রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার - রাজাকারের ফাসি হোক , শহীদরা পাক ন্যায়বিচার

বাহ , শুরু হয়ে গেছে তাইলে ? সকালে ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে শুনলাম বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ। গতকাল একাত্তর টেলিভিশনের অফিস , দেশ টিভির অফিস , এয়ারপোর্ট রেলওয়ে ষ্টেশন লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ - তিন বছরের শিশুর মৃত্যু , একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক আহত - এই খবর গুলো শোনার পর মা কে বলেছিলাম যে হরতাল শুরুর আগেই এই অবস্থা - হরতাল শুরু করলে না জানি কি হবে । কি হবে তা তো সকালেই টের পেলাম - ভাগ্যিস কোন মানু...ষ মারা যায়নি চোখের সামনে - সহ্য করতে পারতাম না। ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি , দেখি অনেকগুলো ছেলে একসাথে কি যেন করছে রাস্তায়। ভাল করে দেখার জন্য সামনে আসলাম - ছেলেগুলো দৌড় দিল আর সাথে সাথে দুইটা ককটেল ফাটল পর পর। বলি শিবিরের সন্ত্রাসীরা , বাসার সামনে ককটেল মেরে শো - অফ করে বুঝি শাহবাগের একজন আন্দোলনকারীকে ভয় দেখানো যায় ?

আচ্ছা , দেশের সাধারন মানুষকে জিম্মি করে কিসের আন্দোলন করার কথা বলে এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ? একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক কিংবা স্বাধীনতার পক্ষের আরও সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলা করে এরা তো বারবার নিজেদের চরিত্রের ই প্রমান দিচ্ছে যে এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভালোবাসে না। কিন্তু তিন বছরের বাচ্চাটা এদের কাছে কি অপরাধ করেছিল ? নাকি দেশ এতই ডিজিটাল হয়ে গেছে যে তিন বছরের শিশু ও অনলাইন এক্টিভিস্ট ছিল? আর স্বাধীনতার পক্ষের অনলাইন এক্টিভিস্ট কিংবা শাহবাগের সৈনিক হলেই যে কাউকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া যাবে , বাসার সামনে ককটেল ফাটানো যাবে , নাকি ? বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে কে দিয়েছে ?

পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে আমাদের অগ্রজেরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। এখন আমরা গর্ব ভরে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশের মানুষ । আজ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির হাত থেকে এই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা মাতৃভূমিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। যেই রাজাকারের ফাসির দাবি নিয়ে শাহবাগের জন্ম , সেই রাজাকারদের বাঁচানোর জন্যই এখন শেষ চেষ্টা হিসেবে উঠে - পরে লেগেছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামাত -শিবির - বি এন পি। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের চেতনাকে বুকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। স্বাধীন বাংলার মাটিতে রাজাকারের দম্ভ সম্পূর্ণভাবে ধুলিস্যাৎ না হওয়া পর্যন্ত , রাজাকারের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত - আমাদের সংগ্রাম চলবেই ।

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গনজাগরন মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন