পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে আপন মানুষ টা কে ? এই প্রশ্নের উত্তর এক মুহূর্তও ভাবতে হবে না কোনদিন - এই মানুষটি আমার মা । আজকে রাজাকার আব্দুল আলিমের ফাসির দাবিতে এবং ছয় দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলে যাব বলে ঘর থেকে বের হয়েছি , রাস্তা দিয়ে মা এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে শাহবাগ যাচ্ছি , হটাত লক্ষ্য করলাম - যখন শাহবাগের প্রশ্ন আসে , তখন আমার মা শুধুই আমার মা থাকেন না , হয়ে ওঠেন শাহবাগের একজন যো...দ্ধা । প্রজন্ম চত্বরে যাওয়া , লেখালেখি করা রাজাকারদের বিরুদ্ধে সব ব্যাপারে মা এর সমর্থন টুকু যদি না থাকত , অনেক কিছুই করা সম্ভব হত না আমার পক্ষে ।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি , মা তো কোনোদিন আমার সাথে পড়াশুনা , কলেজ , ঘরোয়া ব্যাপার এইসবের বাইরে আলাপ করতেন না আগে। এখন মা ই আমাকে ডেকে নিয়ে দেশ নিয়ে আলোচনা করেন যখন -তখন । আমার বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস পাই আমার মা এর কাছ থেকে , এ ব্যপারে সাহায্য ও পাই সেই এক ই জায়গা থেকে - মা এর কাছ থেকে । মা কে কতবার কত মানুষ বলেছে , মেয়েকে শাহবাগে যেতে দিয়েন না ইত্যাদি , কলেজ থেকেও মা কে অনেকবার বলা হয়েছে এই কথা । কিন্তু মা কক্ষনো আমাকে বাধা দেয়নি শাহবাগে যেতে । বরং বলেছেন ," সন্তান কোন ভুল করলে তাকে ঠিক পথে আনা আমার দায়িত্ব , সন্তান ঠিক পথে থাকলে তাকে আমি কেন বাধা দেব ? "
আমার লক্ষ্মী মামনি টা শাহবাগে মিছিল করার সময় হয়ে যায় আমার একজন সহযোদ্ধা , আমার সবচেয়ে প্রিয় সহযোদ্ধা । মা একবার বলেছিলেন , "১৯৯০ সালে আমি তোর সমান ছিলাম , আন্দোলন হচ্ছিল স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে - কিন্তু তুই এই বয়সে যতটা বুঝিস আমি তখন ততটা বুঝতাম না । তাই আন্দোলনে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আর এক ভুল করছি না । রাজাকারের ফাসির আন্দোলন থেকে পিছিয়ে থাকতে পারব না । " শাহবাগে প্রতিবার মিছিল করার সময় আমার মা থাকেন আমার জন্য একটা শক্তি হয়ে । আমার অসুস্থতার মধ্যে একবারও আমাকে শাহবাগে যেতে বাধা দেননি মা - সে যত কষ্ট করেই যেতে হোক না কেন।
শাহবাগের কাছে , গনজাগরন মঞ্চের ডাকের কাছে সব কষ্ট , সব বাধা অনেক তুচ্ছ । আর তাই বার বার শাহবাগে ছুটে যাই প্রানের দাবি জানাতে। দেশের একেবারে সাধারন মানুষ , জীবনে মীটিং - মিছিল কাকে বলে তা জানতোই না এমন সাধারন মানুষ দের কে যে শাহবাগ আন্দোলন রাজপথে নামিয়ে আনতে পেরেছে , তাদের কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনি তুলে দিতে পেরেছে সেই শাহবাগ আন্দোলন কখনও বৃথা যেতে পারেনা। এই জাগরন টাই তো রাজাকার -জামাত -শিবিরের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয় । যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের জয় বাংলা ধ্বনিতে সদর্প বিজয় ঘোষণা ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি , মা তো কোনোদিন আমার সাথে পড়াশুনা , কলেজ , ঘরোয়া ব্যাপার এইসবের বাইরে আলাপ করতেন না আগে। এখন মা ই আমাকে ডেকে নিয়ে দেশ নিয়ে আলোচনা করেন যখন -তখন । আমার বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস পাই আমার মা এর কাছ থেকে , এ ব্যপারে সাহায্য ও পাই সেই এক ই জায়গা থেকে - মা এর কাছ থেকে । মা কে কতবার কত মানুষ বলেছে , মেয়েকে শাহবাগে যেতে দিয়েন না ইত্যাদি , কলেজ থেকেও মা কে অনেকবার বলা হয়েছে এই কথা । কিন্তু মা কক্ষনো আমাকে বাধা দেয়নি শাহবাগে যেতে । বরং বলেছেন ," সন্তান কোন ভুল করলে তাকে ঠিক পথে আনা আমার দায়িত্ব , সন্তান ঠিক পথে থাকলে তাকে আমি কেন বাধা দেব ? "
আমার লক্ষ্মী মামনি টা শাহবাগে মিছিল করার সময় হয়ে যায় আমার একজন সহযোদ্ধা , আমার সবচেয়ে প্রিয় সহযোদ্ধা । মা একবার বলেছিলেন , "১৯৯০ সালে আমি তোর সমান ছিলাম , আন্দোলন হচ্ছিল স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে - কিন্তু তুই এই বয়সে যতটা বুঝিস আমি তখন ততটা বুঝতাম না । তাই আন্দোলনে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আর এক ভুল করছি না । রাজাকারের ফাসির আন্দোলন থেকে পিছিয়ে থাকতে পারব না । " শাহবাগে প্রতিবার মিছিল করার সময় আমার মা থাকেন আমার জন্য একটা শক্তি হয়ে । আমার অসুস্থতার মধ্যে একবারও আমাকে শাহবাগে যেতে বাধা দেননি মা - সে যত কষ্ট করেই যেতে হোক না কেন।
শাহবাগের কাছে , গনজাগরন মঞ্চের ডাকের কাছে সব কষ্ট , সব বাধা অনেক তুচ্ছ । আর তাই বার বার শাহবাগে ছুটে যাই প্রানের দাবি জানাতে। দেশের একেবারে সাধারন মানুষ , জীবনে মীটিং - মিছিল কাকে বলে তা জানতোই না এমন সাধারন মানুষ দের কে যে শাহবাগ আন্দোলন রাজপথে নামিয়ে আনতে পেরেছে , তাদের কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনি তুলে দিতে পেরেছে সেই শাহবাগ আন্দোলন কখনও বৃথা যেতে পারেনা। এই জাগরন টাই তো রাজাকার -জামাত -শিবিরের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয় । যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের জয় বাংলা ধ্বনিতে সদর্প বিজয় ঘোষণা ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন