সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করে কিসের রাজনীতি ? জীবন্ত মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে কিসের রাজনীতি ? আমি একটা সোজা হিসাব বুঝি না - একজন মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষের গায়ে আগুন দিতে পারে। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে অসহ্য যন্ত্রণায় যে মানুষগুলো কাতরাচ্ছেন তারাও তো কারও মা - বাবা - ভাই - বোন, নাকি ?জামাত - শিবিরের রক্তচোষা জানোয়ারদের রক্তের নেশা মেটানোর জন্য কি এভাবে বলি হতে হবে সাধারন মানুষকে ? একাত্তর থেক...ে আজ পর্যন্ত এই রাক্ষস দের , এই দেশদ্রোহীদের রক্তের পিপাসা মেটেনি, আর সেইজন্য প্রতিনিয়ত বলি হতে হচ্ছে মনিরদের ... এই দুঃস্বপ্নের অবসান কোথায় ?
একবার ভাবুন , অবরোধে কিন্তু স্কুল - কলেজ - অফিস -আদালত কিছু বন্ধ থাকে না। জীবন এগিয়ে চলে তার নিজের গতিতেই। জীবিকার প্রয়োজনেই মানুষকে রাস্তায় বের হতে হবেই - আর দিনশেষে কি ঘরে ফেরার পরিবর্তে ঠিকানা হবে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট? আজকে যে মানুষগুলো আগুনে পুড়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাদের কেউ হয়ত জীবিত ফিরে যাবেন পরিবারের কাছে , কেউ ফিরবেন না , কাউকে হয়ত পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হবে সারাজীবনের জন্য ... কি অপরাধ এই মানুষগুলোর ? বাঙালি হওয়া , পাকিস্তানি না হওয়া ?
একাত্তরে সারা বাংলাদেশে এক ই ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী , জ্বালিয়ে দিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম , পুড়িয়ে মেরেছিল জীবন্ত মানুষকে। সারা বাংলাদেশকে পরিনত করেছিল বার্ন ইউনিটে। পাকিস্তানি হায়েনারা ভুলিস না এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে রাখা প্রজন্ম। এই প্রজন্ম রাজাকারের ফাসির দাবিতে জেগে উঠে দাবি আদায় করে নিতে জানে - দিনের পর দিন , রাতের পর রাত প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নিতে পারে রাজাকারের ফাসির দাবিতে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকিস্তানিরা যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল , এই প্রজন্মের কাছে তোদের সেই পরাজয়ও আসন্ন। কাদের কসাই এর ফাসি , বাংলার মাটিতে তোদের চূড়ান্ত পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ প্রজন্ম মুক্তিকামী জনস্রোত ...
নেবেই নেবে একাত্তরের প্রতিশোধ ...
একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার ...
রাজাকারের ফাসি হোক , শহীদরা পাক ন্যায়বিচার।
জয় বাংলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন