আমি ফেসবুক ইউজ করি ৪ বছর হইসে । কিন্তু ব্লগ ট্লগ লিখতাম না । ফেসবুকআমার
নেশা । দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৪ ঘন্টাই ফেসবুকে পইড়া থাকতাম , এহনও
ফেসবুকে পইড়া থাকি । কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারের ধরণটাই
পাল্টাইয়া গেসে । আগে ফেসবুকে আইতাম হুদাই আড্ডা দিতাম , মজা লইতাম । এহন
আর হুদ্দা কামে ফেসবুকে আসি না ।
৫ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় আসা যাক । ৫ ফেব্রুয়ারী বিকালে খবরে দেখলাম শাহবাগে পোলাপান মানববন্ধন টাইপের কিসু একটা করতাসে । আমি ভাবলাম , বাংলাদেশ এমন মানবন্ধন বহুত হয় । আগেহইতো প্রেস ক্লাবের সামনে , এহন হইতাসে শাহবাগে । এরপর আমি আবার ফেসবুকে আইলাম । হঠাত্ কইরা রাইতে দেহি শাহবাগে পোলাপান মোমবাতি , প্রদীপ জ্বালাইয়া বইসা আছে । সেই ছবিফেসবুকে কেডায় জানি আপলোড মারসে । এইবার একটু নইড়াচইড়া বইলাম । রাইত বিরাইতে যখন পোলাপান রাস্তায় বইয়া আছে । তার মানে এইবার কিসু একটা হইবো । এক দোস্তরে ফোন দিয়া কইলাম , দোস্ত একটা ফটো শেয়ার করসি । ছবিটা দেখ । ৫ ফেব্রুয়ারী এমনেই পার হইলো ।
আইলো ৬ ফেব্রুয়ারী । টিভি ছাইড়া দেহি, পোলাপান স্লোগান দিয়া আকাশ , বাতাস কাপাইয়া লাইতাসে । ঐদিকে ফেসবুকও তহন শাহবাগের খবর লইয়া গরম হইয়া গেসে। আমি টিভি দেহি আর ফেসবুকে শাহবাগেরনিউজ , ফটো শেয়ার করি । ৬ তারিখও এমনেই গেলো গা । শাহবাগে আর যাওয়া হইলো না ।
এরপর ৭ তারিখ রাতে পলাইয়্যা শাহবাগে গেলাম গা । সারা রাইত শাহবাগেই কাটাইলাম । ৮ তারিখ দুপুর ৩টায় মহাসমাবেশ শুরু হইলো । আমি তো পুরা ভ্যাবা চ্যাকা খাইয়া গেলাম , এত মানুষ আইলো কইত্তে ? মাইনষের লাইগা রাস্তা দেহা যায় না । ঐ দিন প্রথম এত মানুষ এক লগে জাতীয় সংগীত গাইলাম । জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আমি পুরাই বলদ হইয়া গেলাম , আমার চোক্ষে পানি আইলো কইত্তে ? ঐদিন বুঝলাম জাতীয় সংগীত কী জিনিস । ঐদিন জাফর স্যারও আইসিলেন । ঐদিন সবাই একসাথে শপথ নিলাম । অন্য রকম অনুভূতি ।
এরপর থেকে শাহবাগে যাওয়া আসা চলতেই থাকলো । হঠাত্ ১৩ ফেব্রুয়ারী একটা পেইজও খুইল্লা ফেললাম । এহন শাহবাগে না গেলে ভালই লাগে না । সপ্তাহে ৩-৪ দিন শাহবাগে যাওয়া এখন বাধ্যতামূলক ।
শাহবাগ আমারে অনেক কিসু দিসে । শাহবাগ আমারে শাহবাগী হইতে শিখাইসে ।
জয় বাংলা , বিপ্লবীদের জয় হোক
৫ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় আসা যাক । ৫ ফেব্রুয়ারী বিকালে খবরে দেখলাম শাহবাগে পোলাপান মানববন্ধন টাইপের কিসু একটা করতাসে । আমি ভাবলাম , বাংলাদেশ এমন মানবন্ধন বহুত হয় । আগেহইতো প্রেস ক্লাবের সামনে , এহন হইতাসে শাহবাগে । এরপর আমি আবার ফেসবুকে আইলাম । হঠাত্ কইরা রাইতে দেহি শাহবাগে পোলাপান মোমবাতি , প্রদীপ জ্বালাইয়া বইসা আছে । সেই ছবিফেসবুকে কেডায় জানি আপলোড মারসে । এইবার একটু নইড়াচইড়া বইলাম । রাইত বিরাইতে যখন পোলাপান রাস্তায় বইয়া আছে । তার মানে এইবার কিসু একটা হইবো । এক দোস্তরে ফোন দিয়া কইলাম , দোস্ত একটা ফটো শেয়ার করসি । ছবিটা দেখ । ৫ ফেব্রুয়ারী এমনেই পার হইলো ।
আইলো ৬ ফেব্রুয়ারী । টিভি ছাইড়া দেহি, পোলাপান স্লোগান দিয়া আকাশ , বাতাস কাপাইয়া লাইতাসে । ঐদিকে ফেসবুকও তহন শাহবাগের খবর লইয়া গরম হইয়া গেসে। আমি টিভি দেহি আর ফেসবুকে শাহবাগেরনিউজ , ফটো শেয়ার করি । ৬ তারিখও এমনেই গেলো গা । শাহবাগে আর যাওয়া হইলো না ।
এরপর ৭ তারিখ রাতে পলাইয়্যা শাহবাগে গেলাম গা । সারা রাইত শাহবাগেই কাটাইলাম । ৮ তারিখ দুপুর ৩টায় মহাসমাবেশ শুরু হইলো । আমি তো পুরা ভ্যাবা চ্যাকা খাইয়া গেলাম , এত মানুষ আইলো কইত্তে ? মাইনষের লাইগা রাস্তা দেহা যায় না । ঐ দিন প্রথম এত মানুষ এক লগে জাতীয় সংগীত গাইলাম । জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আমি পুরাই বলদ হইয়া গেলাম , আমার চোক্ষে পানি আইলো কইত্তে ? ঐদিন বুঝলাম জাতীয় সংগীত কী জিনিস । ঐদিন জাফর স্যারও আইসিলেন । ঐদিন সবাই একসাথে শপথ নিলাম । অন্য রকম অনুভূতি ।
এরপর থেকে শাহবাগে যাওয়া আসা চলতেই থাকলো । হঠাত্ ১৩ ফেব্রুয়ারী একটা পেইজও খুইল্লা ফেললাম । এহন শাহবাগে না গেলে ভালই লাগে না । সপ্তাহে ৩-৪ দিন শাহবাগে যাওয়া এখন বাধ্যতামূলক ।
শাহবাগ আমারে অনেক কিসু দিসে । শাহবাগ আমারে শাহবাগী হইতে শিখাইসে ।
জয় বাংলা , বিপ্লবীদের জয় হোক
ভালই :D
উত্তরমুছুনখুব ভাল
উত্তরমুছুনশাহবাগ আমারে শাহবাগি হইতে শিখাইসে , শাহবাগ আমারে অনেক কিছু দিসে ।
উত্তরমুছুনশাহবাগ আমারে শাহবাগি হইতে শিখাইসে , শাহবাগ আমারে অনেক কিছু দিসে ।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।
উত্তরমুছুন