এটি ৬ এপ্রিল এর ঘটনা
আজকে দুপুর ১টায় হরতালের কারণে , ঢাকা যাওয়া কেন্সেল করলাম । আমার অভ্যাস আমি দুপুরবেলায় নাস্তা খাই । তো আমি নাস্তা খাইতেসি এমন সময় শাহবাগ থেকে এক বড় ভাই ফেসবুকে ম্যাসেজ পাটাইলো । ম্যাসেজটা এমন যে , "তাড়াতাড়ি শাহবাগে আসো , হেফাজতি ভন্ডরা শাহবাগে আক্রমণ করবে ।" আমারে আর পায় কে , আদনানরে কইলাম , "তুই যাবি ?" আদনানে কইলো , "শাহবাগ থেকে ডাক আসসে , আর আমি যামু না , এইটা কী হয় ।" আমি কইলাম , "তাইলে চল ।" তখন দুপুর ১ টা ৩০ । যাত্রাবাড়ি তখন হেফাজতি ভন্ডদের দখলে । আর বাস , ট্রেনও চলতেসে না । তাই ২ নং রেলগেইট থেকে অটোরিকশায় পাগলা পর্যন্ত গেলাম । এরপর আরও দুইবা অটোরিকশা চেঞ্জ করতে হইসে । শেষমেশ পোস্তগলা থেকে রিকশা নিয়ে গুলিস্তানে গেলাম । গুশিস্তান থেকে আবার রিকশা নিয়ে টি.এস.সি পর্যন্ত গেলাম । এরপর হেটে হেটে শাহবাগে গেলাম । তখন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত শাহবাগের আকাশ বাতাস । আমরা স্লোগান দেয়ার পর চা খেতে গেলাম । চা শেষ করে মাত্র কাপটা রাখসি । হঠাত্ , দেখি সবাই বাঁশ-কাঠ খোজা খোজি করতেসে । অনেকে মত্স ভবনের দিকে দৌড়াইতেসে । আমি আর আদনানও ঐ দিকে দৌড় দিলাম । যেয়ে দেখি , হেফাজতি ভন্ডরা দলবল নিয়ে শাহবাগের দিকে আসতেসে , আমাদের দিকে ইট ছূড়ে মারতেসে । আমি তাড়াতাড়ি একটা কাঠ যোগাড় করলাম । আদনানেও একটা বাশ যোগাড় করল । সবাই একসাথে দৌড় দিলাম হেফাজতি ভন্ডদের দিকে । হেফাজতি ভন্ডরা উল্টা ঘুইড়া দিলো দৌড় । আমরা আবার শাহবাগে ফিরে আসলাম । আবার স্লোগান দেয়া শুরু করলাম । হেফাজতি ভন্ডরা হোটেল রূপসি বাংলার দিক দিয়ে হামলা শুরু করলো । আমরাও বাঁশের লাঠি আর কাঠ নিয়ে ঐ দিকে দৌড় দিলাম । তখন পুলিশ হোটেল রূপসি বাংলার সামনে বেড়িকেড দিয়ে দিলো । তাই হেফাজতে ভন্ডরা আবার উল্টা ঘুইরা দৌড় শুরু করলো । এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি । কিন্তু বাংলা মায়ের অসংখ্য সৈনিকেরা শাহবাগ পাহাড়া দিতেসে ।
জয় বাংলা , বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক
আজকে দুপুর ১টায় হরতালের কারণে , ঢাকা যাওয়া কেন্সেল করলাম । আমার অভ্যাস আমি দুপুরবেলায় নাস্তা খাই । তো আমি নাস্তা খাইতেসি এমন সময় শাহবাগ থেকে এক বড় ভাই ফেসবুকে ম্যাসেজ পাটাইলো । ম্যাসেজটা এমন যে , "তাড়াতাড়ি শাহবাগে আসো , হেফাজতি ভন্ডরা শাহবাগে আক্রমণ করবে ।" আমারে আর পায় কে , আদনানরে কইলাম , "তুই যাবি ?" আদনানে কইলো , "শাহবাগ থেকে ডাক আসসে , আর আমি যামু না , এইটা কী হয় ।" আমি কইলাম , "তাইলে চল ।" তখন দুপুর ১ টা ৩০ । যাত্রাবাড়ি তখন হেফাজতি ভন্ডদের দখলে । আর বাস , ট্রেনও চলতেসে না । তাই ২ নং রেলগেইট থেকে অটোরিকশায় পাগলা পর্যন্ত গেলাম । এরপর আরও দুইবা অটোরিকশা চেঞ্জ করতে হইসে । শেষমেশ পোস্তগলা থেকে রিকশা নিয়ে গুলিস্তানে গেলাম । গুশিস্তান থেকে আবার রিকশা নিয়ে টি.এস.সি পর্যন্ত গেলাম । এরপর হেটে হেটে শাহবাগে গেলাম । তখন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত শাহবাগের আকাশ বাতাস । আমরা স্লোগান দেয়ার পর চা খেতে গেলাম । চা শেষ করে মাত্র কাপটা রাখসি । হঠাত্ , দেখি সবাই বাঁশ-কাঠ খোজা খোজি করতেসে । অনেকে মত্স ভবনের দিকে দৌড়াইতেসে । আমি আর আদনানও ঐ দিকে দৌড় দিলাম । যেয়ে দেখি , হেফাজতি ভন্ডরা দলবল নিয়ে শাহবাগের দিকে আসতেসে , আমাদের দিকে ইট ছূড়ে মারতেসে । আমি তাড়াতাড়ি একটা কাঠ যোগাড় করলাম । আদনানেও একটা বাশ যোগাড় করল । সবাই একসাথে দৌড় দিলাম হেফাজতি ভন্ডদের দিকে । হেফাজতি ভন্ডরা উল্টা ঘুইড়া দিলো দৌড় । আমরা আবার শাহবাগে ফিরে আসলাম । আবার স্লোগান দেয়া শুরু করলাম । হেফাজতি ভন্ডরা হোটেল রূপসি বাংলার দিক দিয়ে হামলা শুরু করলো । আমরাও বাঁশের লাঠি আর কাঠ নিয়ে ঐ দিকে দৌড় দিলাম । তখন পুলিশ হোটেল রূপসি বাংলার সামনে বেড়িকেড দিয়ে দিলো । তাই হেফাজতে ভন্ডরা আবার উল্টা ঘুইরা দৌড় শুরু করলো । এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি । কিন্তু বাংলা মায়ের অসংখ্য সৈনিকেরা শাহবাগ পাহাড়া দিতেসে ।
জয় বাংলা , বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন