প্রিয় প্রজন্ম , মনে আছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে কোটি কোটি সহযোদ্ধা আমরা একসাথে শপথ নিয়েছিলাম ? মনে আছে আমরা দিনরাত শাহবাগে অবস্থান করে স্বপ্নের সিঁড়ি নির্মাণের সূচনা করেছিলাম ? মনে আছে কোটি কোটি মোমবাতির আলো জ্বলে উঠেছিল রাতের আঁধার ভেদ করে ? মনে আছে সারা বাংলাদেশ নীরব হয়ে গিয়েছিলাম আমরা একসাথে? মনে আছে সেই সোনালি দিনগুলোর কথা - সেই মহাজাগরনের কথা। যে জাগরণ একে একে এনে দিয়েছে অনেকগুলো রাজাকারের ফাসির রায় , নিশ্চিত করেছে জামাতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিষয়টিও। এ অর্জন আমাদের আন্দোলনের , আমাদের স্লোগানের , আমাদের মিছিলের , আমাদের রক্তের।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , শনিবারে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আমাদের ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশের কথা মনে আছে তো ? যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন , যদি রাজাকারের ফাসি চান তাহলে মনে রাখবেন প্রাণের শাহবাগ ডাকছে আপনাকে - প্রিয় দেশমাতৃকা আপনাকে ডাকছে। এই ডাক মা এর ডাক। মা এর ডাকে কি কোন সন্তান সাড়া না দিয়ে পারে ? না , পারে না। আর তাই ইতিহাস সাক্ষী দেয় আবহমানকাল ধরে বাঙালি বার বার মা এর ডাকে সাড়া দিয়ে , মা এর অধিকার আদায়ের জন্য মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এসেছে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬ , ১৯৬৯ , ১৯৭১ এবং ২০১৩।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , প্রিয় গণজাগরণ মঞ্চের সৈনিকেরা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা নেবার শপথে আবার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ডাকছে আমাদেরকে। আমি জানি যারা মন থেকে সেই ফেব্রুয়ারিতে মিছিলে - স্লোগানে উত্তাল শাহবাগে ছিলেন তারা কখনই শাহবাগের আহবান কে অস্বীকার করতে পারেন না। আমি জানি যে কিশোরী মেয়েটি মাএর হাত ধরে শাহবাগ গিয়েছিল সে স্লোগান ভোলেনি , যে শিশুটি আধো আধো কণ্ঠে উচ্চারন করেছিল - "জয় বাংলা..." তার অন্তর থেকে প্রতিবাদের আগুন কিন্তু নিভে যায়নি। যে বৃদ্ধা মা শাহবাগে ছুটে এসেছিলেন তিনি কিন্তু রাজাকারের ফাসির দাবি ভুলেন নি।
আর সেই অমর স্লোগানগুলোকে কণ্ঠে তুলে নিয়ে শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে আমরা আবার এক হব শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে। শাহবাগ কে হারাতে পারে এমন কোন শক্তি নেই। মনে আছে মা জাহানারা ইমামের শেষ চিঠির কথা? মা বলেছিলেন - " এ আন্দোলন কে সুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে , আমি জানি জনগনের চেয়ে বিশ্বস্ত কেউ নেই। জয় আমাদের হবেই।" তাহলে প্রিয় সহযোদ্ধারা , দেখা হবে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে , কথা হবে স্লোগানে- স্লোগানে - দাবি আদায় হবে মিছিলে উত্তাল রাজপথে।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , শনিবারে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আমাদের ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশের কথা মনে আছে তো ? যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন , যদি রাজাকারের ফাসি চান তাহলে মনে রাখবেন প্রাণের শাহবাগ ডাকছে আপনাকে - প্রিয় দেশমাতৃকা আপনাকে ডাকছে। এই ডাক মা এর ডাক। মা এর ডাকে কি কোন সন্তান সাড়া না দিয়ে পারে ? না , পারে না। আর তাই ইতিহাস সাক্ষী দেয় আবহমানকাল ধরে বাঙালি বার বার মা এর ডাকে সাড়া দিয়ে , মা এর অধিকার আদায়ের জন্য মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এসেছে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬ , ১৯৬৯ , ১৯৭১ এবং ২০১৩।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , প্রিয় গণজাগরণ মঞ্চের সৈনিকেরা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা নেবার শপথে আবার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ডাকছে আমাদেরকে। আমি জানি যারা মন থেকে সেই ফেব্রুয়ারিতে মিছিলে - স্লোগানে উত্তাল শাহবাগে ছিলেন তারা কখনই শাহবাগের আহবান কে অস্বীকার করতে পারেন না। আমি জানি যে কিশোরী মেয়েটি মাএর হাত ধরে শাহবাগ গিয়েছিল সে স্লোগান ভোলেনি , যে শিশুটি আধো আধো কণ্ঠে উচ্চারন করেছিল - "জয় বাংলা..." তার অন্তর থেকে প্রতিবাদের আগুন কিন্তু নিভে যায়নি। যে বৃদ্ধা মা শাহবাগে ছুটে এসেছিলেন তিনি কিন্তু রাজাকারের ফাসির দাবি ভুলেন নি।
আর সেই অমর স্লোগানগুলোকে কণ্ঠে তুলে নিয়ে শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে আমরা আবার এক হব শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে। শাহবাগ কে হারাতে পারে এমন কোন শক্তি নেই। মনে আছে মা জাহানারা ইমামের শেষ চিঠির কথা? মা বলেছিলেন - " এ আন্দোলন কে সুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে , আমি জানি জনগনের চেয়ে বিশ্বস্ত কেউ নেই। জয় আমাদের হবেই।" তাহলে প্রিয় সহযোদ্ধারা , দেখা হবে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে , কথা হবে স্লোগানে- স্লোগানে - দাবি আদায় হবে মিছিলে উত্তাল রাজপথে।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন