ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনা মা ... কথাটাকে শুধু বইপত্রে পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটু অন্তর থেকে ভাবতে চেষ্টা করুন... একবার নিজেকে কল্পনা করুন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গায় - নববধুকে ঘরে রেখে যিনি মুক্তিযুদ্ধে ছুটে গিয়েছিলেন.... কল্পনা করুন সেই নববধুর জায়গায়... পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকার রা যাকে ধর্ষণ করেছে , হত্যা করেছে। কিংবা কল্পনা করুন আপনার সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানটিকে আপনার সামনে ক...েউ বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারল ... কি , পারছেন কল্পনা করতে ? কিংবা আপনার সামনে আপনার পরিবারের সবাইকে গুলি করে মারল ... পরিবারের সদস্যদের মুখের দিকে একবার তাকান , এরপর নিজেকে প্রশ্ন করুন এই প্রিয় মানুষগুলোকে যদি কেউ গুলি করে মারে আপনি সহ্য করতে পারবেন কিনা...?? কিংবা পাকিস্তানিদের টর্চার সেলে কল্পনা করুন আপনাকে কিংবা আপনার সন্তানদের কাউকে....কিংবা আপনার কোন প্রিয়জনকে ... পারছেন কল্পনা করতে ? এত রক্ত , এত ত্যাগ , এত অশ্রুজলের বিনিময়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে।
বাংলাদেশ আমাদের পরিবার। আমরা সবাই এই বাংলাদেশ নামক পরিবারের সদস্য। আমাদের মা -বাবা - ভাই - বোনদের ১৯৭১ সালে খুন করেছিল , অত্যাচার করেছিল , নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি হানাদার আর তাদের দোসর রাজাকার - আলবদরেরা। সেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা পেলাম আমাদের মহান স্বাধীনতা ... স্বাধীনতা ... কত মধুর একটা শব্দ , তাইনা ? আমার কাছে আমার সবচেয়ে প্রিয় তিনটা শব্দ হল - মা , বাংলাদেশ , স্বাধীনতা ..। যত বড় কষ্ট ই হোক না কেন... মা কে একবার জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে কিংবা দরজা বন্ধ করে জাতীয় পতাকাটা বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে সব কষ্টের উপশম হতে বাধ্য ... অন্তত আমার কাছে... আমার কাছে আমার মা আর আমার বাংলাদেশ একে অপরের সমার্থক ...। মা , তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি ... ভালোবাসি বাংলা মা তোমাকেও ... ঠিক আমার মা এর সমান...।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ... আমাদেরকে দিয়েছেন স্বাধীনতা ... পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ... আজ আমরা স্বাধীন একটা দেশের নাগরিক। ঐ মুক্ত আকাশের দিকে তাকান , উদীয়মান লাল সূর্যের দিকে তাকান কিংবা নির্ভয়ে মাথায় পতাকা বেঁধে ছুটে যাওয়া কিশোরীর দিকে তাকান... শাহবাগের উত্তাল জনসমুদ্রের দিকে তাকান... অন্তর থেকে একবার উচ্চারন করুন - "স্বাধীনতা" ... অদ্ভুত একটা প্রশান্তিতে মন ভরে যাবে । অনেক রক্ত আর ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে দেশদ্রোহী রাজাকার - আলবদর দের কোন ঠাই নাই ... বাংলাদেশে রাজাকারদের কোন স্থান নাই... মীরজাফর দের স্থান স্বাধীন বাংলায় হবে না ... এই প্রত্যয় নিয়েই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে আমাদের নতুন সংগ্রাম... এবারের সংগ্রাম... রাজাকারমুক্ত বাংলা গড়ার সংগ্রাম...।
অনেকগুলো মাস পার হয়ে গেছে ...আন্দোলনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে অনেকগুলো মাস... অর্জনের তালিকাটাও আমাদের অনেক বড় ... যারা একদিন এই বাংলাদেশে মন্ত্রী হয়েছিল তাদেরকে যে আমরা ফাসির রায় শুনাতে পেরেছি এটাই বা কম কিসে ? যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহন বাতিল হয়েছে , জামাতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে... আমাদের স্বপ্ন রাজাকারমুক্ত বাংলা গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি আমরা। এখন শুধু একটি চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা ... যে কসাই কাদেরের বিজয় চিহ্ন সহ্য করতে না পেরে শাহবাগের জন্ম সেই কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকরের অপেক্ষা...। অনেক বেশি ই অপেক্ষা করতে হচ্ছে এজন্য আমাদের , জানি। ওকে , আমরাও অপেক্ষা করতে পারি। কতদিন করতে হবে এই কঠোর প্রতীক্ষা ? এক মাস , দুই মাস ...? কিংবা নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ? বিয়াল্লিশ বছর যখন অপেক্ষা করতে পেরেছি আর কিছুদিন অবশ্যই পারব আমরা। আমাদেরকে যে পারতেই হবে । রাজাকারের ফাসি না নিয়ে ঘরে ফিরব না বলে যে শপথ নিয়েছি আমরা ...। বাংলা মা এর কাছে শপথ... দেশমাতৃকার কাছে শপথ...।
এবারের বিজয় দিবসে ... ১৬ ই ডিসেম্বর , ২০১৩ তে আবার ঐক্যবদ্ধ হোক সারা বাঙালি জাতি । 'বিজয় ২০১৩' - বিশ্বজুড়ে বাংলার বিজয় ছড়িয়ে পরুক পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে...। সারা বিশ্বে যেখানেই বাঙালি সেখানেই ছড়িয়ে যাক মহান বিজয় দিবসের বিজয় আনন্দ...। সেইদিন বিকাল ৪ টা ৩১ মিনিটে পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি আছে সেখানেই গাওয়া হবে রক্তে অর্জিত জাতীয় সঙ্গীত - "আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ...।" বিশ্ববাসী দেখুক আমাদের একতা , আমাদের শক্তি - দেখুক বাঙালি এক হয়ে জ্বলে উঠতে পারে বারবার। আসুন হাতে হাত রেখে গড়ি একটি বিশ্ব রেকর্ড । জানিয়ে দেই সারা পৃথিবীকে ... আমরা বাংলাদেশের মানুষ , আমরা বাংলাদেশ কে ভালোবাসি , আমার সোনার বাংলায় কোন রাজাকার - আলবদরের ঠাই নাই...।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
বাংলাদেশ আমাদের পরিবার। আমরা সবাই এই বাংলাদেশ নামক পরিবারের সদস্য। আমাদের মা -বাবা - ভাই - বোনদের ১৯৭১ সালে খুন করেছিল , অত্যাচার করেছিল , নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি হানাদার আর তাদের দোসর রাজাকার - আলবদরেরা। সেই পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা পেলাম আমাদের মহান স্বাধীনতা ... স্বাধীনতা ... কত মধুর একটা শব্দ , তাইনা ? আমার কাছে আমার সবচেয়ে প্রিয় তিনটা শব্দ হল - মা , বাংলাদেশ , স্বাধীনতা ..। যত বড় কষ্ট ই হোক না কেন... মা কে একবার জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে কিংবা দরজা বন্ধ করে জাতীয় পতাকাটা বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষন কাঁদতে পারলে সব কষ্টের উপশম হতে বাধ্য ... অন্তত আমার কাছে... আমার কাছে আমার মা আর আমার বাংলাদেশ একে অপরের সমার্থক ...। মা , তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি ... ভালোবাসি বাংলা মা তোমাকেও ... ঠিক আমার মা এর সমান...।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ... আমাদেরকে দিয়েছেন স্বাধীনতা ... পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ... আজ আমরা স্বাধীন একটা দেশের নাগরিক। ঐ মুক্ত আকাশের দিকে তাকান , উদীয়মান লাল সূর্যের দিকে তাকান কিংবা নির্ভয়ে মাথায় পতাকা বেঁধে ছুটে যাওয়া কিশোরীর দিকে তাকান... শাহবাগের উত্তাল জনসমুদ্রের দিকে তাকান... অন্তর থেকে একবার উচ্চারন করুন - "স্বাধীনতা" ... অদ্ভুত একটা প্রশান্তিতে মন ভরে যাবে । অনেক রক্ত আর ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে দেশদ্রোহী রাজাকার - আলবদর দের কোন ঠাই নাই ... বাংলাদেশে রাজাকারদের কোন স্থান নাই... মীরজাফর দের স্থান স্বাধীন বাংলায় হবে না ... এই প্রত্যয় নিয়েই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে আমাদের নতুন সংগ্রাম... এবারের সংগ্রাম... রাজাকারমুক্ত বাংলা গড়ার সংগ্রাম...।
অনেকগুলো মাস পার হয়ে গেছে ...আন্দোলনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে অনেকগুলো মাস... অর্জনের তালিকাটাও আমাদের অনেক বড় ... যারা একদিন এই বাংলাদেশে মন্ত্রী হয়েছিল তাদেরকে যে আমরা ফাসির রায় শুনাতে পেরেছি এটাই বা কম কিসে ? যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহন বাতিল হয়েছে , জামাতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে... আমাদের স্বপ্ন রাজাকারমুক্ত বাংলা গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি আমরা। এখন শুধু একটি চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা ... যে কসাই কাদেরের বিজয় চিহ্ন সহ্য করতে না পেরে শাহবাগের জন্ম সেই কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকরের অপেক্ষা...। অনেক বেশি ই অপেক্ষা করতে হচ্ছে এজন্য আমাদের , জানি। ওকে , আমরাও অপেক্ষা করতে পারি। কতদিন করতে হবে এই কঠোর প্রতীক্ষা ? এক মাস , দুই মাস ...? কিংবা নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ? বিয়াল্লিশ বছর যখন অপেক্ষা করতে পেরেছি আর কিছুদিন অবশ্যই পারব আমরা। আমাদেরকে যে পারতেই হবে । রাজাকারের ফাসি না নিয়ে ঘরে ফিরব না বলে যে শপথ নিয়েছি আমরা ...। বাংলা মা এর কাছে শপথ... দেশমাতৃকার কাছে শপথ...।
এবারের বিজয় দিবসে ... ১৬ ই ডিসেম্বর , ২০১৩ তে আবার ঐক্যবদ্ধ হোক সারা বাঙালি জাতি । 'বিজয় ২০১৩' - বিশ্বজুড়ে বাংলার বিজয় ছড়িয়ে পরুক পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে...। সারা বিশ্বে যেখানেই বাঙালি সেখানেই ছড়িয়ে যাক মহান বিজয় দিবসের বিজয় আনন্দ...। সেইদিন বিকাল ৪ টা ৩১ মিনিটে পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি আছে সেখানেই গাওয়া হবে রক্তে অর্জিত জাতীয় সঙ্গীত - "আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ...।" বিশ্ববাসী দেখুক আমাদের একতা , আমাদের শক্তি - দেখুক বাঙালি এক হয়ে জ্বলে উঠতে পারে বারবার। আসুন হাতে হাত রেখে গড়ি একটি বিশ্ব রেকর্ড । জানিয়ে দেই সারা পৃথিবীকে ... আমরা বাংলাদেশের মানুষ , আমরা বাংলাদেশ কে ভালোবাসি , আমার সোনার বাংলায় কোন রাজাকার - আলবদরের ঠাই নাই...।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন