ্রেন্ড এসে শুরু করল ঝগড়া , বঙ্গবন্ধুকে অপমান করে কথা না বললে তার হয় না ।
অনেক কষ্টে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার অমূলক প্রশ্নের উত্তর দিলাম কতক্ষন , এরপর তর্কে না পেরে রাগারাগি করে চলে গেল । মেজাজ গেল আরও খারাপ হয়ে । সারাদিনের অস্থিরতার পর বাসায় এসে দেখি এই অবস্থা - ৫৮৫ টা খুনের আসামি আব্দুল আলিমের ফাসির রায় হয়নি , হয়েছে যাবজ্জীবন । একে তো প্রজন্ম চত্বরে ঠিকমত থাকতে পারলাম না , এর উপর কলেজে গিয়ে বঙ্গবন্ধু নিয়ে উল্টা পাল্টা কথার উত্তর দিতে দিতে জান শেষ ,দিনশেষে শুনি ফাসির রায় হয়নি ।
বিচারক কি খালি হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল আলিম রাজাকার কেই দেখলেন ? ৫৮৫ টা খুনের খুনিকে দেখলেন না ? ৫৮৫ জন শহীদের আর্তনাদ কি বিচারকের কানে পৌঁছাল না ? বয়স বিবেচনা ব্যাপার টা বার বার আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে। বার্ধক্য কি অপরাধ কে মুছে দেয় ? খুন কে মুছে দেয় ? গোলাম আজমের কাহিনী হল আবার এই আব্দুল আলিমের ক্ষেত্রেও । তবে এখন ক্ষতের উপর ছোট্ট একটা সান্তনার প্রলেপ আছে - গনজাগরনের সেই অর্জন , রাষ্ট্র পক্ষের আপিলের সুযোগ। আপিল হোক , কসাই এর ক্ষেত্রে তো আপিল বিভাগ থেকে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি , গোলাম আজম আর আব্দুল আলিমের ক্ষেত্রেও যেন পাই , এই আশাই থাকবে ।
সত্যি খুব খারাপ লাগছে , একবার মনে হচ্ছে আমরা কি হেরে গেলাম ? কিন্তু না , আমরা তো হারি নি , কসাই , সাইদি , কামরুজ্জামান , মুজাহিদ দের তো ফাসির রায় ই হয়েছে । আব্দুল আলিমের রায়টা আমাদের বিজয়ের পথে সাময়িক বাধা মাত্র । যদিও অনেক কষ্ট হচ্ছে , কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি এই বলে যে , আমাদের অর্জন দিয়েই এই বাধা আমরা মোকাবেলা করব । আপিল বিভাগের রায়ে আব্দুল আলিম ,গোলাম আজম সবার ফাসি হতেই হবে । তা না হলে যে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে , ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনার সামনে কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না আমরা । আমরা এই অপমানের অবসান চাই , ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা চাই । রাষ্ট্র পক্ষকে দ্রুত আপিল করার দাবি জানিয়ে গনজাগরন মঞ্চের আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রয়েছে মশাল মিছিল । আমাদের জাগরন পরাজিত করুক স্বাধীনতা বিরোধী সব অপশক্তিকে । আজকে হোক , কালকে হোক , আগে হোক , পরে হোক - ফাসি ই হোক সব রাজাকারের একমাত্র শাস্তি ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
অনেক কষ্টে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার অমূলক প্রশ্নের উত্তর দিলাম কতক্ষন , এরপর তর্কে না পেরে রাগারাগি করে চলে গেল । মেজাজ গেল আরও খারাপ হয়ে । সারাদিনের অস্থিরতার পর বাসায় এসে দেখি এই অবস্থা - ৫৮৫ টা খুনের আসামি আব্দুল আলিমের ফাসির রায় হয়নি , হয়েছে যাবজ্জীবন । একে তো প্রজন্ম চত্বরে ঠিকমত থাকতে পারলাম না , এর উপর কলেজে গিয়ে বঙ্গবন্ধু নিয়ে উল্টা পাল্টা কথার উত্তর দিতে দিতে জান শেষ ,দিনশেষে শুনি ফাসির রায় হয়নি ।
বিচারক কি খালি হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল আলিম রাজাকার কেই দেখলেন ? ৫৮৫ টা খুনের খুনিকে দেখলেন না ? ৫৮৫ জন শহীদের আর্তনাদ কি বিচারকের কানে পৌঁছাল না ? বয়স বিবেচনা ব্যাপার টা বার বার আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে। বার্ধক্য কি অপরাধ কে মুছে দেয় ? খুন কে মুছে দেয় ? গোলাম আজমের কাহিনী হল আবার এই আব্দুল আলিমের ক্ষেত্রেও । তবে এখন ক্ষতের উপর ছোট্ট একটা সান্তনার প্রলেপ আছে - গনজাগরনের সেই অর্জন , রাষ্ট্র পক্ষের আপিলের সুযোগ। আপিল হোক , কসাই এর ক্ষেত্রে তো আপিল বিভাগ থেকে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি , গোলাম আজম আর আব্দুল আলিমের ক্ষেত্রেও যেন পাই , এই আশাই থাকবে ।
সত্যি খুব খারাপ লাগছে , একবার মনে হচ্ছে আমরা কি হেরে গেলাম ? কিন্তু না , আমরা তো হারি নি , কসাই , সাইদি , কামরুজ্জামান , মুজাহিদ দের তো ফাসির রায় ই হয়েছে । আব্দুল আলিমের রায়টা আমাদের বিজয়ের পথে সাময়িক বাধা মাত্র । যদিও অনেক কষ্ট হচ্ছে , কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি এই বলে যে , আমাদের অর্জন দিয়েই এই বাধা আমরা মোকাবেলা করব । আপিল বিভাগের রায়ে আব্দুল আলিম ,গোলাম আজম সবার ফাসি হতেই হবে । তা না হলে যে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে , ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনার সামনে কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না আমরা । আমরা এই অপমানের অবসান চাই , ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা চাই । রাষ্ট্র পক্ষকে দ্রুত আপিল করার দাবি জানিয়ে গনজাগরন মঞ্চের আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রয়েছে মশাল মিছিল । আমাদের জাগরন পরাজিত করুক স্বাধীনতা বিরোধী সব অপশক্তিকে । আজকে হোক , কালকে হোক , আগে হোক , পরে হোক - ফাসি ই হোক সব রাজাকারের একমাত্র শাস্তি ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন