রৌদ্রজ্জ্বল বিকেল । পাহাড়ের পাদদেশে সাগরের জলরাশি আছড়ে পড়ছে । পাহাড়ের
চূড়ায় একটি গাছ । গাছের মগডালে সে বসে আছে । সে দিগন্তপানে চেয়ে আছে । একটি
শংখচিল দেখা যাচ্ছে । মাতাল হাওয়া বইছে । বাতাসে তার চুল উড়ছে । সে
শংখচিলটিকে দেখছে । হয়তো সে ডানা মেলে উড়ে যেতে চাইছে । সে তো মানুষ ।
কিন্তু তার মন আজ পাখির মতো । তার মুখমন্ডলে সুখের ছায়া পড়েছে । সে আজ
সুখের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছে । সে আজ স্বাধীন । সে আজ পাখি হয়ে উড়তে চায় । সে
আজ বৃক্ষ হয়ে সূর্যালোক ছুয়ে দেখতে চায় । সে আজ স্রোতধারায় ভেসে বেড়াতে
চায় । সুখ যেনো আজ উপচে পড়ছে । ঠোটের কোণে এক চিলতে হাসি নিয়ে সে এখনও
শংখচিল দেখছে ।
সমগ্র গ্যালাক্সির রূপের রাণি তার পাশে এসে বসলো । সমগ্র গ্যালাক্সি রূপের রাণিকে দেখতে চায় । অথচ সে জিয়নকে দেখার অপেক্ষায় বসে থাকে । জিয়ন এখনও শংখচিল দেখছে । রাফার দিকে তার কোন খেয়াল নেই । রাফা জিয়নকে দেখছে । রাফা ভাবছে জিয়নের মতো দুঃখি মানুষ হয়তো সমগ্র গ্যালাক্সিতে আর একটাও নেই । রাফা জিয়নকে সুখি দেখতে চায় । তার সব সুখ সে জিয়নকে দিতে চায় । কিন্তু আজ জিয়নকে অন্যরকম দেখাচ্ছে । আজ জিয়নের মুখাবয়ব থেকে আনন্দ রশ্মি বিচ্ছুড়িত হচ্ছে । কারণ আজ সে জয়ী হয়েছে । জিয়নের এই বিজয়ে রাফা আজ চিন্তা মুক্ত , শংকা মুক্ত । রাফাও আজ উত্ফুল্ল । কিন্তু রাফা জানে জিয়ন যতই খুশী হোক , জিয়ান সর্বদাই দুঃখি । তার এই সুখ ক্ষণিকের জন্যে । এজন্যেই রাফা জিয়নকে বিরক্ত করছে না । জিয়নের হাস্যোজ্জ্বল চোখ দুটো দেখতে তার খুব ভালো লাগছে ।
আজ থেকে ২ যুগ আগের ঘটনা । সাল টা ছিল ২৯৮৯ । ক্রুজ শীপে করে পৃথিবী থেকে একদল ভ্রমণকারী গ্যালাক্সি ভ্রমণে বেড়িয়েছিল । ভ্রমণ শুরু হয়েছিল ১লা নভেম্বরে । হঠাত্ ৩রা নভেম্বর ক্রুজ শীপের পর্দায় ভেসে উঠলো , "পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে । ধ্বংসের কারণ এখনও জানা যায় নি । তবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যালাক্সি থেকে পৃথিবী আক্রমণ করা হয়েছে ।" ঠিক ঐ মুহূর্তে ক্রুজ শীপে জন্ম হয়েছিল জিয়নের । তার জন্মের পরই মৃত্যু তার মা কে আলিঙ্গন করে ।
৪ঠা নভেম্বর তারা গ্যালাক্সির রাজধানী ট্রোপনে অবতরণ করে । ততক্ষণে জিয়নকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । এবং জিয়নের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে । ক্রুজ শীপে যেসব শিশু ছিল শুধুমাত্র তাদের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে । যারা প্রাপ্ত বয়স্ক , ভ্রমণকাল শেষ হওয়া মাত্র তাদের ব্ল্যাক হোলা নিক্ষেপ করা হবে । কারণ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে । তাই ভ্রমণকারীরা পৃথিবীতে ফিড়ে যেতে পারবে না । আবার ডাটাবেজে তাদের পরিচয় সংরক্ষিত নাই । তাই তারা গ্যালাক্সিতেও থাকতে পারবে না । গ্যালাক্সীবাসীরা পৃথিবীবাসীদের আদিম মানব হিসেবে গণ্য করে । তাই গ্যালাক্সিতে বসবাসের কোন অধিকার তাদের নেই । কিন্তু শিশুদের গ্যালাক্সির শিক্ষা দিয়ে গ্যালাক্সিবাসিদের মতো তৈরী করা যাবে । তাই শিশুদের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে ।
এটাই গ্যালাক্সির আইন । সভ্যতার পাশাপাশি গ্যালাক্সির নিষ্ঠুরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে ।
১২ নভেম্বর জিয়নের বাবার ভ্রমণকালের সমাপ্তি ঘটে । তাই এখন তাকে ব্ল্যাক হোলে নিক্ষেপ করার পালা । নিষ্ঠুর গ্যালাক্টিক আইন একজন নবজাতকের বাবাকেও রেহাই দিলো না । জিয়নের বাবা এবং অন্যান্য প্রাপ্ত বয়স্ক যাদের ভ্রমণকাল শেষ তাদের ব্ল্যাক হোলে নিক্ষেপ করা হল । জিয়নের মতো আরও অনেকেই তাদের প্রিয়জন হারালো । কারও বাবা , কারও মা , কারও বোন , কারও ভাই । যারা প্রিয়জনদের হারালো তারা সবাই শিশু । তাই তারা এর প্রতিবাদও করলো না । তাছাড়া প্রতিবাদ করার মতো কারও ক্ষমতাও নেই । গ্যালাক্সিতে যারা বসবাস করে তাদের নাকি নিষ্ঠুর হতে হয় । তাই এই নবজাতকদেরও নিষ্ঠুরতা শেখানো হল , তাদের প্রিয়জনকে হারানোর মাধ্যমে ।
জিয়নের নানু বাড়ি ট্রোপনে । গ্যালাক্টিক এম্পায়ার গঠনের শুরুতেই তারা ট্রপনে বসতি স্থাপন করেছিল । এরপর থেকে তারা আর পৃথিবীতে ফিরে যায় নি ।
জিয়নকে জিয়নের নানুর কাছে হস্তান্তর করা হলো । জিয়নের কোন আত্মীয় তার বাবার এই পরিণতীর জন্যে প্রতিবাদ করতে পারে নি । কারণ সাধারণ গ্যালাক্সি বাসীদের এই ক্ষমতা দেয়া হয় না ।
জিয়নের নানু বাড়িতেই তার নতুন জীবন শুরু হল । সে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকলো । একদিন তাকে একটা টিচিং রোবট কিনে দেয়া হল পড়ালেখা শিখার জন্যে । এখানে পৃথিবীর মতো স্কুল কলেজ নেই । টিচিং রোবটরাই শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করে । সবাই নিজ নিজ আবাসস্থলে পড়াশুন করে । এখানে কোন বই খাতা নেই । সবই আধুনিক । প্রযুক্তি নির্ভর । একটি পেপার স্ক্রিনে লিখতে হয় । আবার ঐ পেপার স্ক্রিন থেকেই পড়তে হয় । পেপার স্ক্রিনটি কন্ট্রোল করে ঐ টিচিং রোবট । এখানে সব বিষয়ে ঞ্জান অর্জন করতে হয় না । একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেই হয় । তাই জিয়নও একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলো । তার পড়াশুনার বিষয়টি ছিল ম্যাথম্যাটিকাল সাইকোলজি ।
এভাবেই সে দিনের পর দিন অতিবাহিত করলো । কিন্তু একদিন হঠাত্ তার রুমে সে দুইটি বই আবিষ্কার করলো । সে তার নানুর কাছে জানতে চাইলো , এগুলা কী ? তার নানু তাকে বললো , এগুলা বই । পৃথিবীর বই । এই বইগুলো তার বাবার সাথে ছিল । এর আগে সে তার বাবা মার সম্পর্কে , পৃথিবী সম্পর্কে কিছুই জানতো না । সেদিন তার নানু তাকে পৃথিবীর ইতিহাস বললো । তার বাবা মার কথা বলল । সব শুনার পর জিয়ন হতবাক হয়ে গেলো । সে ক্ষুব্ধ হল । গ্যালাক্সির প্রতি তার মনে ঘৃণার জন্ম হল । সে পৃথিবীর ইতিহাস জানতে আগ্রহী হল । কারণ তার পিতৃভূমি পৃথিবীর ধ্বংসকারীদের বিচার সে করবেই । গ্যালাক্সির নিষ্ঠুরতা সে বন্ধ করবে । তার ক্ষিপ্র দৃষ্টিই বলে দিচ্ছে , সে খুনিকে খুজে বেড় করে তার শাস্তি দিবেই ।
জিয়ন ম্যাথম্যাটিকাল সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে দিলো । সে ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলো । পৃথিবীর এবং গ্যালাক্সির ইতিহাস । সে লক্ষ্য করলো ডাটা বেজ এ পৃথিবীর ইতিহাসকে খুবই বিকৃত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে । পৃথিবীকে পদে পদে হেয় করা হয়েছে । সে আসল ইতিহাস জানার জন্যে পুরাতন পৃথিবীবাসীদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকল ।
সমগ্র গ্যালাক্সির রূপের রাণি তার পাশে এসে বসলো । সমগ্র গ্যালাক্সি রূপের রাণিকে দেখতে চায় । অথচ সে জিয়নকে দেখার অপেক্ষায় বসে থাকে । জিয়ন এখনও শংখচিল দেখছে । রাফার দিকে তার কোন খেয়াল নেই । রাফা জিয়নকে দেখছে । রাফা ভাবছে জিয়নের মতো দুঃখি মানুষ হয়তো সমগ্র গ্যালাক্সিতে আর একটাও নেই । রাফা জিয়নকে সুখি দেখতে চায় । তার সব সুখ সে জিয়নকে দিতে চায় । কিন্তু আজ জিয়নকে অন্যরকম দেখাচ্ছে । আজ জিয়নের মুখাবয়ব থেকে আনন্দ রশ্মি বিচ্ছুড়িত হচ্ছে । কারণ আজ সে জয়ী হয়েছে । জিয়নের এই বিজয়ে রাফা আজ চিন্তা মুক্ত , শংকা মুক্ত । রাফাও আজ উত্ফুল্ল । কিন্তু রাফা জানে জিয়ন যতই খুশী হোক , জিয়ান সর্বদাই দুঃখি । তার এই সুখ ক্ষণিকের জন্যে । এজন্যেই রাফা জিয়নকে বিরক্ত করছে না । জিয়নের হাস্যোজ্জ্বল চোখ দুটো দেখতে তার খুব ভালো লাগছে ।
আজ থেকে ২ যুগ আগের ঘটনা । সাল টা ছিল ২৯৮৯ । ক্রুজ শীপে করে পৃথিবী থেকে একদল ভ্রমণকারী গ্যালাক্সি ভ্রমণে বেড়িয়েছিল । ভ্রমণ শুরু হয়েছিল ১লা নভেম্বরে । হঠাত্ ৩রা নভেম্বর ক্রুজ শীপের পর্দায় ভেসে উঠলো , "পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে । ধ্বংসের কারণ এখনও জানা যায় নি । তবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যালাক্সি থেকে পৃথিবী আক্রমণ করা হয়েছে ।" ঠিক ঐ মুহূর্তে ক্রুজ শীপে জন্ম হয়েছিল জিয়নের । তার জন্মের পরই মৃত্যু তার মা কে আলিঙ্গন করে ।
৪ঠা নভেম্বর তারা গ্যালাক্সির রাজধানী ট্রোপনে অবতরণ করে । ততক্ষণে জিয়নকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । এবং জিয়নের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে । ক্রুজ শীপে যেসব শিশু ছিল শুধুমাত্র তাদের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে । যারা প্রাপ্ত বয়স্ক , ভ্রমণকাল শেষ হওয়া মাত্র তাদের ব্ল্যাক হোলা নিক্ষেপ করা হবে । কারণ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে । তাই ভ্রমণকারীরা পৃথিবীতে ফিড়ে যেতে পারবে না । আবার ডাটাবেজে তাদের পরিচয় সংরক্ষিত নাই । তাই তারা গ্যালাক্সিতেও থাকতে পারবে না । গ্যালাক্সীবাসীরা পৃথিবীবাসীদের আদিম মানব হিসেবে গণ্য করে । তাই গ্যালাক্সিতে বসবাসের কোন অধিকার তাদের নেই । কিন্তু শিশুদের গ্যালাক্সির শিক্ষা দিয়ে গ্যালাক্সিবাসিদের মতো তৈরী করা যাবে । তাই শিশুদের পরিচয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে ।
এটাই গ্যালাক্সির আইন । সভ্যতার পাশাপাশি গ্যালাক্সির নিষ্ঠুরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে ।
১২ নভেম্বর জিয়নের বাবার ভ্রমণকালের সমাপ্তি ঘটে । তাই এখন তাকে ব্ল্যাক হোলে নিক্ষেপ করার পালা । নিষ্ঠুর গ্যালাক্টিক আইন একজন নবজাতকের বাবাকেও রেহাই দিলো না । জিয়নের বাবা এবং অন্যান্য প্রাপ্ত বয়স্ক যাদের ভ্রমণকাল শেষ তাদের ব্ল্যাক হোলে নিক্ষেপ করা হল । জিয়নের মতো আরও অনেকেই তাদের প্রিয়জন হারালো । কারও বাবা , কারও মা , কারও বোন , কারও ভাই । যারা প্রিয়জনদের হারালো তারা সবাই শিশু । তাই তারা এর প্রতিবাদও করলো না । তাছাড়া প্রতিবাদ করার মতো কারও ক্ষমতাও নেই । গ্যালাক্সিতে যারা বসবাস করে তাদের নাকি নিষ্ঠুর হতে হয় । তাই এই নবজাতকদেরও নিষ্ঠুরতা শেখানো হল , তাদের প্রিয়জনকে হারানোর মাধ্যমে ।
জিয়নের নানু বাড়ি ট্রোপনে । গ্যালাক্টিক এম্পায়ার গঠনের শুরুতেই তারা ট্রপনে বসতি স্থাপন করেছিল । এরপর থেকে তারা আর পৃথিবীতে ফিরে যায় নি ।
জিয়নকে জিয়নের নানুর কাছে হস্তান্তর করা হলো । জিয়নের কোন আত্মীয় তার বাবার এই পরিণতীর জন্যে প্রতিবাদ করতে পারে নি । কারণ সাধারণ গ্যালাক্সি বাসীদের এই ক্ষমতা দেয়া হয় না ।
জিয়নের নানু বাড়িতেই তার নতুন জীবন শুরু হল । সে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকলো । একদিন তাকে একটা টিচিং রোবট কিনে দেয়া হল পড়ালেখা শিখার জন্যে । এখানে পৃথিবীর মতো স্কুল কলেজ নেই । টিচিং রোবটরাই শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করে । সবাই নিজ নিজ আবাসস্থলে পড়াশুন করে । এখানে কোন বই খাতা নেই । সবই আধুনিক । প্রযুক্তি নির্ভর । একটি পেপার স্ক্রিনে লিখতে হয় । আবার ঐ পেপার স্ক্রিন থেকেই পড়তে হয় । পেপার স্ক্রিনটি কন্ট্রোল করে ঐ টিচিং রোবট । এখানে সব বিষয়ে ঞ্জান অর্জন করতে হয় না । একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেই হয় । তাই জিয়নও একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলো । তার পড়াশুনার বিষয়টি ছিল ম্যাথম্যাটিকাল সাইকোলজি ।
এভাবেই সে দিনের পর দিন অতিবাহিত করলো । কিন্তু একদিন হঠাত্ তার রুমে সে দুইটি বই আবিষ্কার করলো । সে তার নানুর কাছে জানতে চাইলো , এগুলা কী ? তার নানু তাকে বললো , এগুলা বই । পৃথিবীর বই । এই বইগুলো তার বাবার সাথে ছিল । এর আগে সে তার বাবা মার সম্পর্কে , পৃথিবী সম্পর্কে কিছুই জানতো না । সেদিন তার নানু তাকে পৃথিবীর ইতিহাস বললো । তার বাবা মার কথা বলল । সব শুনার পর জিয়ন হতবাক হয়ে গেলো । সে ক্ষুব্ধ হল । গ্যালাক্সির প্রতি তার মনে ঘৃণার জন্ম হল । সে পৃথিবীর ইতিহাস জানতে আগ্রহী হল । কারণ তার পিতৃভূমি পৃথিবীর ধ্বংসকারীদের বিচার সে করবেই । গ্যালাক্সির নিষ্ঠুরতা সে বন্ধ করবে । তার ক্ষিপ্র দৃষ্টিই বলে দিচ্ছে , সে খুনিকে খুজে বেড় করে তার শাস্তি দিবেই ।
জিয়ন ম্যাথম্যাটিকাল সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে দিলো । সে ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা শুরু করলো । পৃথিবীর এবং গ্যালাক্সির ইতিহাস । সে লক্ষ্য করলো ডাটা বেজ এ পৃথিবীর ইতিহাসকে খুবই বিকৃত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে । পৃথিবীকে পদে পদে হেয় করা হয়েছে । সে আসল ইতিহাস জানার জন্যে পুরাতন পৃথিবীবাসীদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন