বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩

গর্জে ওঠো বীর বাঙালি , গর্জে ওঠো বাংলাদেশ

আবারো জেগে উঠছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর , জেগে উঠছে গণজাগরণ মঞ্চ। গণজাগরণ মঞ্চের আজকের প্রেস ব্রিফিং থেকে ঘোষণা করা হয়েছে পরবর্তী কর্মসূচী - যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর এবং জামাত -শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আবার স্লোগানে মুখরিত হবার পথে আমাদের প্রাণের শাহবাগ। গণজাগরণ মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচী হল - আগামী ২ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ , ৩ নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে দুই আলবদর নেতা চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামানের রায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান এবং ৯ নভেম্বর বিকাল তিনটায় ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশ। শাহবাগ আজ একটা জায়গার নাম ই শুধু নয় , শাহবাগ আমাদের দাবি আদায়ের কেন্দ্রবিন্দুর নাম। প্রজন্ম চত্বর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের কলঙ্কমুক্তির স্লোগানমুখর সম্ভাবনার নাম। মনে করুন উত্তাল শাহবাগের কথা , সেই তিন মিনিটের নীরবতার কথা, কোটি কোটি সহযোদ্ধারা একসাথে শপথ নেয়ার কথা , কোটি মোমবাতির আলোয় প্রজ্জলিত শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের কথা।

আমরা যে যেই দল , যেই মতের ই অনুসারী ই হই না কেন - গণজাগরণ মঞ্চ হল আমাদের এক হওয়ার প্লাটফর্ম। বাংলাদেশ আমাদের সবার , আমরা সবাই দেশ টাকে যে যেভাবেই ভালোবাসি না কেন , রাজাকারের ফাসির দাবিটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রত্যেকটা মানুষের। তাই সব তর্ক - বিতর্ক সবকিছু ভুলে চলে আসুন শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে , যোগ দিন গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে, কণ্ঠে তুলে নিন রাজাকারের ফাসির দাবি । রাজপথে থেকে আমাদের আদায় করে নিতে হবে সব যুদ্ধাপরাধীর ফাসি। নভেম্বরে কসাই এর ফাসি কার্যকরের কথা রয়েছে। সেই বিজয় আনন্দে ভাসার জন্য এখন সবকিছু ভুলে আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের একটাই দাবি -রাজাকারের ফাঁসি। আমাদের জাগরনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে হবে আমরা এখনও আছি বাংলার রাজপথে , আছি শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে। কসাই কাদেরের ফাসি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে আমাদের শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন আজ প্রায় বিজয়ের দোরগোড়ায়। আসুন প্রিয় সহযোদ্ধারা, হাতে হাত রেখে বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেষ করি লড়াইটা।

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী, জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।

আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাসি চাই

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে অনেক অপেক্ষার নভেম্বর মাস। কেন অপেক্ষার? কারণ অনেকদিন আগে থেকে শুনছি, বিভিন্ন অনলাইন নিউজেও দেখছি যে নভেম্বরে কাদের কসাই এর ফাঁসি কার্যকর হবে। অনেক আশা করে আছি এই নভেম্বর কে নিয়ে। বাংলাদেশের কলঙ্কমুক্তির মাস হয়ে থাকুক ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসটা। সেই পাঁচ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজাকারের ফাঁসির দাবি নিয়ে জেগে আছি শাহবাগের সৈনিকেরা, বিয়াল্লিশ বছর ধরে অপেক্ষায় আছেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা , পাকিস্তানিদের এবং রাজাকার - আলবদর দের অত্যাচারের চিহ্ন বহন করে বেঁচে আছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা , বীরাঙ্গনা মাএরা। ত্রিশ লাখ শহীদ চেয়ে আছেন দূর আকাশের নক্ষত্র থেকে , অপেক্ষায় আছেন মা জাহানারা ইমাম - এই সব প্রতীক্ষার অবসান চাই। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যত বাধাই দিক না কেন , নভেম্বরে রাজাকার কাদের কসাই এর ফাসি দেখতে চাই। 

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে , বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা – আমরা তোমাদের ভুলবো না

একাত্তরের আগুনঝরা দিনগুলির কথা শুনে কাটল আজকের দিনটা - আমার জীবনে চিরস্মরণীয় একটা দিন হয়ে থাকবে সারাজীবন এই দিন। আজকে শাহবাগে আমরা কয়েকজন অনেক সুন্দর কিছু সময় কাটালাম একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল ভাইয়া ( আমরা আঙ্কেল , স্যার ইত্যাদি সম্বোধন করছিলাম - তিনি নিজেই বললেন কিসের স্যার , ভাইয়া বলবা ) , রাজু আঙ্কেল (রাজু আহমেদ) ,Helal আঙ্কেল , সাইফুল ইসলাম রঞ্জু আঙ্কেল ( Saif Raju ) এর সাথে। একাত্তরের এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে শোনালেন যুদ্ধদিনের সেই পরশপাথর ছোঁয়ানো দিনগুলোর কাহিনী। পাশাপাশি আমাদের চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা হল তাঁদের সাথে। বিচ্ছু জালাল ভাইয়া এসেছিলেন লাল -সবুজ জামা গায়ে , বাংলাদেশের লাল -সবুজ পতাকা কপালে বেঁধে। তিনি আমাদের বলতে শুরু করলেন পহেলা মার্চ,১৯৭১  থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস- তাঁর নিজের চোখে দেখা পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী।

একাত্তরের পহেলা মার্চ থেকেই নিজ নিজ এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে থাকেন বিচ্ছু জালাল ভাইয়ারা। তাঁর বাবা ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের এস.পি। তখন উঁচু বিল্ডিং এর সংখ্যা ছিল খুব ই কম - বিচ্ছু জালাল ভাইয়াদের বিল্ডিং টা ছিল ছয় তলা। কাছাকাছি আর উঁচু বিল্ডিং ছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। আমাদের কয়েকজনকে দেখিয়ে তিনি বোঝালেন , "এইযে তোমরা যেমন পনের জন - বিশ জন করে সংগঠিত হয়েছ , আমাদেরও তেমন ছিল। আমরা বর্শা বানাতাম , মিলিটারি আসলে বর্শা দিয়ে আঘাত করব বলে।আমাদের বাসা এমন জায়গায় ছিল, সামনে দিয়ে যাতায়াত করত সব মিলিটারি ভ্যান। আমরা তাদের সামনে ছয় তলার ছাদে বাংলাদেশের লাল- সবুজ পতাকা তুলতাম , স্লোগান দিতাম -"লড়কে লেঙ্গে বাংলাদেশ"। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ ভুট্টো থাকতে আসলে তাকে জুতা দেখাতাম , বাংলাদেশের লাল - সবুজ পতাকা দেখাতাম। মিলিটারি ভ্যান সামনে দিয়ে যেতে দেখলে আরও দ্বিগুণ উৎসাহে জুতা দেখাতাম, স্লোগান দিতাম, পতাকা দেখাতাম। "

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

বিজয় আনন্দ বুকে নিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা। কসাই কাদেরের ফাসি দেখার অপেক্ষা

একটানা দুইদিন পর অনলাইনে আসলাম । এসে অনেকগুলো খবরের মধ্যে সবচেয়ে খুশির যে খবর টা পেলাম তা হল - আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছে । যাক, একটা অনেক বড় অপমানের অবসান হল আমাদের - আর কখনও এই যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা দেখতে হবে না , আর কখনও ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলার রাষ্ট্রক্ষমতায় কোন যুদ্ধাপরাধীকে দেখতে হবে না। আর কোনোদিন দেখতে হবে না ত্রিশ ...লাখ শহীদের রক্তে ভেজা পথ মাড়িয়ে কোন যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে মাথা উঁচু করে আমরা বলতে পারব আমাদের বাংলাদেশে আর কখনও কোন যুদ্ধাপরাধী নির্বাচনের সুযোগ পাবে না।

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

সবার চোখে স্বপ্ন একই মাতাল ভোর , বলছি তোকে তুই রাজাকার ফাঁসিতে ঝোল ...।

জমা করে রাখা গল্পের বইগুলো সব গতকাল শেষ হয়ে গেছে , আজকে আর কিছু না পেয়ে ডায়েরি পড়তে বসলাম । এই ডায়েরি জিনিসটা আসলেই অনেক বড় বিশ্বস্ত বন্ধু - সেই ক্লাস সিক্স থেকে আজ পর্যন্ত সব কথা সে জানে , কিন্তু কাউকে কোন দিন বলবে না - সাত বছরের স্মৃতি কি সুন্দর করে গোপনে রেখে দিয়েছে। সবকিছুই আছে সেখানে - কোন বই পড়ে হাসা , কোন বই পড়ে কান্না , কখনও রাস্তায় ছোট বাচ্চাকে ঠেলাগাড়ি ঠেলতে দেখে কষ্ট পাওয়া , কখনও পরীক্ষার ব্যপারে টেনশন , কখনও আম্মুর সাথে রাগ - আবার সেই রাগ ভাঙ্গাতে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা নতুন কোন গল্পের বই উপহার পাওয়া ...।


তবে সবচেয়ে অবাক করা এবং আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলো হলো ২০১৩ সালকে ঘিরে , শাহবাগ আন্দোলনকে ঘিরে। জানুয়ারি মাসের শেষ দিনের ডায়েরিতে আছে সায়েন্স কংগ্রেস নিয়ে আলাপ - কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখ থেকেই সবকিছু কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে গেল। খবরটা দুপুরের হলেও আমি পেয়েছিলাম রাতে - অবাক বিস্ময়ে শুনেছিলাম কসাই কাদেরের ফাসি হয়নি। এরপর ? পরের দিন জানলাম শাহবাগ আন্দোলনের কথা। ব্যস , কোনোরকমে মা কে রাজি করিয়ে ছুটে গেলাম শাহবাগে। এরপর তো একটানা শাহবাগে থাকা , কলেজ টাইম বাদে আর বাবা বাসায় থাকার দিনগুলো বাদে প্রায় সবসময় ই।

একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার - রাজাকারের ফাসি হোক , শহীদরা পাক ন্যায়বিচার

বাহ , শুরু হয়ে গেছে তাইলে ? সকালে ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে শুনলাম বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ। গতকাল একাত্তর টেলিভিশনের অফিস , দেশ টিভির অফিস , এয়ারপোর্ট রেলওয়ে ষ্টেশন লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ - তিন বছরের শিশুর মৃত্যু , একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক আহত - এই খবর গুলো শোনার পর মা কে বলেছিলাম যে হরতাল শুরুর আগেই এই অবস্থা - হরতাল শুরু করলে না জানি কি হবে । কি হবে তা তো সকালেই টের পেলাম - ভাগ্যিস কোন মানু...ষ মারা যায়নি চোখের সামনে - সহ্য করতে পারতাম না। ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি , দেখি অনেকগুলো ছেলে একসাথে কি যেন করছে রাস্তায়। ভাল করে দেখার জন্য সামনে আসলাম - ছেলেগুলো দৌড় দিল আর সাথে সাথে দুইটা ককটেল ফাটল পর পর। বলি শিবিরের সন্ত্রাসীরা , বাসার সামনে ককটেল মেরে শো - অফ করে বুঝি শাহবাগের একজন আন্দোলনকারীকে ভয় দেখানো যায় ?

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৩

কসাই কাদের এর ফাসি কার্যকর হতে আর কত দেরি ????

সেই কবে থেকে শুনছি পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর কাদের কসাই এর ফাঁসি কার্যকর হবে - সেই পূর্ণাঙ্গ রায় আর লেখা শেষ হয়না কেন? আর কত অপেক্ষা - খুব বেশি কিছু কি চেয়েছি আমরা ? কাদের কসাই যে স্বাধীনতার পর বিয়াল্লিশ বছর বাংলাদেশে বেঁচে ছিল এটাই তো তার ভাগ্য - আর কত , এইবার কি ফাঁসি টা দেয়া যায় না ? কি এমন পূর্ণাঙ্গ রায় যে দেড় মাস হয়ে গেল আপিল বিভাগ থেকে ফাসির রায় এসেছে, এখনও সেই পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা আর শেষ হয়না। আর কত অপেক্ষা - এই প্রতীক্ষার অবসান কোথায় ?

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৩

জয় বাংলা বলে আগে বাড় , সময়ের লাগাম ধরে সামনে বাড় ...।

"কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" - এই গানটা মনে হয় এমনই একটা গান , প্রত্যেকটা মানুষের কিছু না কিছু স্মৃতি জড়িয়ে থাকে এই গানটার সাথে। স্কুল লাইফের তখন প্রায় শেষ , মনে আছে আশেপাশের সবাই মিলে যখন -তখন এই গানটা গাইতাম , আর এই গানটার মধ্যে যেন সবার ই জীবনকাহিনী লেখা আছে । নিখিলেশ , মইদুল , সুজাতা , ডিসুজা চরিত্রগুলো হয়ে ওঠে যেন এক একজনের নিজেদের গল্প । আজও যে কোন সময় অনেক আগের বন্ধুদের নিয়ে চিন্তা করতে বসলেই সবার প্রথমে যেই গানটা মাথায় আসবে তা হল "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই"। কফি হাউজে কত স্বপ্নের রোদ ওঠে , কত স্বপ্নই মেঘে ঢেকে যায় , তাইনা ? কতজন আসবে - যাবে , কফি হাউজটা ঠিক ই বেঁচে থাকবে আর বাঁচিয়ে রাখবে সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে কে ।

একজন সঙ্গীতশিল্পী , একজন লেখক - তাদের সুরের কিংবা লেখনীর কোন সীমানা নেই । আর সেজন্যই কবির সুমন গেয়ে ওঠেন , "সীমানা চিনিনা আছি শাহবাগে , আমার গীটারও আছে - বসন্ত আজ বন্ধুরা দেখ , গণদাবী হয়ে বাজে।" কিংবা একজন ভারতীয় হয়েও সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে বি এস এফ এর নিন্দা করে গেয়ে ওঠেন "রাইফেল তাক কর হে সিপাহী , দোয়েলেরও ভিসা নেই - তোমার গুলিতে বাংলার পাখি কাঁটাতারে ঝুলবেই।" আসলেই বি এস এফ জওয়ানেরা কি একের পর এক বাঙালি কে হত্যা করাকে দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছে নাকি ? যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশের এক বৃদ্ধকে নির্যাতনের পর হত্যা করে,তার লাশ সীমান্তবর্তী একটি গাছের উপর ঝুলিয়ে রেখেছে । অবাক লাগে - মানুষ কিভাবে এত বর্বর হয় ? কেন হয়?

বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩

আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ........

কলেজ লাইফ টা দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল আসলেই। আগামীকাল কলেজের শেষ ক্লাস ,এরপর Rag Day , টেস্ট পরীক্ষা , এইত । অনেক তাড়াতাড়ি চলে গেল সময়টা - অনেক বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করে দিয়ে গেল । সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা শিখিয়ে গেল তা হল , আমাদের প্রত্যেকের চারপাশের মানুষগুলোকে নিয়ে আমাদের জগত । তাদের অধিকাংশই একটা বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে চায় । পড়াশুনা , চাকরি , কাউকে ভাললাগা -ভালোবাসা , কলেজের অধিকাংশ মেয়েই এ...ই চক্রের মধ্যে আটকে থাকতেই ভালোবাসে। এই বৃত্তের বাইরে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করলে সবার কাছে সে হয়ে ওঠে অনেক দূর গ্রহের কোন প্রাণী । আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি , বাবা -মাকে কষ্ট দিয়ে প্রেম করা কলেজের মেয়েগুলোর কাছে যতটা স্বাভাবিক , মা এর হাত ধরে শাহবাগ যাওয়া তাদের কাছে ততটা স্বাভাবিক না। নকল করতে কিংবা কলেজে করা অন্যায় এরকম অনেক বড় বড় কাজ করতে এরা একজন আরেকজনকে সাহায্য করবে । কিন্তু তুমি শাহবাগ যাও , শাহবাগের পক্ষে লেখালেখি কর ? তোমাকে সিস্টারের কাছে ধরিয়ে দেয়া এই মেয়েদের পবিত্র দায়িত্ব। প্রেম আর সাজগোজ যাদের জীবনের সবকিছু তারা কিভাবে বিপ্লবের মর্মার্থ বুঝবে ?

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৩

কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে নতুন সূর্য ওঠার এইত সময়

বাঙালি সংগ্রামী জাতি , বাংলাদেশের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস , রক্তের ইতিহাস। তাই যুগে
যুগে বাংলা মা এর দামাল সন্তানেরা জীবন মায়া তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পরে দেশ মা কে মুক্ত করার সংগ্রামে। বায়ান্ন , বাষট্টি , উনসত্তর, একাত্তরের পর এখন ২০১৩ সাল। এখন যৌবন যার , মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় - এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে আবারও বাংলার মাটিতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে - আবারও জীবন বাজি রেখে দেশ মা এর জন্য রাজপথে নেমে এসেছে একদল তরুন - তরুণী। প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই এক ই - বায়ান্ন , বাষট্টি , ছেষট্টি  উনসত্তর , একাত্তরের সেই পরাজিত প্রতিপক্ষ।

একদল মানুষ যখন ঘরে বসে ছুটির দিনে টেলিভিশন দেখছেন পরিবার -পরিজন নিয়ে , তখন একদল তরুন প্রবল ক্রোধে - আক্রোশে - বিপ্লবের বহ্নিশিখা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে রাজাকারের ফাসির দাবিতে । কেউ যখন বিভিন্ন রকম অপারগতার দোহাই দিয়ে , অফিস -আদালত -স্কুল -কলেজ -পরিবারে বাধার দোহাই দিয়ে শাহবাগের সহযাত্রী হওয়া থেকে দূরে থাকতে চাইছেন , কোন কিশোরী তখন হুইলচেয়ারে বসে শাহবাগ ছুটে আসছে , কোন তরুন তখন খালি হাতে রাস্তায় নেমে পরছে , যে করেই হোক তাকে যে শাহবাগ পৌঁছাতেই হবে।

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

কসাই এর ফাসি কার্যকর হতে আর কত দেরি ? জামাত -শিবির নিপাত যাক , জয় বাংলার জয় হোক

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের অভূতপূর্ব জাগরন শাহবাগ আন্দোলন কে বিতর্কিত করার জন্য প্রথম থেকেই জামাত - শিবির নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। কিন্তু আন্দোলন এগিয়ে গেছে তার নিজস্ব গতিতেই। গত ৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৩ তারিখে কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় না হওয়ার ক্ষোভ থেকে যে শাহবাগ আন্দোলনের জন্ম , তা এর ই মধ্যে পার করেছে আটটি মাস। এই শাহবাগ আমাদেরকে দিয়েছে সাইদি , কামরুজ্জামান , মুজাহিদ , সাকা , কাদের... কসাই এর ফাসির রায় । বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ৪২ বছরে যা হয়নি , শাহবাগ আন্দোলনের কারনে তাই সম্ভব হয়েছে । একসময় যেই রাজাকারদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ত , সেই রাজাকারদের কে বিচারের মুখোমুখি করে ফাসির রায় দেয়া সম্ভব হয়েছে ।

রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৩

বসন্ত আজ বন্ধুরা দেখ , গণদাবী হয়ে বাজে ......।

জানো , দূর আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র গুলোর মধ্যে আমাদের সবার একজন মা আছেন। আমার জন্মদাত্রী মা এর পর আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ , মা জাহানারা ইমাম । মা এর দেখানো পথ ধরে তার সন্তানেরা যখন দৃপ্ত পদক্ষেপে পতাকা হাতে এগিয়ে যায় , তখন হয়ত মা অনেক খুশি হন । যখন কসাই এর ফাসির রায় না হওয়াতে মা এর সন্তানেরা রাস্তায় নেমে আসে ৫ ই ফেব্রুয়ারিতে , স্লোগানে -মিছিলে রাজপথ কাপিয়ে তোলে , তখন মা হয়ত সন্তানদের দিকে চেয়ে থাকেন , হয়ত একটু তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এই ভেবে যে বিয়াল্লিশ বছর পরে হলেও এক ই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এই সন্তানেরা আবার জেগে উঠেছে। জানো , কোন রাজাকারের ফাসির রায়ের পর বিজয় মিছিলে সন্তানদের সাথে মা ও থাকেন , এখন তিনি সুদূর আকাশের বাসিন্দা হলেও , এই আন্দোলনের জন্ম যে মা এর হাতেই ।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি , বাংলাদেশের নাম

গতকাল থেকে একের পর এক মুভি দেখছি । দেখলাম "গেরিলা" , "পলাশী থেকে ধানমণ্ডি" , "একাত্তরের যীশু" । মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা গুলো যতবার ই দেখি , নিজের অজান্তে চোখে পানি চলে আসে। এই মুভিগুলোর মধ্যে একাত্তরের যীশু বাদে বাকি সবগুলোই আগে অনেক অনেক বার দেখা , তারপরেও বার বার দেখতে ইচ্ছা করে। বাঙ্গালি চিরন্তন সংগ্রামী জাতি - যার প্রমান ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬ ,১৯৬৯ , ১৯৭১ কিংবা ২০১৩। বার বার প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই একই। পরাজিত হায়েনারা বার বার বাঙ্গালিকে আক্রমন করে ,নিঃশেষ করে দিতে চায় , কিন্তু বিপুল প্রানশক্তি আর দেশপ্রেমের অধিকারী বাঙালি জাতি যে হার মানতে শেখেনি । আর তাই বুকের রক্তে পিচঢালা রাজপথ , বাংলার সবুজ শশ্যক্ষেত রক্তিম করে তারা ছিনিয়ে আনেন বিজয় ।

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৩

একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার । শহীদজননীর বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই

তোমরা কি জান আমার প্রথম ভালোবাসার নাম কি ? জানো আমার ভালোবাসা আমার হাতে গোলাপ ফুল নয় , পতাকা তুলে দিয়েছে । আমাকে কাঁদতে নয় , দুর্জয় স্লোগান তুলতে শিখিয়েছে ।আমাকে নীরবতা ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠতে শিখিয়েছে । আমাকে পুতুল খেলার হাতে বাঁশের লাঠি ধরতে শিখিয়েছে । আমাকে সব বাধা উপেক্ষা করে "জয় বাংলা" বলতে শিখিয়েছে ।আমাকে দৃপ্ত পদক্ষেপে মিছিলে হাঁটতে শিখিয়েছে ।তোমরা কি জান সেই ভালোবাসার নাম কি ?তোমরা কি জান সেই অমর চিরন্তন প্রেমের নাম কি ?সেই প্রেমের নাম বাংলাদেশ , সেই প্রেমের নাম শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ।

জানো , এই প্রেম আমার একার নয়। বাংলাদেশ আমার মা , শাহবাগ আমার এক টুকরো বাংলাদেশ । এই প্রেমের সম্পর্ক মা এর সাথে সন্তানের যেই সম্পর্ক , ঠিক তাই । জানো , এই শাহবাগ না তোমাদের সবাইকেই ডাকে , মাতৃস্নেহে তোমাদের সবাইকেই বুকে জড়িয়ে নিতে চায় । কিন্তু মা এর সন্তান হয়েও মা এর ডাকে যে তোমরা অনেকেই সাড়া দাওনা - আমাদের পাশে না দাড়াও , বাংলা মা এর পাশে দাঁড়ানোর আহবান টাও কি নিজেদের মধ্যে অনুভব কর না ?

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৩

শাহবাগের সেই নষ্ট ছেলে


-বলো তো
কোথায় দেখেছি ছেলেটাকে?
-দেখে থাকবে হয়ত
কোনো রাস্তার মোড়ে
কিংবা কোনো অলি গলিতে।
-তাই হবে,
দেখে তো মনে হয়
রাস্তারই ছেলে!
-কিন্তু পোশাক আশাক দেখো,
মনে হয় যেন ভদ্র ঘরের ছেলে।
-কিন্তু ওর চেহারা দেখো,
রোদে পুড়ে যেন কয়লা!
আর মাথার চুল দেখো
যেন পাখির বাসা!
-হবে হয়ত
কোনো ভাল ঘরের নষ্ট হওয়া ছেলে।
নাহলে কি অমন চেহারা হয়?
-কিন্তু
আমার মনে হচ্ছে
আমি ওকে অন্য কোথাও দেখেছি।
এভাবেই ছেলেটিকে নিয়ে
আলোচনার ঝড় ওঠে চায়ের আসরে,
আর ছেলেটি উপাধি পায়
"নষ্ট ছেলে"!
ছেলেটির রোদে পোড়া চেহারা,
মাথায় জটাযুক্ত এলোমেলো চুল,
আর এক জোড়া জ্বলজ্বলে চোখ,
তীব্র সেই চোখের চাহনি!
এ রকমই তো দেখেছিলাম আমরা
আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আগে
উনিশ শ' একাত্তর সালে!
স্মৃতির পাতায়
ধূলো জমতে জমতে
আমরা ভুলতে বসেছিলাম
সেই চেহারাটিকে।
কিন্তু আজ আবার
মনের মাঝে উকি দিল
সেই চেহারাটি,
যখন সেই ছেলেটিকে দেখলাম
প্রজন্ম চত্বরে!
মাথার ওপর সূর্যের হাসি
ঝলসে দিচ্ছে তার দেহকে,
রাস্তার ধূলো ময়লা আর শরীরের ঘামে
মাথার চুল হয়ে উঠেছে জটাযুক্ত,
আর তার তীব্র কণ্ঠে
ঝলসে উঠছে রক্তে দোলা দেয়া
সেই স্লোগান,
"জয় বাংলা!"
"তুমি কে আমি কে?
বাঙালি বাঙালি!"
ছেলেটি একজন প্রজন্মযোদ্ধা,
তাই তো তার এত তেজ!
যখন কেউ তাকে বলে নষ্ট ছেলে,
সে মুচকি হেসে বলে,
"হ্যা, আমিই তো শাহবাগের সেই নষ্ট ছেলে!"

এখন যৌবন যার , মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় । এখন যৌবন যার , যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়

নীলা আজকে লাল -সবুজ শাড়িটা পরেছে , শাহেদের সাথে দেখা করার কথা একটু পরে। হাতে মেহেদি দিয়েছে অনেক যত্ন করে । এই শাড়িটা নীলার সবচেয়ে প্রিয় , শাহেদ ও যেন এই রঙ টা একটু বেশি ই ভালোবাসে । একবার এ নিয়ে প্রশ্ন করায় শাহেদ উত্তর দিয়েছিল, লাল -সবুজ ভালবাসবো না কেন নীলা ? লাল -সবুজ যে আমাদের পতাকার রঙ , আমাদের চেতনার রঙ , আমাদের বাংলাদেশের রঙ। নীলাও বোঝে আর এক ই কারণে তারও প্রিয় রঙ এটাই । আজ মার্চ মাসের সাত তারিখ । শাহেদের সাথে দেখা করে এরপর দুইজন মিলে প্রথমে রেসকোর্স ময়দানে , এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মীটিং এ যাওয়ার কথা। অনেক সাধারন ছাত্র- ছাত্রী হলেও সময়ের প্রয়োজনে এখন ওরা নিজেরাই যুক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন গুলোর সাথে । মীটিং এ যায় , সবার আলোচনা শোনে , নিজেদের মতামত থাকলে প্রকাশ করে – এখন ১৯৭১ সাল। সামনে দেশ টার অনেক বড় বিপদ। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে জিতলেও ইয়াহিয়া -ভুট্টো তাকে ক্ষমতায় বসতে দেবে না নিশ্চিত। মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী পরিনতি এখন , আর সেই মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এই ছাত্রদেরই – এই নীলা -শাহেদ , রহিম , সাজেদা  , কাসেম দের ই। আর তাই তারা কেউ চুপ করে বসে নেই। অনেক গোপনে এক একটা মীটিং করছে তারা , আর প্রতিদিনের ঘটনা তাদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছে – তোমরা ঠিক পথেই যাচ্ছ । বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । পাকিস্তানি হায়েনাদের হাত থেকে চূড়ান্ত মুক্তি এবার অর্জন করে নিতেই হবে তোমাদেরকে ।

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৩

আজো কেন তোমার বুকে ঘুরছে তারা একাত্তরের দালাল যারা , জবাব তোমার দিতেই হবে মা .........

আজকে ঈদের দিন। সবাই নিজের মত করে দিনটা কাটাচ্ছি , তাইনা ? অনেক আনন্দ , অনেক সাজগোজ , ঘোরাফেরা - কোন কিছুতেই কমতি নেই। আচ্ছা , ঈদ তো সবার জন্য- কিন্তু কত মানুষের আজকে নেই ঈদের আনন্দ। সে হিসাব কে রাখবে ? না , আমরা কেউ একা তাদের দুঃখ কষ্ট দূর করতে পারব না - আমাদের বয়সী বা আমাদের চেয়ে অনেক ছোট যেসব শিশুরা পথে পথে , বাড়িতে -বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক টুকরা মাংসের আশায় , তাদের সবাই কে একটু শান্তি দেয়া আমাদ...ের কারো একার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু সবাই মিলে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ই তো পারি ওদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে।

নিজেদের জন্য প্রতিনিয়ত কত টাকাই তো খরচ করেন - এক রাত মোবাইলে একটু কম কথা বলুন না , একদিন কে এফ সি তে না গেলে কি হয় ? সেই টাকাটা জমিয়ে রেখে ঈদের সময় বাসার কাজের মেয়েটির হাতে একটা নতুন পোশাক তুলে দিন না । না , সেটা বসুন্ধরা সিটির আলো ঝলমলে দোকানের লেহেঙ্গা হতে হবে না - ওরা এত বেশি কিছু চায়না , শুধু মানুষের মত বাঁচতে চায় , আর বাঁচার জন্যই সংগ্রাম করে যায় প্রতিনিয়ত। নিজেদের বিলাশবহুল জীবন আর রাস্তার অপর পাশের বস্তিতে বেড়ে ওঠা আপনার সমবয়সী একজনের জীবনের দিকে তাকান , পার্থক্যটুকু খুঁচিয়ে দিতে পারেন আপনি ই।

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

লক্ষ শহীদ ডাক দিয়েছে , সব সাথীদের খবর দে -সারা বাংলা ঘেরাও করে , রাজাকারের কবর দে

এই সেই শাহবাগ, যেখানে মিছিলে- স্লোগানে প্রানের দাবি জানায় তারুন্য ,
এই সেই শাহবাগ, যেখানে প্রেমিকের ভালোবাসার বন্ধন ভেঙ্গে ছুটে আসে প্রেমিকা,
যেখানে পরিবারের বাধা অস্বীকার করে মিছিলে হাজির হয় কিশোরী মেয়েটি,
যেখানে বিয়াল্লিশ বছরের কলঙ্কের অবসানের জন্য প্রতীক্ষায় থাকে বাংলাদেশ-
আমি সেই শাহবাগের কথা বলছি , সেই প্রজন্ম চত্বরের কথা বলছি।

যেখানে এক পতাকাতলে সমবেত হয় বাংলাদেশ, কলঙ্কমোচনের দাবি নিয়ে ,
...েখানে এক দাবিতে একতাবদ্ধ হয় বাঙালি , রাজাকারের ফাসির দাবি নিয়ে ,
অন্তরে রাজাকারের ফাসির দাবি , কণ্ঠে জয় বাংলা , হাতে রক্তিম পতাকা নিয়ে-
যেই প্রজন্ম চত্বরে স্লোগান ওঠে "আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাঁসি চাই",
আমি সেই শাহবাগের কথা বলছি , আমি সেই প্রজন্ম চত্বরের কথা বলছি।

জামাত -শিবিরের হামলা , রুখে দাড়াও বাংলা

২৫ অক্টোবর - অনেক জল্পনা -কল্পনা চলছে এই ২৫ অক্টোবর কে ঘিরে , তাইনা ? কি হবে, কি হতে যাচ্ছে ২৫ অক্টোবর ? বি এন পি - জামাত নামক স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মরন কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকমাস আগে যখন একের পর এক রাজাকারের রায় আসা শুরু হচ্ছিল , তখন আমরা বলতাম না , যে কিছুদিন পর যখন রায় কার্যকর করবে তখন আমরা তো ঈদের আনন্দ করব , বিজয় মিছিল করব - কিন্তু জামাত -শিবির কি চুপ করে বসে থাকবে ? এখন সে...ই দিন এসেছে। কসাই এর ফাসির রায় কার্যকরের কথা বলা হয়েছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কাজেই দেশে চূড়ান্ত একটা নাশকতা সৃষ্টি করে সরকারের উপর সব দোষ চাপানো এবং কসাই কাদের এর ফাসি কার্যকর করা ঠেকানোর চেষ্টা করবে এখন ধর্মব্যবসায়ী জামাত -শিবির , বি এন পি।

কসাই এর ফাসির আনন্দে বিজয় মিছিল করতে চাই। আর কত দেরি ?????

একটা আন্দোলন , একটা দাবি - রাজাকারের ফাঁসি , আর তাই নিয়ে একটানা রাজপথে থাকা আমাদের । কখনও দীপ্ত শপথ , কখনও একসাথে সারা দেশে জাতীয় সঙ্গীত , কখনও পতাকা উত্তোলন - সারা দেশে , সারা বাংলায় এক ই সাথে। আবার কখনও শাহবাগে একটানা অবস্থান , স্লোগানে মুখরিত শাহবাগ , স্লোগানে উত্তাল বাংলার প্রতিটা প্রান। এত সুন্দর , সুশৃঙ্খল একটা জাগরন -১৯৭১ এর পর আক্ষরিক অর্থেই বাংলায় হয়নি। এই জাগরন ছুয়ে গিয়েছিল দেশের প্রত্যে...কটা প্রাণকে , বাঙ্গালি পরিচয়ে গর্বিত প্রত্যেকটা মানুষ মাঠে নেমে আসছে বারবার - এক একটা রায় , এক একটা বিজয় ঘোষণা , এক একবার চরম উত্তেজনা, বাংলার সাধারন খেটে খাওয়া মানুগুলোর রাস্তায় নেমে আসা , শাহবাগে অবস্থান নেয়া - রাজাকারের ফাসি না নিয়ে ঘরে ফিরব না -দৃপ্ত শপথে জ্বলে ওঠা।

আমি ১৯৭১ দেখিনি , কিন্তু আমি ২০১৩ দেখেছি -২০১৩ তে আন্দোলনের অংশ হয়েছি। শাহবাগে একটা ব্যানার লাগানো ছিল - "এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি , রাজাকার রাও এই প্রজন্মের যুদ্ধ দেখেনি , দেখিয়ে দেয়ার এখন ই সময়"- কথাটা সম্পূর্ণ ভাবে আমাদের সবার মনের কথা , শাহবাগের প্রত্যেকটা আন্দোলন কারীর মনের কথা। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর রাস্তায় নামিয়েছে বাংলার সাধারন , একেবারে সাধারন জনতা বলতে যে মানুষ গুলোকে বোঝানো হয় সেই মানুষগুলোকে । খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের এই জাগরন বৃথা যাবার নয় , এই গনজোয়ার কক্ষনো বৃথা যেতে পারে না ।

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৩

বর্তমানে নাস্তিক হতে বেশি কিছু লাগে না...


: এই যে খোকা, যাচ্ছ কোথায়?
: মসজিদে যাচ্ছি চাচা, নামাজ পড়তে।
: সুবহানাল্লাহ! আমিও তো মসজিদেই যাচ্ছি, চলো তোমার সাথেই যাই।
: জ্বী চাচা, চলুন।
: আজকালকার ছেলেরা দেখি নামাজ রোযা করতেই চায় না, সবার মনে যেন শয়তান ভর করছে! নাআইজুবিল্লাহ!! তবে তোমাকে দেখে খুব ভাল লাগল।
: চাচা, আমার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়া হয়ে ওঠে না, তবে যখন নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে, আমি কখনোই সুযোগ হাতছাড়া করি না।
: মাশাআল্লাহ! তোমার জন্য দোয়া করি বাবা, একদিন অনেক বড় হবা। আজকের যুগে তোমার মত ভদ্র ছেলে দেখাই যায় না!
: ধন্যবাদ চাচা।
: তা, মাঝে মাঝেই দেখি তুমি নামাজ শেষ করে রিকশা করে কই যেন যাও। যাও কই প্রতিদিন?
: শাহবাগ যাই চাচা।
: (চোখ কপালে তুলে) তু-তুমি শাহবাগ যাও? কেন?
: চাচা, আমি একজন আন্দোলনকারী, আমি আন্দোলন করতে শাহবাগ যাই।
: তুমি তো চরম নাপাক! তোমার নামাজ কবুল হবে না!
: (নিরুত্তর)
: তুমি ঘর থেকে বের হও ঐ জায়গায় যাওয়ার নিয়ত করে! ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ!
: (বিড়বিড় করে) আমি রাজাকারের ফাসি চাই!
: কি বললা? তুমি তো নাস্তিক! তুমি তো ইসলামের শত্রু!! যত্তসব নষ্ট পোলাপান!!!
.
.
কত সহজেই না একজন মুসলিমকে নাস্তিক বানিয়ে দেয় এরা!!!

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৩

শুভ সূচনা হোক সচেতনতার , নিপাত যাক সব রকম ধর্ম ব্যবসা ও জঙ্গিবাদ

বাংলাদেশ , বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল অসাম্প্রদায়িক , বাঙালি জাতীয়তাবাদে পরম ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সমগ্র বাঙালি জাতি। এদেশ বারো মাসে তের পার্বণের দেশ - ঈদ , পূজা , বৌদ্ধ পূর্ণিমা , ক্রিস্টমাস , পহেলা বৈশাখ - প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান বাঙালি পালন করে চিরন্তন ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। আর এইসব আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটা বাঙালি একে অপরের সহযাত্রী , একে অপরের প্রানের সহচর। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর , গনজাগরন মঞ্চ , আট মাস ধরে চলা রাজাকার বিরোধী আন্দোলন আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর বিপক্ষের শক্তির পার্থক্য । কে বাঙালি আর কে পাকিস্তানি এখন আমরা স্পষ্ট ভাবেই জানি । আর ভাল আর খারাপের যুদ্ধে , স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষ শক্তির যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। তাই এখন আমাদের মধ্যে নিরপেক্ষ বলে কোন পরিচয় নেই। হয় আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে , না হয় বিপক্ষে - হয় রাজাকারের ফাসি চান , না হয় চান না। কিন্তু এখানে নিরপেক্ষ বলে কোন কথা নেই।
 

গেরিলা ১৯৭১

দেহ ছিল তোমার
আমাদেরই মতন
রক্ত মাংসে গড়া,
আমাদেরই মতন
দুটো হাত,
দুটো পা,
ধরের ওপর একটি মাথা;
আমাদের মতই মুখমণ্ডল।
কিন্তু মন? কেমন ছিল তোমার মন?
তোমার মন কি ছিল
জ্বলন্ত আগুনের মত গণগণে?
নাকি ফুটন্ত পানির মত টগবগে?
নাকি একটি সরল মন,
যে ছিল আবেগপ্রবণ,
যার ছিল একটাই চাওয়া,
"একটা ভূখণ্ড হবে,
যা হবে স্বাধীন,
যার নাম হবে বাংলাদেশ!"
সে চাওয়া থেকেই জন্মে
এক দূরন্ত আশা,
যে আশা তোমায় টেনে নিয়ে যায়
নিশ্চিত মৃত্যুর কবলে!
তোমায় আলিঙ্গন করবে বলে
পদে পদে দাড়িয়ে ছিল মৃত্যু;
কিন্তু মৃত্যুও ভড়কে যায়,
যখন দেখে তুমিই হাতছানি দিয়ে
ডাকছ তাকে!
মৃত্যু ঘাবড়ে যায়,
যখন দেখে তুমি তেড়ে আসছো তার দিকে!
মৃত্যু ঘাবড়ে যায়,
যখন দেখে তুমি তারই ওপর ঝাপিয়ে পড়ছো,
আর চিত্‍কার করে বলছো,
"জয় বাংলা!"
তোমায় আলিঙ্গন করবে বলে
পদে পদে দাড়িয়ে ছিল মৃত্যু;
কিন্তু মৃত্যুকে চমকে দিয়ে
তাকেই আলিঙ্গন করে নিয়েছ তুমি!
কেননা বুকের মাঝে তো একটি বাণীই গেঁথে নিয়েছিলে তুমি,
"স্বাধীন দেশ জীবিত গেরিলা চায় না!"

শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৩

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা , আমরা তোমাদের ভুলবো না

পৃথিবীর মানচিত্রে অনেক ছোট্ট একটা দেশ বাংলাদেশ । এই দেশটি আয়তনে অনেক ছোট হলেও দেশটির আছে গৌরবময় ইতিহাস - আর সেই ইতিহাস রক্তের , সেই ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের , সেই ইতিহাস স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের গৌরবগাঁথা । ১৯৫২ , ১৯৬২ , ১৯৬৬ , ১৯৭১ এ বার বার এই দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন বিজয় । বার বার এদেশের সাধারন মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন , প্রিয় বাংলার মাটিকে রক্ষার শপথ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ।১৯৭১ ...সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রানপ্রিয় স্বাধীনতা । ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন , দুই লাখ মা -বোন নির্যাতিত হয়েছেন এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য । আমাদের বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ কে গভীর ভাবে উপলব্ধি করার মত কোন সুযোগ ই বলতে গেলে খোলা নেই।

পাঠ্যপুস্তক গুলোর ইতিহাস লেখা দেখলে মনে হয় ২৫ শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে , ১৬ ই ডিসেম্বর শেষ হয়েছে - এই । এর চেয়ে বেশি জানতে হলে , মুক্তিযুদ্ধ আসলে কি ছিল কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে হলে , ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনা - কথাটা যে শুধু মুখের বুলি নয় , এটা যে আসলে কত বড় একটা ত্যাগ সেটা বুঝতে হলে যে জিনিস গুলো পড়া প্রয়োজন , আমাদের গতানুগতিক পাঠ্য ধারায় সেগুলো কিছুতেই সংযোজন করা হয়না। আচ্ছা ,পদ্মা নদীর মাঝির বদলে একটা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠ্য করলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেত ?

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার ...।

পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে আপন মানুষ টা কে ? এই প্রশ্নের উত্তর এক মুহূর্তও ভাবতে হবে না কোনদিন - এই মানুষটি আমার মা । আজকে রাজাকার আব্দুল আলিমের ফাসির দাবিতে এবং ছয় দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলে যাব বলে ঘর থেকে বের হয়েছি , রাস্তা দিয়ে মা এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে শাহবাগ যাচ্ছি , হটাত লক্ষ্য করলাম - যখন শাহবাগের প্রশ্ন আসে , তখন আমার মা শুধুই আমার মা থাকেন না , হয়ে ওঠেন শাহবাগের একজন যো...দ্ধা । প্রজন্ম চত্বরে যাওয়া , লেখালেখি করা রাজাকারদের বিরুদ্ধে সব ব্যাপারে মা এর সমর্থন টুকু যদি না থাকত , অনেক কিছুই করা সম্ভব হত না আমার পক্ষে ।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩

রাজাকারদের রক্তে করব আবার পুন্যস্নান

মানবতা কি জিনিস ? মানবতা কাকে বলে ? মানবতা কার জন্য ? মানবতার সংজ্ঞা কি ? অমানুষের জন্য কিসের মানবতা ? আব্দুল আলীম যখন নির্বিচারে বাঙ্গালিদের হত্যা করেছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা ? কোথায় ছিল বয়স বিবেচনা ? বিয়াল্লিশ বছর আগে অপরাধ করেছে বলে আজকে ছাড়া পেয়ে যাবে ? যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে কি সেই শহীদ দের রক্তের বদলা নেয়া যায় ? যায়না । ৫৮৫ জন মানুষ , কল্পনা করা যায় ? ৫৮৫ জন বাঙ্গালির খুনির শাস্তি মৃত্যুদণ্...ড হল না - কেন ? বয়স বিবেচনায় । তা রাজাকার আব্দুল আলিম কি বয়স দেখে মেরেছিল ৫৮৫ জন বাঙ্গালিকে ?

গোলাম আজমের রায়ের পর শাহবাগে বিক্ষোভে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম রঞ্জু আঙ্কেল বলেছিলেন ," ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১৫ বছর । তখন পাকিস্তানিরা যদি আমাকে ধরতে পারত, তারা কি আমাকে মারার ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনা করত? " এই কথাটা এখনও কানে বাজে আমার , আব্দুল আলিমের রায়ের পর আবার চোখের সামনে ভেসে আসলো এই কথাটাই - স্বাধীন বাংলাদেশে আব্দুল আলিমের ফাসির রায় হল না, রাজাকারকুল শিরোমণি গোলাম আজমের ফাসির রায় হল না - এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখব ?

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৩

রাজাকার এবং রাজাকারের দালালেরা নিপাত যাক , জয় বাংলা মুক্তি পাক

তথ্য -প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বর্তমান প্রয়োগ গুলো খুশি হওয়ার জন্য যথেষ্ট । সবার প্রথমে গ্রেফতার হল বিশিষ্ট জ্ঞানপাপী ওয়াহিদুজ্জামান । অনলাইনে রাজাকার দের সমর্থনে কাজ করে বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করত । আজকে রংপুরে কাদের সিদ্দিকির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে । এই কাদের সিদ্দিকি নামটা শুনলেই কেমন অতিরিক্ত একটা ঘৃণা চলে আসে নিজের মাঝেই। একাত্তরে পাক হানাদার দের বিরুদ্ধে যে কাদের সিদ্দিকি মুক্তিয...ুদ্ধ করেছে সে আজকে এতটা পথভ্রষ্ট কিভাবে হয় ? সবসময় মনে হত এই নব্য রাজাকারগুলার তো কোন শাস্তি হবে না । নির্লজ্জের মত ইতিহাস বিকৃত করে রাজাকারদের পক্ষে কথা বলে যাবে এরা । কিন্তু তা নয় , এদের শাস্তি হচ্ছে ।

আর কোন দাবি নাই , সব রাজাকারের ফাঁসি চাই

সকাল ৯ টা থেকে প্রজন্ম চত্বরে রাজাকার আব্দুল আলীমের ফাঁসির দাবিতে অবস্থান । আটটার একটু পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম প্রজন্ম চত্বরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সমস্যা হল কিছুদূর যাওয়ার পর এতটা অসুস্থ লাগতে শুরু করল যে আর হাঁটতে পারছিলাম না । এরপরও কোনোরকমে গিয়ে পৌঁছালাম প্রজন্ম চত্বরে - মা সাথে ছিলেন । কিন্তু বেশিক্ষন থাকা সম্ভব হল না , বাসায় ফিরে আসতেই হল রায় দেয়ার আগেই । কারণ , কলেজ আজকে্র পর বন্ধ হয়ে যাবে... ঈদ -পূজা উপলক্ষ্যে - কলেজে আজকে না গেলে পরে অনেক সমস্যা হবে ব্যাবহারিক খাতা নিয়ে । মনটা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেল । কলেজে গেলাম , ক্লাসে তো মন দিতেই পারছি না - রায় কি হল জানার জন্য সারাদিন অস্থির হয়ে ছিলাম । এর মধ্যে আবার এক সময়ের বেষ্ট ফ্রেন্ড এসে শুরু করল ঝগড়া , বঙ্গবন্ধুকে অপমান করে কথা না বললে তার হয় না ।

ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার

ঈদ - পূজা - প্রবারনা পূর্ণিমা , মুসলিম -হিন্দু -বৌদ্ধ নির্বিশেষে সব বাঙালি উৎসবের আনন্দে হাসবে একই সাথে । ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার । আর আদিকাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের বাংলাদেশ । এদেশের মুসলমান - হিন্দু - বৌদ্ধ - খ্রিষ্টান -আস্তিক -নাস্তিক -ধনী -গরিব সবার একটাই পরিচয় , আমরা সবাই বাঙালি । আর ধর্ম যাই হোক না কেন , বিশ্বাস যাই হোক না কেন , বার মাসে তের পার্বণের দেশ বাংলাদেশে উৎসবের... আনন্দ সবার জন্য। আর তাইত আমাদের সব রকম ধর্ম পরিচয়ের উপরে আমাদের পরিচয় হল আমরা বাঙালি , আমরা মানুষ -এরপর আমরা মুসলমান না হিন্দু না বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান সেই পরিচয় । আর এই ২০১৩ সালের শেষ কয়টা মাস যেন উৎসবের আমেজ দিয়েই শেষ হচ্ছে । একদিকে আমাদের ঈদুল আজহা , হিন্দু ভাই -বোন দের দুর্গা পূজা , বৌদ্ধ ভাই - বোন দের প্রবারনা পূর্ণিমা , আর একের পর এক ফাসির রায়ের আনন্দ তো লেগেই আছে ।

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৩

একটি নতুন শুরু , আজ যে বড় প্রয়োজন

ফেব্রুয়ারি মাসের দিনগুলোর কথা আজকে খুব মনে পরছে । সেই ফেব্রুয়ারি থেকে আজকে অক্টোবর - আট মাস , কিন্তু এই সময়টা শুধুই আট মাস নয় -আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আট মাস । ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু তখন । আর দুই মাস পরেই ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা । মূলত পড়াশুনা , ক্লাস - কোচিং -সায়েন্স কংগ্রেস এইসব নিয়েই আছি তখন । এর মধ্যে একদিন সকালে পেপার খুলেই দেখলাম বাচ্চু রাজাকারের ফাসির রায় হয়েছে - বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ট্রাইব্যুনাল করে প্রথম কোন রাজাকারের ফাসির রায় দেয়া হল । খবর টা শুনে অনেক ভাল লাগছিল আসলেই । এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি এল । কাদের কসাই এর রায় সেদিন । ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প -উপন্যাস -ইতিহাস আমি অনেক পড়তাম , কাজেই অন্তরে তখন রাজাকারদের প্রতি তীব্র ঘৃণা । জামাতের হরতাল ছিল , কাজেই সারাদিন বাসায় । বই সামনে নিয়ে বসে আছি , কিন্তু অপেক্ষা করছি কখন রায়টা দিবে । মা কে জিজ্ঞেস ও করতে পারছিলাম না রায়ের ব্যাপারে । কারন মা এর সাথে এই ব্যাপার নিয়ে তখন তেমন ফ্রি ছিলাম না । মা আমার আগ্রহ টা কিভাবে নিবে , কি মনে করবে -নানা রকম চিন্তা আসছিল মাথায় । কাজেই মা কে জিজ্ঞেস করার চিন্তা বাদ দিলাম । কিন্তু সন্ধ্যার দিকে আমার সাথে কথা বলার সময় মা ই বোমা টা ফাটাল - কসাই এর তো ফাসি হয়নাই , যাবজ্জীবন হয়েছে ।

রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৩

শাহবাগ -একটি ভালোবাসার নাম , একটি মুক্তির নাম , একটি স্বাধীনতার নাম

নিজেদের মধ্যে আমাদের সবার ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতের মিল -অমিল , তর্ক -বিতর্ক থাকবেই । দেশ টা আমাদের সবার , আমরা সবাই এই বাংলাদেশের মানুষ।এক একজন এই বাংলাদেশ টাকে নিয়ে এক একভাবে চিন্তা করবেন , এক একভাবে ভালবাসবেন , উন্নতির জন্য বিভিন্ন রকম চিন্তা করবেন এটাই তো স্বাভাবিক । আমরা সবাই তো এই দেশের মানুষ , কোন রোবট তো না যে আমাদের সবার চিন্তাধারা একই রকম হবে । কিন্তু এক জায়গায় আমরা সবাই এক , আর তা হল আমরা সবাই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই , জামাত -শিবির নিষিদ্ধ চাই। এই জায়গায় সবাই এক কারন এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন , ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা নেয়ার প্রশ্ন। আর আমরা যে যেভাবেই বাংলাদেশ টাকে নিয়ে চিন্তা করি না কেন , সবার প্রেরনার উৎস কিন্তু সেই একই - সংগ্রামী ইতিহাস , মুক্তিযুদ্ধ , ভাষা আন্দোলন , বঙ্গবন্ধু । এই এক ই বিন্দু থেকেই কিন্তু আমরা সবাই দেশ কে নিয়ে চিন্তা করতে বসি , এরপর বিভিন্নমুখী চিন্তা -ভাবনার উদ্ভাবন। রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে আমাদের আন্দোলনের মূলমন্ত্র টা কি ? স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছর পার হয়ে গেছে , এখন ও রাজাকার রা এই স্বাধীন বাংলাদেশে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে বেড়ায় , রাজাকারের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ে আর বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা জেলের গাড়ি থেকে সেই দৃশ্য চেয়ে দেখেন , বীরাঙ্গনা মা , যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ৪২ বছর পর ও সেই খুনি -ধর্ষক দের উল্লাস দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন - এসব আমরা সহ্য করতে পারছিলাম না আর। তিল তিল করে বুকের ভেতর জমতে থাকা আগুন আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের মত বিস্ফোরিত হয়েছিল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে । আর সেই প্রজন্ম চত্বরের যোদ্ধারা কারা ? আমি , আপনি , আমাদের মতই সাধারন মানুষ। সেখানে মা এর হাত ধরে গিয়েছিল কিশোরী মেয়ে , জীবনে কখনও যে মেয়ে সমাবেশ -মিছিল -মীটিং এ যাওয়ার কথা চিন্তাও করেনি , সেই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে নির্দ্বিধায় স্লোগান দিয়েছে জয় বাংলা বলে । বাবার কোলে চড়ে শাহবাগে গিয়েছিল ছোট্ট শিশু । বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ শাহবাগে ধ্বনিত হয়েছিল শিশুর তীব্র প্রতিবাদী কণ্ঠে।

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৩

যুদ্ধাপরাধী এবং জামাত -শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও বাংলাদেশ

সব রাজাকারের পরিবার আর আইনজীবীরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে গেলেই তো হয় , উনি সুবিচার দেক রাজাকার পরিবার গুলাকে , আর এইদিকে আমরা আমাদের কাজ করি মানে ওদের ফাঁসি কার্যকর করি । তাহলেই তো ভাল হয় - রাজাকারের ফাঁসিও হয় , তারাও "স্বচ্ছ , নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক" মানের সুবিচার পায় । দেশের আইনে রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে , আইন অনুযায়ী তা কার্যকর হবে । দেরি হোক , আগে হোক ,পরে হোক কার্যকর হবেই , কারন রায় ফাসির ই হয়েছে । এখন মির্জা ফখরুলরা আর রাজাকারের পরিবার রা মিলে যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে রায় দিয়ে সুবিচার করায় নিতে পারে তাইলে আমাদের তো আর সমস্যা নাই ,মির্জা ফখরুলের কথা তো আর আদালতের রায়ে কোন প্রভাব ফেলবে না । তারা সুবিচার যেহেতু পেয়েছে কাজেই আপিলের ঝামেলায় না গেলেই হয় , সাকার রায়টা তাড়াতাড়ি কার্যকর হয় । তবে সাকার সুবিচার তখন ই হত যদি শহীদ পরিবারের কোন সদস্য কিংবা কোন বীরাঙ্গনা মা কে দায়িত্ব দেয়া হত তাদেরকে যে পরিমান কষ্ট সাকা দিয়েছে সে পরিমান কষ্ট দিয়ে সাকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ।

বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৩

শাহবাগের পথে পথে , শহীদ দীপ তোমায় মনে পরে

কলেজে একজন খুব কাছের বান্ধবীর সাথে একবার শাহবাগ নিয়ে তর্ক হচ্ছিল । সেই মেয়ে এক সময় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল , কাজেই আমি যতটা সম্ভব মাথা ঠাণ্ডা রেখে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম । কিন্তু ওদের তো ভালমত ব্রেইন ওয়াশ করা থাকে , সে কিছুই বুঝল না । তর্ক করতে করতে একসময় আমি বললাম -আচ্ছা , তোরা যে দীপ ভাইয়াকে মারলি এর কি জবাব দিবি ?ইসলাম কি তোদের এই শিক্ষা দেয় ? দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার অপরাধে যে দীপ ভাইয়াকে মারলি , এটাকে কি এখন ইসলাম দিয়ে পরিশুদ্ধ করে নিবি ? সেই মেয়ের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখে আমি তখন বিস্মিত হলাম , সে দীপ ভাইয়াকে মেরে ফেলার ব্যাপার টাও জায়েজ করার চেষ্টা করতে থাকল দীপ এটা করেছে , ওটা করেছে বলে। আর সেগুলো এমন ই অদ্ভুত মিথ্যাচার , স্বয়ং বাঁশের কেল্লাও কখনও এত মিথ্যাচার করেনাই । সেইদিন ওর প্রত্যেকটা মিথ্যার উচিত জবাব দিয়েছিলাম -দিয়ে বলেছিলাম , "তোর সাথে আমার পার্থক্য কি জানিস ? আমার হিরো হলেন দীপ ভাইয়া -যিনি দেশের জন্য আন্দোলন করার অপরাধে শহীদ হয়েছেন , আর তোর হিরো হল খুনি মিসবাহ ।"

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩

শাহবাগে রাত ভোর , স্মৃতিতে একাত্তর - নব ইতিহাসের সাক্ষী রইল প্রজন্ম চত্বর

একটি কিশোরী মেয়ে , নাম মুক্তি , পড়ছিল বাংলাদেশের ইতিহাস । কি অবাক করা ইতিহাস এই বাংলাদেশটার -প্রতি পদক্ষেপে লড়াই এর এমন ইতিহাস সারা পৃথিবীতে আর কোন জাতির নেই । ভাষার জন্য , দেশের জন্য , নিজেদের অধিকারের জন্য , বেঁচে থাকার জন্য , দুমুঠো অন্নের জন্য ,এমন কি প্রান খুলে নিজেদের প্রিয় বাংলাদেশের বিজয়ের স্লোগান "জয় বাংলা " বলার জন্য ও বার বার সংগ্রাম করতে হয়েছে বাঙ্গালিকে । এত রক্ত , এত যুদ্ধ , এত সংগ্র...ামের ইতিহাস এই বাঙ্গালির -এত প্রানশক্তি এই বাঙ্গালির । এই ইতিহাস পড়তে গিয়েই মেয়েটি জানতে পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা - ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা -বোনের আত্মদানের কথা । কিশোরী মেয়েটির কি হয় -সে নিজেকে কল্পনা করতে থাকে সেই বোনের জায়গায় , হাসিমুখে ভাইকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়ে দিয়েছিল যে , আজও যেই বোন তার ভাইএর কবর টুকুও খুঁজে পায়নি । নিজেকে কল্পনা করে সেই মা এর জায়গায় , নিজের চোখের সামনে নিজের শিশু সন্তান কে পাকিস্তানিদের বেয়নেটে মারা যেতে দেখেছেন যিনি , সেই মা এর জায়গায় - শিশু কান্না করলে আশেপাশের সবাই একসাথে ধরা পরে যাবে পাকিস্তানিদের হাতে বুঝতে পেরে যেই মা শিশু সন্তানের মুখ চেপে ধরেছিলেন , পাকিস্তানিরা চলে গেল , সবার জীবন রক্ষা হল -কিন্তু শিশুটি মারা গেল । কিংবা তার সমবয়সী সেই বীরাঙ্গনার জায়গায় , বাঙালি হবার অপরাধে হানাদার রা যার উপর চরিতার্থ করেছে নিজেদের পাশবিক লালসা- মৃত্যুর আগে নিজের রক্ত দিয়ে টর্চার সেলে যে মেয়েটি লিখেছিল জয় বাংলা । এইসব আত্মদানের কথা স্মরন করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কখন মুক্তির চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি ঝরছে সে জানে না ।

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

শাহবাগের জয় হল , সাকা রাজাকারের ফাসি হল

আজকে রাজাকার সাকার রায় দিবে , এই খবর শোনার পর গতকাল থেকে চরম অস্থিরতার মধ্যে ছিলাম। কি হবে , কি হতে যাচ্ছে , ফাঁসি হবে ত -এরকম নানা প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল । কিছুদিন আগে আঘাত , শরীর এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ না - কাজেই শাহবাগ যাব এই আবদার মা এক কথায় উড়ায় দিল যে এখন আমারে ঘর থেকে বের হতে দেবে না । কি আর করা !!!! সারা রাত ঠিক মত ঘুম হয়নি , একবার গল্পের বই পড়ার চেষ্টা করি , একবার ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানোর চেষ্টা করি , অবশেষে ভোরে ফজরের আজানের পর ঘুমাতে পারলাম , কিন্তু অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেল । শরীর ভাল লাগছে না , চোখের একটু উপরে অপারেশনের সেলাই ,ঠিকমতো চোখ খোলাও যাচ্ছে না, ল্যাপটপের দিকে তাকানো আরও ঝামেলা - কিন্তু সাকার রায় বলে কথা!!! সকাল নয়টা থেকে ফেসবুকে বসে আছে এই রায়ের খবর শোনার জন্য । মা বারবার এসে বলছেন এই বস্তুটা মানে ল্যাপটপ টা রাখতে , কিন্তু রায় না শুনে আমি রাখি কিভাবে ?