নির্বাচন , গণতন্ত্র , রাজনীতি - অনেক উচ্চ পর্যায়ের শব্দ এগুলো। এসব বোঝার জন্য আমাদের জন্ম হয়নি , আমাদের জন্ম হয়েছে এসবের বলি হওয়ার জন্য। এই ঘৃণ্য খেলায় খেলোয়াড় না হওয়াটাই অপরাধ , শীতের কাপড় কিনতে যাওয়া অপরাধ , জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হওয়া অপরাধ। সবকিছুর মূল্য আছে - গণতন্ত্র , রাজনীতি সবকিছুর মূল্য আছে - মূল্যহীন শুধু মানুষ , মূল্যহীন শুধু মনির , নাহিদ , রবিন কিংবা বার্ন ইউনিটের আরও মানুষগুলো , ...মূল্যহীন শুধু মানুষের জীবন। অমূল্য গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে সবকিছুই সম্ভব - সম্ভব না শুধু কিছু সাধারন মানুষের জীবন রক্ষা করা। সম্ভব না শুধু রক্তের খেলা থামানো... সম্ভব না শুধু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ...।।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩
একাত্তরের চিঠি - ইতিহাসের জ্বলন্ত সাক্ষী
'একাত্তরের চিঠি'র প্রচ্ছদে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রায় মলিন হয়ে আসা চিঠির মাঝে জ্বলজ্বলে অক্ষরে এক একটি বাংলা অক্ষর , আর সেই চিঠির ওপর টকটকে লাল রক্ত। এই চিঠিরা ইতিহাস , ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতি, অসঙ্খ্য মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি। ইতিহাসের ভেতর থেকে উঠে আসে আরেক ইতিহাস - রনাঙ্গনের নানা ছোট - বড় স্মৃতি , কিংবা মা এর কাছে আকুল আবেদন -"মা , মাগো। দুটি পায়ে পড়ি মা। তোমার ছেলে ও মেয়েকে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে... ঘরে আটকে রেখ না। ছেড়ে দাও স্বাধীনতার উত্তপ্ত রক্তপথে। শহীদ হয়ে অমর হব , গাজী হয়ে তোমারই কোলে ফিরে আসব মা। মাগো, জয়ী আমরা হবই। দোয়া রেখ। জয় বাংলা।" এই ইতিহাসকে বুকে নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি , এই রক্তভেজা ইতিহাসের জন্যই আমরা নিজেদেরকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি... মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি...। মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি...।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩
রক্তচোষা জানোয়ার , এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়
সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করে কিসের রাজনীতি ? জীবন্ত মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে কিসের রাজনীতি ? আমি একটা সোজা হিসাব বুঝি না - একজন মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষের গায়ে আগুন দিতে পারে। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে অসহ্য যন্ত্রণায় যে মানুষগুলো কাতরাচ্ছেন তারাও তো কারও মা - বাবা - ভাই - বোন, নাকি ?জামাত - শিবিরের রক্তচোষা জানোয়ারদের রক্তের নেশা মেটানোর জন্য কি এভাবে বলি হতে হবে সাধারন মানুষকে ? একাত্তর থেক...ে আজ পর্যন্ত এই রাক্ষস দের , এই দেশদ্রোহীদের রক্তের পিপাসা মেটেনি, আর সেইজন্য প্রতিনিয়ত বলি হতে হচ্ছে মনিরদের ... এই দুঃস্বপ্নের অবসান কোথায় ?
একবার ভাবুন , অবরোধে কিন্তু স্কুল - কলেজ - অফিস -আদালত কিছু বন্ধ থাকে না। জীবন এগিয়ে চলে তার নিজের গতিতেই। জীবিকার প্রয়োজনেই মানুষকে রাস্তায় বের হতে হবেই - আর দিনশেষে কি ঘরে ফেরার পরিবর্তে ঠিকানা হবে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট? আজকে যে মানুষগুলো আগুনে পুড়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাদের কেউ হয়ত জীবিত ফিরে যাবেন পরিবারের কাছে , কেউ ফিরবেন না , কাউকে হয়ত পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হবে সারাজীবনের জন্য ... কি অপরাধ এই মানুষগুলোর ? বাঙালি হওয়া , পাকিস্তানি না হওয়া ?
একাত্তরে সারা বাংলাদেশে এক ই ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী , জ্বালিয়ে দিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম , পুড়িয়ে মেরেছিল জীবন্ত মানুষকে। সারা বাংলাদেশকে পরিনত করেছিল বার্ন ইউনিটে। পাকিস্তানি হায়েনারা ভুলিস না এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে রাখা প্রজন্ম। এই প্রজন্ম রাজাকারের ফাসির দাবিতে জেগে উঠে দাবি আদায় করে নিতে জানে - দিনের পর দিন , রাতের পর রাত প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নিতে পারে রাজাকারের ফাসির দাবিতে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকিস্তানিরা যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল , এই প্রজন্মের কাছে তোদের সেই পরাজয়ও আসন্ন। কাদের কসাই এর ফাসি , বাংলার মাটিতে তোদের চূড়ান্ত পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ প্রজন্ম মুক্তিকামী জনস্রোত ...
নেবেই নেবে একাত্তরের প্রতিশোধ ...
একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার ...
রাজাকারের ফাসি হোক , শহীদরা পাক ন্যায়বিচার।
জয় বাংলা।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩
সাবাশ বাংলাদেশ , এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় , জ্বলে - পুড়ে - মরে ছারখার , তবু মাথা নোয়াবার নয়।
একটি প্রজন্মের যখন জাগরণ হয় , তখন সে জাগরণের জোয়ারে সবরকম অপশক্তি পরাজিত হতে বাধ্য। একটি জাতির তরুণ সমাজ যখন জেগে উঠতে জানে , তখন সেই জাতিকে দমাতে পারে এমন শক্তি নেই। বাঙালি এমন একটা জাতি যে জাতির জন্ম বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। প্রতিটা বাঙালি জন্ম থেকে বিপ্লবের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ - আর সেজন্যই মুখ বুজে সহ্য করার স্বভাব বাঙ্গালির নেই। বাঙালি জাতি এমন একটি জাতি , মায়ের মুখের ভাষায় কথা বলার অধ...িকারটাও যাদের সংগ্রাম করে আদায় করতে হয়েছে , রক্ত ঝরিয়ে আদায় করতে হয়েছে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা , বাংলাদেশ নামক ছোট্ট সবুজ দেশটি রক্তের দামে কেনা , মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জন করে নেয়া , ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের দামে , দুই লাখ বীরাঙ্গনা মাএর সম্ভ্রমের দামে কেনা এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ ...। সেজন্যই তো বাংলাদেশ কে নিয়ে , বাঙ্গালিকে নিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন - "সাবাশ বাংলাদেশ , এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার , তবু মাথা নোয়াবার নয়।"
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ , চিরদিন যে দেশের নরম পলিমাটিতে জন্ম নেয় সচেতনতার ধান - শত জরা , মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে অনন্ত অক্ষত মূর্তিতে বাংলাদেশ জাগতে জানে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের দিয়াশলাই বাংলাদেশের প্রতিটা তরুন প্রাণে সদা জাগ্রত । তাই বাংলা মায়ের কলঙ্কমোচনের প্রশ্নে ভিসুভিয়াসের মহাবিস্ফোরণের মত বাঙালি বারবার জেগে উঠেছে, উঠবে। '৫২ , '৬২ , '৬৬ , '৬৯ , '৭১ , '৯০ , '৯২ , '২০১৩ - এক একটা সাল - রক্তের দামে লাল - সবুজ মানচিত্র আঁকার এক একটি বছর। শহীদ সালাম - বরকত - রফিক - শফিক - জব্বার কিংবা শহীদ রুমী -বদি -আজাদ - সুরকার আলতাফ মাহমুদ - ক্রিকেটার জুয়েল - অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী - মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী - জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কিংবা নাম না জানা আরও ত্রিশ লাখ শহীদ , কিংবা শহীদ রাজীব , দীপ , জগতজ্যোতি , জাফর মুন্সি - কি সুন্দর থোকা থোকা পুষ্পগুচ্ছের মত এক একটি নাম, এক একজন শহীদের নাম যাদের রক্তস্রোতে প্লাবিত বাংলার মাটি।
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ , চিরদিন যে দেশের নরম পলিমাটিতে জন্ম নেয় সচেতনতার ধান - শত জরা , মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে অনন্ত অক্ষত মূর্তিতে বাংলাদেশ জাগতে জানে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের দিয়াশলাই বাংলাদেশের প্রতিটা তরুন প্রাণে সদা জাগ্রত । তাই বাংলা মায়ের কলঙ্কমোচনের প্রশ্নে ভিসুভিয়াসের মহাবিস্ফোরণের মত বাঙালি বারবার জেগে উঠেছে, উঠবে। '৫২ , '৬২ , '৬৬ , '৬৯ , '৭১ , '৯০ , '৯২ , '২০১৩ - এক একটা সাল - রক্তের দামে লাল - সবুজ মানচিত্র আঁকার এক একটি বছর। শহীদ সালাম - বরকত - রফিক - শফিক - জব্বার কিংবা শহীদ রুমী -বদি -আজাদ - সুরকার আলতাফ মাহমুদ - ক্রিকেটার জুয়েল - অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী - মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী - জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা কিংবা নাম না জানা আরও ত্রিশ লাখ শহীদ , কিংবা শহীদ রাজীব , দীপ , জগতজ্যোতি , জাফর মুন্সি - কি সুন্দর থোকা থোকা পুষ্পগুচ্ছের মত এক একটি নাম, এক একজন শহীদের নাম যাদের রক্তস্রোতে প্লাবিত বাংলার মাটি।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩
আমার প্রতি নিঃশ্বাসের বিষে , বিশ্বের যন্ত্রনার ভাষা...
প্রজন্ম চত্বরে জাফর ইকবাল স্যারের বক্তৃতাটা শুনে সেইদিনও কেঁদেছিলাম , আজও মাঝে মাঝেই ঐ বক্তৃতাটা শুনি আর কাঁদি, অনেক হতাশার মাঝেও স্যারের কথাগুলো আশা জাগায় , নতুন করে ভাবতে শেখায়। স্যার বলেছিলেন -"জাহানারা ইমামের ছবি আছে , জাহানারা ইমাম উপর থেকে দেখছেন ... আজকে ত্রিশ লক্ষ শহীদ উপর থেকে দেখছেন , আর বলছেন - থ্যাঙ্ক ইউ , থ্যাঙ্ক ইউ ... তোমাদেরকে ধন্যবাদ ...। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান একটা জাতি। যখন বঙ্গবন...্ধুকে দরকার ছিল , বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি ... যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে , তাজউদ্দিন আহমেদ আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন , এখন তোমাদের দরকার তোমাদের পেয়েছি ... এই বাংলাদেশ কে আর কেউ হারাতে পারবে না ...। "
যখন থেকে রাজ রাণীর গল্প পড়ার স্তর থেকে বের হয়ে সবরকম গল্পের বই পড়া শুরু করেছি , তখন থেকে জাফর ইকবাল স্যার আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। একজন কিশোরের মনের কথাগুলো স্যার কিভাবে বুঝেন জানি না, কিন্তু সত্যি ওনার বইগুলো পড়লে মনে হয় আমার যে এইরকম বকুলাপু হতে ইচ্ছা করে সেটা স্যার কিভাবে জানলেন ? আর সায়েন্স ফিকশনের ব্যাপারে যদি বলতে চাই - এত সুন্দর করে বিজ্ঞানকে আমাদের সামনে তুলে ধরা জাফর ইকবাল স্যার ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব না। আমেরিকায় নিশ্চিত জীবন সবকিছু ছেড়ে স্যার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কে আঁকড়ে পরে আছেন .....।
যখন থেকে রাজ রাণীর গল্প পড়ার স্তর থেকে বের হয়ে সবরকম গল্পের বই পড়া শুরু করেছি , তখন থেকে জাফর ইকবাল স্যার আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। একজন কিশোরের মনের কথাগুলো স্যার কিভাবে বুঝেন জানি না, কিন্তু সত্যি ওনার বইগুলো পড়লে মনে হয় আমার যে এইরকম বকুলাপু হতে ইচ্ছা করে সেটা স্যার কিভাবে জানলেন ? আর সায়েন্স ফিকশনের ব্যাপারে যদি বলতে চাই - এত সুন্দর করে বিজ্ঞানকে আমাদের সামনে তুলে ধরা জাফর ইকবাল স্যার ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব না। আমেরিকায় নিশ্চিত জীবন সবকিছু ছেড়ে স্যার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কে আঁকড়ে পরে আছেন .....।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ... বয়ে আনুক নতুন বিজয়...
প্রতিটা দিন নতুন নতুন সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয় ... নতুন নতুন প্রতিযোগিতা , নতুন নতুন সংবাদ । প্রতিটা সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মাঝে লেখা হয় জীবনের অনেক ইতিহাস ... বাংলাদেশের নরম পলিমাটির বুকে মাটির মানুষের পথ চলা.....। প্রতিটা দিনের সূচনা একটা আশা নিয়ে - হয়ত আজই পাব সুখবর ... ধাপে ধাপে প্রত্যেকদিন একটু একটু করে স্বপ্নের রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের হাতে এসে ধরা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ... গতকাল পূর্ণাঙ্গ রায়... লেখা শেষ হল, কিছুক্ষন আগে সমকাল অনলাইন নিউজে দেখলাম রায় আগামী তিনদিনের মধ্যেই প্রকাশ হতে যাচ্ছে ... এরপর আর কি - দিন গণনা শুরু ... এই রায় কার্যকরে জেল কোড মানে ২১ থেকে ২৮ দিনের হিসাব নাকি কার্যকর হবে না শুনছি - তাহলে তো এবারের বিজয় দিবসের মধ্যেই কসাই এর ফাসি কার্যকরের আশাটুকু আমরা করতেই পারি , নাকি ???
সেজন্যই বলি প্রতিটা দিন নতুন নতুন সম্ভাবনার সূচনা ...। শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমায় না। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের সেই গনজাগরনে যখন গিয়েছিলাম প্রথম , তখন কি কল্পনা করতে পেরেছিলাম নয় মাস পরে একদিন ফাসি কার্যকরের এত কাছাকাছি চলে আসব আমরা ? কিন্তু হ্যা , আমরা পেরেছি। এ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি , রাজাকার রাও এ প্রজন্মের যুদ্ধ দেখেনি , দেখিয়ে দেয়ার এখনি সময়...। প্রজন্ম চত্বরের সেই ব্যানারে লেখা কথাগুলো বাস্তবে পরিণত করার জন্যই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর জেগে আছে , জেগে থাকবে। প্রজন্ম চত্বর জেগে আছে সারা বিশ্বের বাঙ্গালিকে একটি অন্যরকম বিজয় আনন্দ উপহার দেয়ার জন্য ... কাদের কসাই এর ফাসি উপহার দেয়ার জন্য। এবারের 'বিজয় ২০১৩' - বিশ্বজুড়ে বাংলার বিজয় ছড়িয়ে যাবে সারা বিশ্বে। সারা পৃথিবী অবাক হয়ে দেখবে বাঙালি জ্বলে - পুড়ে - মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয় ...।
আসছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মহান এই বিজয়ের মাসে কার্যকর হোক ঘৃণ্য রাজাকার কসাই কাদেরের ফাসি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন পূর্ণতা পাক বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এসে ...। স্বপ্ন পূরণ হোক বাঙ্গালির , বিয়াল্লিশ বছরের কলঙ্কের অবসান ঘটুক প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের মত করে অমর হয়ে থাক ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসও ...। এক ই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই এর বিজয়চিহ্ন ধারক হয়ে বেচে থাকুক বাংলাদেশ ... বেঁচে থাকুক রক্তে ভেজা ইতিহাসের পাতা ... জেগে থাকুক শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর।
জয় বাংলা।
রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৩
মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় , রাজাকারের ঠাই নাই...
প্রত্যেকটা প্রতীক্ষার ই একটা অবসান আছে ... প্রত্যেকটা যুদ্ধের ই একটা শেষ আছে ... প্রত্যেকটা সংগ্রামেরই একটা সমাপ্তি আছে ... শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের রাজাকারবিরোধী আন্দোলন হয়ত এবার এগিয়ে যাচ্ছে সব প্রতীক্ষার অবসান করে মহান বিজয়ের দিকে ... কাদের কসাই এর ফাসি কার্যকরের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ..।। অনেক অনেক মাস ধরে আন্দোলন চলার পর একদিন আইন সংশোধন করে কসাই এর রায় এসেছে ফাসির। সেই রায় প্রকাশের ৬৭ দিন পর আজক...ে পূর্ণাঙ্গ রায় লিখা শেষ হয়েছে ... যে কোন দিন প্রকাশ হবে এই রায় এখন- এরপর? এরপর দি গ্রেট কাউন্টডাউন স্টার্টস ... ৩০ দিন , ২৯ দিন করে একসময় জিরো আওয়ারে এসে থামবে ঘড়ির কাটা। কসাই এর ফাসি কার্যকর হবে... আমার সোনার বাংলা কলঙ্কমুক্ত হবে চিরকালের মত...।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৩
আর তো কিছুই চাইনা ওদের ফাসি ই দিয়ে দেন না...
প্রতীক্ষা ... একটি নতুন ভোরের জন্য , প্রতীক্ষা একটা সুন্দর সকালের জন্য - যে নতুন ভোরে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলার লাল- সবুজ পতাকা বুকে জড়িয়ে ছুটে যাব শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ...শুধু রাজাকারের ফাসির দাবি নিয়ে নয় , রাজাকারের ফাসির দাবি পূরণ হওয়ার আনন্দে। অপেক্ষা... অসহ্য এই অপেক্ষা। বিয়াল্লিশ বছর তো হল অপেক্ষা , তিল তিল করে জমে ওঠা পাহাড়প্রমাণ ক্ষোভের বিস্ফোরণও হল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে, ফাসির র...ায়ও হল ... চূড়ান্ত বিজয় টার জন্য আর কতদিন ? আর কতমাস কিংবা আর কত বছর ? যত বছর ই প্রয়োজন হোক সব কয়টা রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝুলাতে আমরা জেগে থাকব অবশ্যই ... কিন্তু দশ মাস ধরে একটা আন্দোলন চলার পরে , মুক্তিযুদ্ধের পর ৪২ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরে , অন্তত একটা রাজাকারের ফাসি কার্যকর কি আশা করতে পারিনা ? খুব বড় আশা হবে সেটা ? খুব বেশি চাওয়া হয়ে যাবে ?
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৩
তীরহারা এই ঢেউএর সাগর পাড়ি দেব রে...
রক্তপলাশে ঢাকা বাংলার প্রকৃতি প্রতিমুহূর্তে সেজে উঠতে পারে নতুন রুপে... প্রতিমুহূর্তে মনে করিয়ে দেয় প্রজন্ম চত্বরের আগুনঝরা স্লোগান। রাতের আকাশের কালো চাদর ভেদ করে কি ছোট্ট গোল থালার মত একটা চাঁদ উঠেছে ? চন্দ্রস্নানে কি ব্যস্ত পৃথিবী ? শহরের যান্ত্রিক জীবনের মধ্যেও কোন এক জলাশয়ে কি সবার অগোচরে জ্যোৎস্না অপূর্ব দৃশ্যপট সৃষ্টি করছে? জানি না। কর্পোরেট শহরের ইট - কাঠ - পাথরের দেয়াল ভেদ করে রূপালী জ্যো...ৎস্নার আলো আমাদের কাছে পৌছায় না। আর যতটুকুই বা পৌছায় , তা এখন আর মনকে কোন কল্পনা , কোন রোমান্টিসিজমে মুগ্ধ করে না। ইট - কাঠের খাঁচার মধ্যে দিয়ে একটু একটু করে মেঘলুপ্ত সূর্যের মত দেখা দেয়া জ্যোৎস্না আমাকে মনে করায় , ত্রিশ লাখ শহীদ এখন আকাশের নক্ষত্র হয়ে আমাদের দেখছেন , মা জাহানারা ইমাম হয়ত মিশে আছেন এই ফোঁটা ফোঁটা চাঁদের আলোর মধ্যেই , হয়ত হাসছেন তাঁর পাগল ছেলেমেয়েদের কাজ দেখে ...এরা যে তাঁরই স্বপ্ন সফল করার জন্য লড়ছে।
বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩
একদিন থেমে থাকা ঘড়ির কাঁটা আবার চলতে শুরু করবে... একদিন কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকর হবে...।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের যেদিন ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল তখন পড়তাম ক্লাস সিক্সে / সেভেনে । একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পেপার টা হাতে নিয়ে দেখি বড় করে শিরোনাম - জাতির পিতা হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এরপরের কয়েকদিন নিজের মধ্যেই কেমন যেন অদ্ভুত একটা খুশি অনুভব করছিলাম , সেই আনন্দের সাথে আর কোন আনন্দের কোন তুলনা নেই। কবে বিচার শুরু হয়েছে , কবে শেষ হল - কি কি ঘটনা হল , কত অপেক্ষা করতে হল এত কিছু হিসাবে...র বয়স হয়ত তখনও হয়নি। এতকিছু ভাবার কথা চিন্তাও করতাম না। বাবা মাকে বলত মেয়ে রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে এত মাথা ঘামায় কেন , মা সবসময় আমার পক্ষেই কথা বলত। আর বাবা যত যাই বোঝাতে চেষ্টা করুক না কেন , আমার আনন্দের কারন ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাসি হয়েছে , ব্যস। আর কোন হিসাবের দরকার নাই। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হল "বাংলাদেশঃ এ লিগ্যাসি অফ ব্লাড" বইটা পড়া শেষ করে সেদিন রাতে ঘুমিয়েছিলাম , পরদিন সকালে উঠে শুনি ফাসি হয়ে গেছে ঐ কুলাঙ্গারদের।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩
শহীদযোদ্ধা বীরাঙ্গনারা ইতিহাস সুরে জাগে , যৌবন যায় ইতিহাস গড়ে আজকের শাহবাগে...
নীল আকাশের বুকেও তিল তিল করে জমতে থাকে ধুসর মেঘের কণা। একটি , দুটি , তিনটি , দশটি করে একসময় পুরো আকাশ ছেয়ে যায় ধুসর কালো মেঘে। বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে পরে আকাশে জমা হওয়া সেই মেঘের দল। আগ্নেয়গিরির মধ্যেও হাজার বছর ধরে সঞ্চিত পদার্থ একসময় লাভা হয়ে বের হয়ে আসে , আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। চিরদিনের শান্তিপ্রিয় একটি জাতিকেও একসময় অধিকার আদায়ের জন্য জেগে উঠতে হয় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের মত । শান্তিপ্রিয় , ...নিরীহ একটা জাতিকেও দুর্জয় স্লোগানে একদিন রাজপথে নামতে হয় - দেশ মাকে রক্ষার শপথে গর্জে উঠতে হয়। তিল তিল করে জমতে থাকা ক্ষোভ একদিন মহাবিস্ফোরণে পরিণত হয় আর সেই মহাবিস্ফোরণের শক্তিতে সব অন্যায় ধুলিস্যাৎ হয়, রচিত হয় দাবি আদায়ের ইতিহাস। হ্যা , আমি বাঙালি জাতির কথাই বলছি।
ইতিহাস ফিরে আসে , ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। পলাশী থেকে ধানমণ্ডিতে ইতিহাস ফিরে আসে সুতীব্র বেদনা আর বুকফাটা আর্তনাদের ইতিহাস হয়ে। একাত্তর থেকে ২০১৩ তে ইতিহাস ফিরে আসে জাগরণের ইতিহাস হয়ে , মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হয়ে। বুকের ভেতর হাজার বছর ধরে জমা হওয়া ক্ষোভ ইতিহাস হয়ে ফিরে আসে বারবার সুতীব্র স্লোগানের মাঝে , অন্ধকারে খা খা সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিকের মাঝে , বন্ধুর হাতে তারার মত জ্বলজ্বলে এক রাঙ্গা পোস্টারের মাঝে কিংবা শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভার মাঝে... কিংবা শাহবাগে সমবেত জনতার উত্তাল জনস্রোতে। '৫২ , '৬২ , '৬৬ , '৬৯ ,'৭১ , '৯২ , '১৩ তে সেই এক ই ইতিহাস বার বার ফিরে আসে - এক ই প্রতিপক্ষ , এক ই স্লোগানের ভাষা ... "তোমার আমার ঠিকানা , পদ্মা মেঘনা যমুনা" , "জয় বাংলা..."
সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৩
নীরস দগ্ধ সময় শুধু বয়ে যায় ...।
রাতের আকাশের অন্ধকার দূর করে ধীরে ধীরে পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় নতুন সূর্য। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে থাকা ছোট্ট সবুজ একটা দেশের মানচিত্র দেখে সে অবাক চোখে। কত সংগ্রামে , কত রক্তের দামে কেনা এদেশের প্রতি কণা মাটি ... আশ্চর্য আকুলতায় সূর্য দেখে এদেশের সংগ্রামী মানুষগুলোকে। বাংলাদেশ - অনেক ছোট একটা দেশ , কিন্তু অনেক বেশি প্রাণসম্পদে ভরপুর। এদেশের মানুষ লড়তে জানে , মরতে জানে , ...জীবন দিয়ে গড়তে জানে। প্রতি মুহূর্তে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত থাকা এদেশের মানুষ শত অন্ধকার ভেদ করেও হাসতে পারে... অনেক সুখী এদেশের মানুষগুলো - জীবন কে এরা গড়ে নিতে জানে ....।
দিন শেষ হয় , অন্ধকার নেমে আসে। একসময় কালো চাদরে ঢাকা রাতের আকাশ ভেদ করে উঁকি দেয় রুপালি চাঁদ। চরাচর ব্যাপী জ্যোৎস্নাতে ছোট্ট বদ্বীপ বাংলাদেশটা একটা নতুন রুপে সেজে ওঠে। কোথাও সমুদ্রতীরে বসে জ্যোৎস্নাস্নান করে একাকী পাখি , কিংবা ইট - কাঠের খাঁচায় বন্দী তরুণী বারান্দা থেকে দেখে চন্দ্রালোকিত বাংলাদেশ। কোথাও যোদ্ধারা প্রস্তুতি নেয় নতুন কোন আক্রমনের , কোথাও সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর আধো - আধো বুলি শুনে হাসে মা , জানালা দিয়ে চাঁদ দেখায় শিশুকে ...। আকাশের একফালি চাঁদ অবাক চোখে দেখে এদেশের শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেদের , শত্রু এলে তারাই অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ... প্রতিবাদের বহ্নিশিখা হয়ে ওঠে ...।
রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩
মুক্তির মন্দির সোপানতলে , কত প্রাণ হল বলিদান... লেখা আছে অশ্রুজলে...।
ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনা মা ... কথাটাকে শুধু বইপত্রে পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটু অন্তর থেকে ভাবতে চেষ্টা করুন... একবার নিজেকে কল্পনা করুন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গায় - নববধুকে ঘরে রেখে যিনি মুক্তিযুদ্ধে ছুটে গিয়েছিলেন.... কল্পনা করুন সেই নববধুর জায়গায়... পাকিস্তানি হানাদার আর রাজাকার রা যাকে ধর্ষণ করেছে , হত্যা করেছে। কিংবা কল্পনা করুন আপনার সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানটিকে আপনার সামনে ক...েউ বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারল ... কি , পারছেন কল্পনা করতে ? কিংবা আপনার সামনে আপনার পরিবারের সবাইকে গুলি করে মারল ... পরিবারের সদস্যদের মুখের দিকে একবার তাকান , এরপর নিজেকে প্রশ্ন করুন এই প্রিয় মানুষগুলোকে যদি কেউ গুলি করে মারে আপনি সহ্য করতে পারবেন কিনা...?? কিংবা পাকিস্তানিদের টর্চার সেলে কল্পনা করুন আপনাকে কিংবা আপনার সন্তানদের কাউকে....কিংবা আপনার কোন প্রিয়জনকে ... পারছেন কল্পনা করতে ? এত রক্ত , এত ত্যাগ , এত অশ্রুজলের বিনিময়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ...
১৯৫২ সাল - মায়ের মুখের ভাষার জন্য রাজপথে নেমে আসলো একদল তরুণ - তরুণী ... ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকল বাংলা মাএর দামাল ছেলে -মেয়েরা। একসময় সেই জনজোয়ার পরাস্ত করল পাকিস্তানি পুলিশ কে ... রাজপথে নেমে এল ছাত্র - শিক্ষক - তরুণ - বৃদ্ধ - দাবি একটাই - "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই" । বুকের রক্তে রাজপথ রাঙ্গালেন শহীদ রফিক - শফিক - বরক্ত -জব্বার -শফিউরেরা । রক্ত দিয়ে এনে দিল...েন মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার। সেই মহান বিপ্লবীদের নাম বাংলাদেশ ... সেই রাজপথের মিছিল - মীটিং - স্লোগানের নাম বাংলাদেশ ... ভাইএর রক্তমাখা শার্ট বুকে চেপে বোনের অঝোর কান্নার নাম বাংলাদেশ ...।
১৯৬৯ সাল - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছেন বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবি - পাকিস্তান সরকার এই ছয় দফাকে বিচ্ছিন্নতার ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে বাঙ্গালিকে অবদমিত করতে চাইছে - বঙ্গবন্ধু সহ আরও নেতা -কর্মীদের উপর চাপানো হয়েছে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা । প্রতিবাদে মিছিলে উত্তাল রাজপথ - রক্তে আগুন ধরানো স্লোগান - "জেলের তালা ভাংব , শেখ মুজিব কে আনব ..." মিছিল এগিয়ে চলেছে ... পাকিস্তানি স্বৈরাচারের অত্যাচারের সিংহাসনে আগুন জ্বালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মিছিল ... পুরো ঢাকাই তখন মিছিলের নগরী - হটাত বৃষ্টির পানির মত ছুটে আসে গুলি - দামাল ছেলেদের রক্তে রাঙ্গা হয় বাংলার রাজপথ ... শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট উড়তে থাকে বাংলার আকাশ - বাতাস রক্তে লাল করে দিয়ে ... সেই শহীদ আসাদের নাম বাংলাদেশ ...।
১৯৬৯ সাল - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছেন বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবি - পাকিস্তান সরকার এই ছয় দফাকে বিচ্ছিন্নতার ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে বাঙ্গালিকে অবদমিত করতে চাইছে - বঙ্গবন্ধু সহ আরও নেতা -কর্মীদের উপর চাপানো হয়েছে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা । প্রতিবাদে মিছিলে উত্তাল রাজপথ - রক্তে আগুন ধরানো স্লোগান - "জেলের তালা ভাংব , শেখ মুজিব কে আনব ..." মিছিল এগিয়ে চলেছে ... পাকিস্তানি স্বৈরাচারের অত্যাচারের সিংহাসনে আগুন জ্বালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মিছিল ... পুরো ঢাকাই তখন মিছিলের নগরী - হটাত বৃষ্টির পানির মত ছুটে আসে গুলি - দামাল ছেলেদের রক্তে রাঙ্গা হয় বাংলার রাজপথ ... শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট উড়তে থাকে বাংলার আকাশ - বাতাস রক্তে লাল করে দিয়ে ... সেই শহীদ আসাদের নাম বাংলাদেশ ...।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৩
রাজাকারের ফাসি দ্রুত কার্যকর চাই , সব কলঙ্কের অবসান চাই...।
আসছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর - আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চ দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব ২০১৩’ পালন করবে। ওই দিন বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে (পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময়) সারাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী যেখানে বাঙালি আছে সবাই মিলে একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে বিভিন্ন দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর বিকালে ‘কনসা...র্ট ফর বাংলাদেশ’ এর আদলে বিদেশি বন্ধুদের অংশগ্রহণে বিদেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
দুপুরে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে শুনে গেলাম যে আজকে কসাই কাদেরের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হতে পারে। কিন্তু এসে জানতে পারলাম যে আজকে রায় প্রকাশ হয়নি। এই কসাই এর রায় নিয়ে কত জল্পনা - কল্পনা আমাদের , তাইনা ? কবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে , কবে আমরা ফাসির জন্য কাউন্টডাউন শুরু করব - ৩০ দিন , ২৯ দিন , ২৮ দিন করতে করতে একদিন জিরো আওয়ারে এসে ঠেকবে সময়ের কাঁটা - কাদের কসাই এর ফাসি হবে , বাংলাদেশ হবে কলঙ্কমুক্ত - সেই সোনালি মুহূর্তের অপেক্ষায় প্রতি মুহূর্তে ... প্রতিটা পদক্ষেপে...।
একটা খবর দেখে লজ্জায় কাঁদতে ইচ্ছা করছে - মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী চলে গেলেন , চলে গেলেন তাঁরই স্বাধীন করা বাংলাদেশে নুন্যতম চিকিৎসা সেবাটুকু যথাসময়ে না পেয়ে। শেষ মুহূর্তে অনলাইনের অনেক সহযোদ্ধাই চেষ্টা করেছিলেন - তাঁদের স্যালুট জানাই - ইচ্ছা ছিল কলেজ থেকে এসে সেই সহযোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ করব - ওনাকে একবার হলেও দেখতে যাব - কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বাবা আকবর আলী চলে গেলেন তার অনেক আগেই। এই বাংলাদেশের প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা আমার বাবা , প্রত্যেক বীরাঙ্গনা আমার মা - একজন বাবাকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না ....
এবারের বিজয় দিবস হোক সবরকম কলঙ্কমুক্তির , এবারের বিজয় দিবসের আগেই কার্যকর হোক কসাই কাদেরের রায় ...এবারের বিজয় দিবস স্মরণীয় হয়ে থাক সারা পৃথিবীর বাঙালি জাতির কলঙ্কমুক্তির বিজয় দিবস হিসেবে - ১৬ ই ডিসেম্বরের আগেই কার্যকর চাই কাদের কসাই এর ফাঁসি।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩
কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে নতুন সূর্য ওঠার এইত সময়
ফেব্রুয়ারি মাস , ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস - জীবনটা সম্পূর্ণভাবে বদলে গেছে এই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। সেই ৫ ফেব্রুয়ারিতে কসাই কাদেরের রায় , রায়ে ফাসি না হওয়া- বাঙালি নামক জ্বলন্ত দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেন বারুদ ঢেলে দিল। এরপর যা ঘটল তা ইতিহাস - শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে বাঙ্গালির বিগ ব্যাং - চেতনার মহাবিস্ফোরণ। বিয়াল্লিশ বছর ধরে অন্তরে ধারন করে রাখা দাবি কণ্ঠে তুলে নিয়ে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে নামলো বাঙ্গালির... জনসমুদ্রের মহাস্রোত। শাহবাগ এমন একটা জাগরনের নাম যেটার মূল উৎস চিরবিপ্লবী বাঙালি হৃদয়। প্রজন্ম চত্বর বিয়াল্লিশ বছরের অভ্যস্ত নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে বাঙ্গালির মহাজাগরনের নাম - স্লোগানে - মিছিলে উত্তাল ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের জাগরণের নাম।
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩
১৩ নভেম্বর গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারনে 'মুক্ত আলোচনা'
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর আমার , আপনার আমাদের সবার। প্রাণের শাহবাগ আবার ডাকছে আমাদেরকে। জাগরণের আলোয় রাজাকারের ফাসির দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের ডাকে সাড়া না দিয়ে কি থাকা যায়? না, অন্তত আমি থাকতে পারি না। আর আমি জানি শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে যারা অন্তর থেকে রাজাকারের ফাসির দাবি জানাতে যান , সব বাধা অতিক্রম করে তারাই এখনও বারবার ছুটে আসেন শাহবাগের ডাকে। যাদের ছবি তোলার দরকার ছিল তারা অনেক আগেই চলে গেছ...ে , যারা বিখ্যাত হবার জন্য এসেছিল তারা আন্দোলনের নিজস্ব গতিতেই চলতে পারেনি , পেছনে পরে গেছে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর এখন আমাদের বিশুদ্ধ চেতনার নাম - সব দ্বিধার ঊর্ধ্বে উঠে রাজাকারের ফাসি চাওয়ার আন্দোলনের নাম।
মুক্তির মন্দির সোপানতলে , কত প্রাণ হল বলিদান – লেখা আছে অশ্রুজলে…
- ২৫ শে মার্চ , ১৯৭১ সাল। বাইরে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। রাজধানীর রাজারবাগে অবস্থিত তিনতলা বাসায় বসে রাত্রি সেই আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। চারপাশে শুধু মানুষের চিৎকার - আর্তনাদ। কি হচ্ছে আসলে ? গল্পগুচ্ছ টাকে রেখে দিয়ে রাত্রি লুকিয়ে লুকিয়ে রেডিও টা বের করে। ভাঙ্গাচোরা একটা রেডিও , কিন্তু এটাই একমাত্র সম্বল রাত্রি আর ওর মা সুলেখা বেগমের খবর শোনার। বাইরের ঘরে কয়েকজন মিলিটারি এসে রাত্রির বাবার সাথে কি কি যেন আলাপ করছে। প্রায় ই আসে এই খাকি পোশাক পরা মিলিটারিগুলো , জলপাই রঙ গাড়িতে চড়ে। রাত্রির খুব বিরক্ত লাগে এই মিলিটারি গুলো যখন তার বাবার সাথে গল্প করতে আসে। রাত্রি সতের বছরের মেয়ে , কলেজে উঠেছে এবার। বই পড়ার প্রচণ্ড নেশা তার - আর একটা অনেক ভালোবাসার জায়গা তার আছে , সেটা হল রাজপথ। এই ভালোবাসাটার কথা রাত্রির বাবা মোজাফফর আহমেদ কিংবা মা সুলেখা বেগম কেউ জানেন না। উনসত্তরে আন্দোলনের সময় বাবা - মাকে না জানিয়ে লুকিয়ে মিছিলে চলে গিয়েছিল রাত্রি। প্রয়োজন হলে আবার যাবে - এই শপথ আছে তার। সে বুঝতে পারে না বঙ্গবন্ধুর বিরোধীদের সাথে তার বাবার এত কিসের ভাব। কিছুদিন আগে রাত্রির বাবা ইলেকশনে দাঁড়িয়েছিল বলে শুনেছে রাত্রি। কি জানি হয়ত মুসলিম লীগ থেকে দাঁড়িয়েছিল - না হলে ওই পাঞ্জাবিদের সাথে এত খাতির থাকবে কেন তার?
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩
কাদের কসাই এর ফাসি দ্রুত কার্যকর চাই...।
কথা হইল এই নিউজটা দেখে চুপ করে কতক্ষন নিউজটার দিকে তাকায় ছিলাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নাকি কাদের কসাই এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে - সত্য মিথ্যা জানি না ভাই , খবর আমি দেই নাই - মানবজমিনে দিয়েছে। যে বিচারক মহাশয়ের রায় লিখতে দেরি হচ্ছিল ওনার হয়ত সুমতি হয়েছে। যাই হোক , মানবজমিনের খবর অনুযায়ী রায় প্রকাশের পর রিভিউ দায়ের করতে পারবে কি না পারবে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া নভেম্বরের মধ...্যেই শেষ হচ্ছে।
"জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ হতে পারে। রায় প্রকাশের পরপরই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হবে, না তাকে রিভিউ দায়েরের সুযোগ দেয়া হবে তা স্পষ্ট নয়। এরআগে সরকারের আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউির কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে, কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাদের মোল্লার রিভিউ দায়েরর সুযোগ রয়েছে।
"জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ হতে পারে। রায় প্রকাশের পরপরই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হবে, না তাকে রিভিউ দায়েরের সুযোগ দেয়া হবে তা স্পষ্ট নয়। এরআগে সরকারের আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউির কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে, কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাদের মোল্লার রিভিউ দায়েরর সুযোগ রয়েছে।
কতটুকু ব্যাথা বুকে চাপালে তাকে বলি আমি ধৈর্য?
আজকে আপনি যদি ফেলানি হত্যা নিয়ে কথা বলেন , প্রশ্ন উঠবে মনির হত্যা নিয়ে কথা বলেন না কেন। আজকে আপনি যদি মনির হত্যা নিয়ে কথা বলেন , প্রশ্ন উঠবে বিশ্বজিৎ হত্যা নিয়ে কথা বলেন না কেন। যদি জামাতের হামলায় আহত স্কুলছাত্রীর কথা বলেন - প্রশ্ন উঠবে সাগর - রুনির কথা বলেন না কেন। কিন্তু এতে আসলে কি লাভ হচ্ছে ? কার লাভ হচ্ছে ? ফেলানি বলি , মনির বলি , বিশ্বজিৎ বলি আর সাগর -রুনি বলি তারা সবাই ই তো বাংলাদেশের সাধার...ণ মানুষ, তাইনা? তাদেরকে আমরা ন্যায্য বিচার দেয়ার কথা বলি - যত বিচার হোক আর যাই হোক, এই মানুষগুলোকে কি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব ?
কোনোদিন পারব না। এদের হত্যার বিচারে যদি কয়েকজন খুনি কিংবা কলুষিত রাজনীতিবিদের ফাঁসিও হয় - তাতে কি ক্লাস ফাইভে পরা কিশোর মনির ফিরে আসবে নাকি কিশোরী ফেলানি ফিরে আসবে? কেউ ফিরে আসবে না। এই জীবনগুলোর কি কোন মূল্য নেই ? নাকি রাজনীতি করার জন্য লাশের প্রয়োজন হয় আর তাই একের পর এক লাশ পরতে থাকবে ? এক দল হরতাল হরতাল করে মানুষ মারবে আর আরেক দল সেই লাশকে ব্যবহার করবে নিজেদের পক্ষের কয়েকটা ভোট বাড়ানোর কাজে - এই লাশগুলো যে আরেকদলের সহিংসতার প্রমান । এরকম কয়েকটা লাশ না পরলে রাজনীতি হবে কি করে!
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি , এস স্বদেশপ্রীতির মহা দীক্ষা লহি...
প্রজন্ম চত্বর - শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর কি এক অদ্ভুত ভালোবাসার টানে বেঁধে রেখেছে আমাদেরকে - এই ভালোবাসা মা এর সাথে সন্তানের ভালোবাসা , এই ভালোবাসা দেশের মাটির সাথে সেই মাটির সন্তানের ভালোবাসা। আর সে ভালোবাসা বারবার বাধ্য করে আমাকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ছুটে যেতে। শাহবাগের মাটি , শাহবাগের আকাশ - বাতাস আমাদের মহাজাগরনের স্মৃতিধারণ করে আছে। অদ্ভুত একটা ভালোলাগায় , অদ্ভুত একটা পবিত্রতায় মন ভরে যায় শাহবাগ...ের সীমানায় পা রাখলেই। আমাদের শাহবাগ - আমাদের প্রজন্ম চত্বর - আমাদের স্লোগান - মিছিল - দাবি আদায়ের মহান গণজাগরণ এক নিমিষে সব চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রতি মুহূর্তে , আর তাইত বার বার ছুটে যাই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে - জানাই প্রাণের দাবি - "রাজাকারের ফাসি চাই। আল্টিমেটাম ভুলি নাই , রাজপথ ছাড়ি নাই। শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমায় না।"
বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৩
নয় নভেম্বর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশ...। আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাসি চাই
প্রিয় প্রজন্ম , মনে আছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে কোটি কোটি সহযোদ্ধা আমরা একসাথে শপথ নিয়েছিলাম ? মনে আছে আমরা দিনরাত শাহবাগে অবস্থান করে স্বপ্নের সিঁড়ি নির্মাণের সূচনা করেছিলাম ? মনে আছে কোটি কোটি মোমবাতির আলো জ্বলে উঠেছিল রাতের আঁধার ভেদ করে ? মনে আছে সারা বাংলাদেশ নীরব হয়ে গিয়েছিলাম আমরা একসাথে? মনে আছে সেই সোনালি দিনগুলোর কথা - সেই মহাজাগরনের কথা। যে জাগরণ একে একে এনে দিয়েছে অনেকগুলো রাজাকারের ফাসির রায় , নিশ্চিত করেছে জামাতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিষয়টিও। এ অর্জন আমাদের আন্দোলনের , আমাদের স্লোগানের , আমাদের মিছিলের , আমাদের রক্তের।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , শনিবারে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আমাদের ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশের কথা মনে আছে তো ? যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন , যদি রাজাকারের ফাসি চান তাহলে মনে রাখবেন প্রাণের শাহবাগ ডাকছে আপনাকে - প্রিয় দেশমাতৃকা আপনাকে ডাকছে। এই ডাক মা এর ডাক। মা এর ডাকে কি কোন সন্তান সাড়া না দিয়ে পারে ? না , পারে না। আর তাই ইতিহাস সাক্ষী দেয় আবহমানকাল ধরে বাঙালি বার বার মা এর ডাকে সাড়া দিয়ে , মা এর অধিকার আদায়ের জন্য মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এসেছে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬ , ১৯৬৯ , ১৯৭১ এবং ২০১৩।
প্রিয় সহযোদ্ধারা , শনিবারে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আমাদের ছাত্র -শিক্ষক সমাবেশের কথা মনে আছে তো ? যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন , যদি রাজাকারের ফাসি চান তাহলে মনে রাখবেন প্রাণের শাহবাগ ডাকছে আপনাকে - প্রিয় দেশমাতৃকা আপনাকে ডাকছে। এই ডাক মা এর ডাক। মা এর ডাকে কি কোন সন্তান সাড়া না দিয়ে পারে ? না , পারে না। আর তাই ইতিহাস সাক্ষী দেয় আবহমানকাল ধরে বাঙালি বার বার মা এর ডাকে সাড়া দিয়ে , মা এর অধিকার আদায়ের জন্য মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এসেছে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬ , ১৯৬৯ , ১৯৭১ এবং ২০১৩।
শিক্ষিত এবং রাজাকারবিরোধী প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য চাই
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশ। অনেক রক্তের দামে , অনেক জীবনের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই বাংলাদেশ। আমরা এই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ আমাদের বাংলাদেশটাকে ভালোবাসি আর তাই আমরা চাই না কোন অশিক্ষিত মানুষের হাতে কখনও এই প্রিয় মাতৃভূমির নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা যাক। আমরা চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে তাকে অবশ্যই হতে হবে শিক্ষিত এবং মনে -প্রানে একাত্তরের রাজাকারবিরোধী। কোন রকম অশিক্ষিত কিংবা স্বল্প শিক্ষিত কিংবা রাজাকারদের সাথে আপোষকারী কারো হাতে যেন কক্ষনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা না যায়। অনেক হয়েছে সহ্য করা , বিয়াল্লিশ বছর ধরে অনেক সহ্য করেছি আমরা - আর নয়। আমরা আর কখনও কোন অশিক্ষিত কিংবা রাজাকারের সাথে আপোষকারীকে আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চাইনা। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইতিহাসের অনেক দায়ভার শোধের পথে হাঁটছি আমরা - আর কখনও পিছিয়ে যেতে চাই না।
নয় নভেম্বর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ছাত্র - শিক্ষক সমাবেশ ...
প্রজন্ম চত্বরের সেই আগুনঝরা দিনগুলোর কথা মনে আছে তো? মনে আছে তো বিয়াল্লিশ বছরের অভ্যস্ত নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে বাঙ্গালির মহান গণজাগরণের কথা? সেই হৃদয়ে আগুন ধরানো স্লোগান - স্মৃতিময় গণজাগরণ - যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবিতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জাগরণ। সে আগুনঝরা দিনগুলোতে শাহবাগে ছুটে গিয়েছিলেন ছাত্র - শিক্ষক - পেশাজীবী- বুদ্ধিজীবী সব শ্রেণী - পেশার মানুষ। বিয়াল্লিশ বছর ধরে চেপে রাখা যন্ত্রণা বুকে ...নিয়ে রাজাকারদের ফাঁসি চাইতে শাহবাগে এসেছিলেন বীরাঙ্গনা মা, একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছুটে এসেছিলেন একাত্তরের পরাজিত হায়েনাদের বিচার চাইতে , রাজাকারের ফাসি চাইতে , কাদের কসাই এর ফাসি চাইতে। আমাদের জাগরণ, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের জাগরণ প্রমাণ করে বাঙালি সংগ্রামী জাতি - বাঙালি লড়াই করে বাঁচতে জানে। সারা বিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে প্রজন্মের নবজাগরণ। আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত , এই রক্ত কোনোদিনও পরাজয় মানে না...।।
বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩
শাহবাগে রাতভোর , স্মৃতিতে একাত্তর - নব ইতিহাসের সাক্ষী রইল প্রজন্ম চত্বর
জেগে থাকার নয়টি মাস - জাগরণের শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যে লড়াই টা আমরা শুরু করেছি তা হল একটা চিরমুক্তির আকাঙ্খায় লড়াই - পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার - আলবদর দের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে চিরস্থায়ী ভাবে মুক্ত করার লড়াই। আমাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন - সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে নয়টি মাস। আমাদের অগ্রজেরা ১৯৭১ এ নয় মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদ...ের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তাঁরা যে স্বপ্ন নিয়ে প্রিয় বাংলাদেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন তার অনেক কিছুই এখনও পূরণ হয়নি । সেই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বদলা নেবার শপথ নিয়ে , বিয়াল্লিশ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ার কারনে মনের ভিতর জমা করে রাখা পুঞ্জীভূত ক্ষোভের মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে। সেই বিগ ব্যাং থেকে এখন শুরু হয়ে গেছে নতুন মহাবিশ্বের পদচারনা। এই মহাবিশ্বের নাম বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে স্থান হবে না কোন স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীর।
২১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৪ তে গুগল ডুডলে ফুটে উঠুক আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের ছবি
একটা ছোট্ট অনুরোধ করব সবাইকে। একটু সাড়া দিবেন কি ? খুব বেশি সময় নিব না আপনাদের - একটা ই -মেইল সেন্ড করতে বলব শুধু। পাঁচ মিনিটের কাজ - কিন্তু আপনার এই পাঁচ মিনিটের কাজটি সারা বিশ্বে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের একটা গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় কে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। তাহলে কেন পিছিয়ে থাকবেন ? আসুন না মাতৃভূমির পরিচয় সারা বিশ্বে তুলে ধরার এই সুযোগ কে অবহেলা না করে একে কাজে লাগাই। সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেই আমা...দের গৌরবের কথা।
বর্তমান পৃথিবীকে বলা হয় তথ্য -প্রযুক্তির পৃথিবী। আর এই তথ্য -প্রযুক্তির যুগে আমাদের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হল ইন্টারনেট। বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হল গুগল। গুগল বিশেষ দিন সমূহে তার লোগো পরিবর্তন করে যাকে ডুডল বলা হয়। গত বছর ডিসেম্বর থেকে আমরা , এই বাংলাদেশের মানুষেরাই ই -মেইল করে গুগল কে অনুরধ করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ এ তাদের ডুডল এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কে ফুটিয়ে তুলতে।
বর্তমান পৃথিবীকে বলা হয় তথ্য -প্রযুক্তির পৃথিবী। আর এই তথ্য -প্রযুক্তির যুগে আমাদের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হল ইন্টারনেট। বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হল গুগল। গুগল বিশেষ দিন সমূহে তার লোগো পরিবর্তন করে যাকে ডুডল বলা হয়। গত বছর ডিসেম্বর থেকে আমরা , এই বাংলাদেশের মানুষেরাই ই -মেইল করে গুগল কে অনুরধ করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ এ তাদের ডুডল এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কে ফুটিয়ে তুলতে।
মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৩
আমি দেখিনি একাত্তর , দেখেছি শাহবাগ - নবীনের জাগরণে বাংলাদেশ হতবাক !
প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ , প্রাণের শাহবাগ আন্দোলন - নয় মাস পার হয়ে গেল কেমন করে, তাইনা? শাহবাগের এই নয় মাস আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ নয়টি মাস - মুক্তিযুদ্ধের বিয়াল্লিশ বছর পর এক ই চেতনায় বাঙ্গালির জাগরণের নয়টি মাস - জামাত -শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বাঙ্গালির স্মরণাতীত জাগরণের নয় মাস। শাহবাগ এখন শুধু একটা জায়গার নাম নয় - এটি এখন একটা চেতনার নাম , একটা মুক্তির নাম একটা ভালোবাসার নাম। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর - নামটা উচ্চারন করার সাথে সাথে অনেক স্মৃতি এসে ভিড় করে চোখের সামনে- সে স্মৃতি আন্দোলনের, সংগ্রামের। সে স্মৃতি মিছিল- স্লোগানে উত্তাল রাজপথ প্রকম্পিত করে রাখার। সে স্মৃতি তরুণ - তরুণী , কিশোর - কিশোরী , বৃদ্ধ - বৃদ্ধার মুখে দ্বিধাহীন জয় বাংলা ধ্বনির। সে স্মৃতি জাগরনের , সে স্মৃতি দাবি জানানোর , দাবি আদায়ের। নয় মাস ধরে চলা শাহবাগ আন্দোলনের দিনগুলোকে পর পর সাজাতে চেষ্টা করলাম এই লেখায়। এই শাহবাগ যে একটা জীবন্ত ইতিহাস , ইতিহাসের ধারক হয়ে শাহবাগের দিনগুলো বেঁচে থাকবে সারাজীবন।
সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩
বাংলার হিন্দু , বাংলার বৌদ্ধ , বাংলার খ্রিষ্টান , বাংলার মুসলমান -আমরা সবাই বাঙালি।
দেশের সাধারন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? সাথিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার ঘটনা হয়ত আমরা কিছুদিনের মধ্যেই ভুলে যাব - কিংবা এক দল অন্য দল কে দোষারোপ করতে থাকবে এই ব্যাপারে। আমরা অনেক সহজেই সবকিছু ভুলে যাই - এই হামলার খবর আমরা সেভাবেই ভুলে যাব যেভাবে ভুলে গেছি কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানির কথা , সীমান্তে অগণিত বাঙালি হত্যার কথা কিংবা তাজরিন গার্মেন্টস, রানা প্লাজার কথা। খুব বেশি হলে আর কতদূর হবে ? একবার আটক করা হবে অপরাধীদের , পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে আবার ছেড়ে দেয়া হবে - তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরবে। আমাদের সমাজটাই যে এমন - এখানে ধর্ষিতা বোন কে প্রশ্ন করতে হয় -"আমি এখন মুখ দেখাব কি করে?" আর ধর্ষক মাথা উচু করে ঘুরে বেড়ায়।এটাই কি আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ? এই বাংলাদেশের জন্য কি ত্রিশ লাখ শহীদ জীবন দিয়েছিলেন? দুই লাখ বীরাঙ্গনা সম্ভ্রম দিয়েছিলেন কি এই বাংলাদেশের জন্য?
কসাই কাদেরের ফাসি কার্যকর হতে আর কত দেরি ????
কাদের কসাই এর ফাঁসি চাই - সেই কবে থেকে এক ই দাবি জানাচ্ছি আমরা । এর মধ্যে আইন সংশোধন হল , রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ তৈরি হল , আপিল হল , কসাই এর ফাঁসির রায় ও হল - শেষে এসে এখন আটকে আছে একজন বিচারপতির রায় লিখা শেষ হয়নাই এজন্য। কেমন লাগে ? বাকি চার জন বিচারপতি লিখে শেষ করে ফেলতে পেরেছেন , আর ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতি কেবল গতকাল লিখা শুরু করলেন। কবে এই রায় লিখা শেষ হবে , কবে আপিল বিভাগে পৌঁছাবে , সেইখানে আবার যুক্তি - তর্ক হবে আপিল রিভিউ করতে পারবে কি পারবে না - এরপর কারাগারে পৌঁছাবে , এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আরও সাত দিন , তারপর একুশ থেকে আটাশ দিনের মধ্যে ফাসি কার্যকর হবে।
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩
মায়ের বক্ষ ঝাঁজরা করিয়া হাসিয়াছ অট্টহাসি , বাঙালি হাসিবে পরান ভরিয়া দেখিয়া রাজাকারের ফাসি
কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে এসে ফেসবুকে লগ ইন করেই দেখলাম সুখবর। আলবদর নেতা চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামান খানের ফাসির রায় হয়েছে।এক একটা রাজাকারের ফাঁসির রায় এক একটা বিজয় আমাদের। এক একটা কুলাঙ্গারের এক একটা রায় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কলঙ্কমোচনের পথে এক একটা ধাপ পার হওয়া। সেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আজকে নভেম্বর মাস - নয় মাস পার হয়ে গেছে এই রাজাকারের ফাঁসির দাবি নিয়ে। মাঝে মাঝে ভাবতে খুব অবাক লাগে আব...ার খুব গর্বও হয় যে আর কোন দাবি নিয়ে আমরা একটানা রাজপথে থাকতে পারি আর না পারি , একমত হই বা না হই- জামাত -শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিয়াল্লিশ বছর পরে এসে আবার এক হতে পেরেছি। আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাসি চাই স্লোগানে সমবেত হতে পেরেছি শাহবাগে , যেই শাহবাগের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতীয় আন্দোলনের অনেক ইতিহাস। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে একটু পিছনে সরে এসো , খুজে পাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান - যেখানে বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন বাঙ্গালির স্বাধীনতার ডাক। এই শাহবাগ ধারন করে রেখেছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি, ধারন করে রেখেছে বিয়াল্লিশ বছর পর বাঙ্গালির নব্জাগরনের ইতিহাস - নতুন আশায় , নতুন ভালোবাসায় মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী এই নবইতিহাস গড়ার চত্বর টির নাম দিয়েছেন প্রজন্ম চত্বর।
চিরদিন এই স্মৃতি রবে অম্লান...
১৬ ই ডিসেম্বর , ১৯৭১ - বাঙ্গালির মহাকাব্যক বিজয়ের পর , বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশ টার জন্মের পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নতুন চক্রান্ত করতে শুরু করল ছোট্ট সবুজ এই দেশ টার বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ কে একটু একটু করে গড়ে তুলছেন , ঠিক তখনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর আঘাত হানল এই ঘাতকদল। সপরিবারে হত্যা করা হল জাতির পিতাকে, কারাগারে বন্দী করা হল জ...াতীয় চার নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম , তাজউদ্দিন আহমেদ , এ এইচ এম কামরুজ্জামান , এম মনসুর আলীকে। মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস ধরে এই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন ,অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন - আর সেই বাংলাদেশের ই কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ সদৃশ প্রাণী এই জাতীয় চার নেতার উপর আঘাত হানল - আঘাত হানবে নাই বা কেন? এই সূর্য সন্তানেরা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করবে কিভাবে? দেশটাকে বিধ্বস্ত করার ষড়যন্ত্র ।
শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩
জামাত -শিবির রাজাকার , এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। তিন বিচারকের স্বাক্ষরের পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।শনিবার ওই রায় স্বাক্ষরের পর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা প্রকাশ করে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা দেখে ‘দ্রুত’ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত ১ আগস্ট উন্মুক্ত আদালতে তিন বিচারকের বেঞ্চ সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায়... জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়।সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া ওই রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে মত দেন।তবে ওই বেঞ্চের প্রিজাইডিং বিচারক বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন তাতে ভিন্নমত পোষণ করেন।
যাক , নিবন্ধন তো বাতিল হল - এখন দ্রুত এই সন্ত্রাসী , রাজাকারদের সংগঠন জামাত -শিবিরকে নিষিদ্ধের অপেক্ষা। কোন দেশদ্রোহী রাজাকার - আলবদরের ঠাই নেই এই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তভেজা বাংলার মাটিতে। আর তাই অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছি - আগামীকাল আল বদর নেতা চৌধুরী মইনুদ্দিন আর আশরাফুজ্জামান খানের যাতে ফাসির রায় হয়। এদের ক্ষেত্রেও যাতে আবার বয়স বিবেচনা শুনতে না হয়। একটা জিনিস খেয়াল করলাম - এখন প্রায় প্রত্যেকদিন ই কিছু না কিছু খুশির খবর আসছে । গত কয়েকদিনের মধ্যে পেলাম দুই আল বদর নেতার রায়ের তারিখ , গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচী, জামাতের নিবন্ধন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ।
অপেক্ষায় আছি সেই সোনালি ভোরের , যেদিন ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে লগ ইন করেই শুনব সেই মহা বিজয়ের সংবাদটা , কাদের কসাই এর ফাসির সংবাদ টা। আর আমাদের কিন্তু মনে রাখতে হবে কসাই কাদেরের কবর কোনোভাবেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে হতে দেয়া যাবে না। এই মাটিতে ত্রিশ লাখ শহীদ ঘুমিয়ে আছেন , বঙ্গবন্ধু ঘুমিয়ে আছেন , শহীদজননী মা জাহানারা ইমাম ঘুমিয়ে আছেন । কোন যুদ্ধাপরাধীর স্থান এই মাটিতে হবে না। বাংলার পবিত্র মাটি আমরা অপবিত্র হতে দেব না।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
যাক , নিবন্ধন তো বাতিল হল - এখন দ্রুত এই সন্ত্রাসী , রাজাকারদের সংগঠন জামাত -শিবিরকে নিষিদ্ধের অপেক্ষা। কোন দেশদ্রোহী রাজাকার - আলবদরের ঠাই নেই এই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তভেজা বাংলার মাটিতে। আর তাই অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছি - আগামীকাল আল বদর নেতা চৌধুরী মইনুদ্দিন আর আশরাফুজ্জামান খানের যাতে ফাসির রায় হয়। এদের ক্ষেত্রেও যাতে আবার বয়স বিবেচনা শুনতে না হয়। একটা জিনিস খেয়াল করলাম - এখন প্রায় প্রত্যেকদিন ই কিছু না কিছু খুশির খবর আসছে । গত কয়েকদিনের মধ্যে পেলাম দুই আল বদর নেতার রায়ের তারিখ , গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচী, জামাতের নিবন্ধন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ।
অপেক্ষায় আছি সেই সোনালি ভোরের , যেদিন ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে লগ ইন করেই শুনব সেই মহা বিজয়ের সংবাদটা , কাদের কসাই এর ফাসির সংবাদ টা। আর আমাদের কিন্তু মনে রাখতে হবে কসাই কাদেরের কবর কোনোভাবেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে হতে দেয়া যাবে না। এই মাটিতে ত্রিশ লাখ শহীদ ঘুমিয়ে আছেন , বঙ্গবন্ধু ঘুমিয়ে আছেন , শহীদজননী মা জাহানারা ইমাম ঘুমিয়ে আছেন । কোন যুদ্ধাপরাধীর স্থান এই মাটিতে হবে না। বাংলার পবিত্র মাটি আমরা অপবিত্র হতে দেব না।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু। জয় প্রজন্ম , জয় শহীদজননী , জয় গণজাগরণ মঞ্চ। জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার।
শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৩
শাহবাগ ডাকছে তোমায় , চলে এস বন্ধু - রুখে দাড়াও , আদায় করে নাও তোমার প্রাণের দাবি ।
মনে আছে ফেব্রুয়ারি মাসের কথা ? মনে আছে আমাদের প্রাণের দাবির কথা? মনে আছে রাজাকারের ফাঁসির দাবির কথা ? মনে আছে সারা বাংলাদেশ একসাথে নীরব হয়ে যাওয়ার কথা? মনে আছে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে নেয়া সেই শপথের কথা? মনে আছে কোটি মোমবাতির আলোয় আলোকিত শাহবাগের কথা? আজকে শাহবাগ আবার ডাকছে আপনাকে -আমাকে , আমাদের সবাইকে। মনে আছে আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করে কাদের কসাই এর ফাঁসির রায় হওয়ার কথা ? সাইদি - কামরুজ্জামান - মুজাহিদ - সাকার ফাঁসির রায়ের কথা? এই এক একটা রায় আমাদের এক একটা বিজয় - আর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে আমাদের।
আজকে যখন আমাদের শাহবাগ আন্দোলন বিজয়ের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে, যখন কসাই কাদেরের ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় আস্থির পুরো জাতি - ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মরণকামড় দিচ্ছে - তারা আক্রমণ চালাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাণ্ডারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের উপর , মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষদের উপর একের পর এক চলছে আক্রমণ। নিজেকে প্রশ্ন করুন এ অবস্থায় আপনার চুপ করে থাকা মানায় কিনা। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হন , যদি রাজাকারের ফাঁসি চান - তাহলে নিশ্চয় অপেক্ষা করে আছেন কসাই এর ফাসি কার্যকরের জন্য , চৌধুরী মইনুদ্দিন , আশরাফুজ্জামান এর রায়ের জন্য।
একাত্তরের হাতিয়ার , গর্জে উঠুক আরেকবার - রাজাকারের ফাসি হোক , শহীদরা পাক ন্যায়বিচার
গত ৩০ অক্টোবর , ২০১৩ তারিখে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল ভাইয়া, রাজু আঙ্কেল (রাজু আহমেদ) , হেলাল আঙ্কেল , সাইফুল ইসলাম রঞ্জু আঙ্কেল দের সাথে কিছু সময় কাটানোর, তাঁদের কাছ থেকে রনাঙ্গনের ইতিহাস , মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। বিচ্ছু জালাল ভাইয়া মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের ইতিহাস বলার এক পর্যায়ে বলেছিলেন, একবার মেলাঘর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তাঁরা গেরিলা আক্রমনের উদ্দেশ্যে, রাতের অন্ধকারে এক গ্রামের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। দিনের আলো ফুটে উঠলে দেখতে পেলেন লাশের উপর দিয়ে হাঁটছেন। চারপাশে শুধু মানুষের লাশ আর লাশ । কি ব্যাপার এখানে কি হয়েছে ? আশেপাশে তাকালেন - কোন বাড়িঘরে মানুষ নেই। অনেক পরে একজন বৃদ্ধ মানুষের সাথে দেখা - তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানালেন , এখানে একটু আগে কাদের মোল্লা পাকিস্তানি বাহিনীকে নিয়ে এসে সবাইকে মেরে ফেলে গেছে। একবার চিন্তা করুন চোখ বন্ধ করে এই নৃশংস বর্বরতার কাহিনী, আপনি যত শক্ত মনের মানুষ ই হন না কেন , আপনি বাঙালি হলে আপনার অন্তর কেঁপে উঠতে বাধ্য।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)