ফাঁসির রায় শোনার সাথে সাথে মা কে খবর টা দিতে ছুটে গিয়েছিলাম । মা রান্না করছিল , একটু পর আমি আর আমার ভাই বের হব স্কুল - কলেজের জন্য , এরকম ই প্ল্যান । মা রান্নায় ব্যাস্ত , আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেললাম । আম্মু তো পুরাই অবাক , মেয়ে এইরকম হাউমাউ করে কাদতেসে কেন !!! গতকাল আম্মুকে বলছিলাম যে আজকে কাদের কসাই এর রায় দিবে , আমার কান্নাকাটি দেখে আম্মু ভেবেছে হয়ত ফাঁসি হয়নাই । আম্মু আমাকে সান্তনা দেয়া শুরু করল - তোদের আন্দোলন ব্যর্থ না ,তুই কাঁদিস না ইত্যাদি বলে । কোনরকমে নিজেকে সামলায় নিয়ে আম্মুকে বুঝাইলাম যে আম্মু আমি খুশিতে কাদতেসি , কাদের কসাই এর ফাসির রায় হয়েছে , আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে , আমি বিজয়ের আনন্দে কাদতেসি ।
ফাসির রায় হয়েছে শুনে আমার লক্ষ্মী মামনি টার চোখ - মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল মুহূর্তেই । এবার আমাকে জড়ায় ধরে আম্মুর কাঁদার পালা । ছোট ভাই স্কুলে যাবে , বার বার আমাদের তাড়া দিতেসে ওর বই - খাতা , খাবার রেডি করে দেয়ার জন্য - আমাদের দুইজনের কারোর ই ঐদিকে কোন খেয়াল ই নাই । ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ১৭ ই সেপ্টেম্বর , প্রায় আট মাস ধরে আমাদের এই আন্দোলন , আজকে তাঁর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা - আর সে ফলাফল বিজয়ের । আমি এতদিন কলেজ থেকে , আমার নিজের বাবার কাছ থেকে কি ব্যবহার গুলো , কি শাস্তি গুলো , কি উপেক্ষা গুলো সহ্য করেছি তা আমি জানি , আমার মা জানে । নীরব প্রতিবাদ ছাড়া সেই মুহূর্ত গুলোতে হয়ত আমাদের কিছুই করার ছিল না , কলেজ থেকে সাময়িক বহিস্কার কেও মেনে নিতে হয়েছে শাহবাগ কে ভালোবেসে । আজ সেই সব স্মৃতি বিজয় উপহার হয়ে যেন সামনে আসছিল আমার আর আম্মুর । আমরা দুজনেই বুঝতে পারছিলাম আজকে আমাদের সব অপমানের , সব শাস্তির প্রতিউত্তর দেয়া হয়ে গেছে , আজকে সব কিছুর প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে , আজকে কাদের কসাই এর হাতের বিজয় চিহ্নের প্রতিশোধ আমরা নিতে পেরেছি , আজকে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা - বোনের নির্যাতনের বদলা আমরা নিতে পেরেছি , আজকে কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার বদলা আমরা নিতে পেরেছি। আজকে কাদের কসাই এর ফাঁসির রায় হয়েছে ।
আমার মনে আছে , ১১ ফেব্রুয়ারি তে কলেজে রসায়ন ক্লাসের মধ্যে আমাকে ডেকে পাঠালেন সিস্টার । বললেন কি কি করেছি লিখে দিতে । আমাকে ঐ মুহূর্তে কেন লেখালেখির ভূত চেপে ধরেছিল আমি জানি না - সেদিন বলতে গেলে বিশাল এক রচনা লিখেছিলাম শাহবাগ সম্পর্কে , আমাদের রাজাকার বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে । কেন আমি শাহবাগ যাই , কোন দাবি আমাকে শাহবাগ নিয়ে যায় , কোন চেতনা আমাকে ঘর থেকে টেনে বের করে শাহবাগে আসতে বাধ্য করে সব সেখানে লেখা ছিল । সিস্টার একবার তাকিয়েই লেখা টা ছিঁড়ে ফেললেন । এরপর আমার মাকে ডেকে বললেন আমি নাকি রাজনীতি করছি , কলেজের মেয়েদের নাকি নষ্ট করছি ।হ্যা , আমি কলেজের অনেক সহপাঠীকেই শাহবাগ যেতে অনুপ্রানিত করেছিলাম , কিন্তু একে নষ্ট করা কিভাবে বলে আমি জানতাম না । মা সেদিন যতই আমার পক্ষে কথা বলছিলেন , ততই সিস্টারের মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল । অবশেষে যখন কলেজ থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখান তিনি , তখন মা বলতে বাধ্য হন যে যা খুশি শাস্তি দেন ওকে । এরপর কলেজ থেকে আমাকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কৃত করা হয় । ক্লাসের সহপাঠীরাও আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে থাকে , শাড়ি - গয়নার আলাপ বাদ দিয়ে যে মেয়ে সারাক্ষন রাজাকারের ফাসি আর দেশ নিয়ে পরে থাকে , তার সাথে মিশতে কার ই বা ভাল লাগবে ? এক সময় আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবি ভাষার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাই আমি । ওকে বুঝাতে চেষ্টা করি , ও বুঝে তো না ই , উল্টা আমাকে বলে গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব যে কোন একটাকে নির্বাচন করতে। আমি সেদিন নির্দ্বিধায় গনজারন মঞ্চকে বেছে নিয়েছিলাম , কারন আমি আমার দেশের সাথে আর কারো তুলনা করার কথা কল্পনাও করতে পারি না। সেদিন বুঝেছিলাম আমি এই আন্দোলন টাকে কত ভালোবাসি । আর একবার বুঝেছিলাম , যখন বাবা গলায় পা দিয়ে দাঁড়ানোর পর ও জয় বাংলা বলতে পেরেছিলাম । এই ঘটনা গুলো আমার অন্তরের আমি কে আমার সামনে তুলে এনেছিল । আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার অন্তরের দাবিকে , তাই পিছু হটি নি। আর সেজন্যই আজকে এই বিজয়ের কান্না কাদতে পেরেছি আমার মা কে জড়িয়ে ধরে ।
দুইজন ই একটু শান্ত হয়ে আসার পর আম্মু জিজ্ঞেস করল , আজকে শাহবাগে যাবি না ? বিজয় মিছিল হবে না আজকে ? আমি কিছুক্ষন তাকায় থাকলাম আম্মুর দিকে , কলেজে যেতে হবে এটা আম্মুও জানে , কিন্তু আমি শাহবাগে যাওয়ার জন্য যেমন অস্থির , আম্মু ও তাই । কাজেই কলেজ আজকের মত বাদ , শাহবাগ ই স্থির হল । ছোট ভাইকে স্কুলে দিয়ে আমরা দুইজন সোজা শাহবাগে । শাহবাগে একটু পর পর চেনা - অচেনা সহযোদ্ধাদের সাথে দেখা , জয় বাংলা বলে চিথকার করে ওঠা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে - সব মিলিয়ে সত্যি মনে হচ্ছিল আজকে আমরা বিজয়ী । মা কে আজকে খাওয়ালাম। কসাই এর ফাসির রায় বিজয়ের আনন্দ টা সবার আগে আমার মা এর সাথেই ভাগ করে নেয়া উচিত , কারন এই আন্দোলনে আমার সবচেয়ে প্রিয় , সবচেয়ে কাছের সহযোদ্ধা আমার মা । এরপর মাকে নিয়ে ঢুকলাম জাদুঘরে । মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি তে ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৯ এর ছবি দেখে মা বলল , শাহবাগের সাথে তো কোন পার্থক্যই নাই - সেই এক ই উদ্যত হাত , এক ই স্লোগান , প্রতিপক্ষ ও সেই এক ই । দেখিস , জয় হবেই । এরপর ঘড়ির কাটা চারটার কাছাকাছি আসতেই আমি আর আম্মু নেমে চলে আসলাম আমাদের প্রজন্ম চত্বরে । স্লোগানে স্লোগানে একটু পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল শাহবাগ । শাম্মি আপু একটু পরেই এসে হাজির হলেন । আপুকে জড়িয়ে ধরে শুধু অভিনন্দন ছাড়া আর কিছু বলতে পারি নাই , কথা জড়ায় যাচ্ছিল । আপু একটু পরেই স্লোগানে স্লোগানে মাতিয়ে তুললেন শাহবাগ । আজকে স্লোগানের মধ্যেও ছিল খুশির আমেজ , বিজয়ের আমেজ । বিশেষ করে "ক তে কাদের মোল্লা , তুই রাজাকার , তুই রাজাকার " স্লোগান দেয়ার সময় আপুর কণ্ঠের খুশির আমেজ আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম । ৫ ফেব্রুয়ারি দেখেছিলাম কাদের কসাই এর হাতে বিজয় চিহ্ন , দেখে বারুদের মত জ্বলে উঠেছিলাম আমরা পুরো বাঙালি জাতি । আজকে আমাদের হাতে , বাঙ্গালিদের হাতে , গনজাগরন মঞ্চের হাতে দেখলাম বিজয় চিহ্ন । আজকে সত্যি কাদের কসাই এর সেই কালো হাতের বিজয় চিহ্নকে আমরা পরাজিত করতে পেরেছি। আজকে কাদের কসাই এর ফাসির রায় হয়েছে , আজকে জনতার বিজয় হয়েছে ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় তারুন্য , জয় শাহবাগ , জয় গণজাগরণ মঞ্চ । জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
ফাসির রায় হয়েছে শুনে আমার লক্ষ্মী মামনি টার চোখ - মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল মুহূর্তেই । এবার আমাকে জড়ায় ধরে আম্মুর কাঁদার পালা । ছোট ভাই স্কুলে যাবে , বার বার আমাদের তাড়া দিতেসে ওর বই - খাতা , খাবার রেডি করে দেয়ার জন্য - আমাদের দুইজনের কারোর ই ঐদিকে কোন খেয়াল ই নাই । ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ১৭ ই সেপ্টেম্বর , প্রায় আট মাস ধরে আমাদের এই আন্দোলন , আজকে তাঁর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা - আর সে ফলাফল বিজয়ের । আমি এতদিন কলেজ থেকে , আমার নিজের বাবার কাছ থেকে কি ব্যবহার গুলো , কি শাস্তি গুলো , কি উপেক্ষা গুলো সহ্য করেছি তা আমি জানি , আমার মা জানে । নীরব প্রতিবাদ ছাড়া সেই মুহূর্ত গুলোতে হয়ত আমাদের কিছুই করার ছিল না , কলেজ থেকে সাময়িক বহিস্কার কেও মেনে নিতে হয়েছে শাহবাগ কে ভালোবেসে । আজ সেই সব স্মৃতি বিজয় উপহার হয়ে যেন সামনে আসছিল আমার আর আম্মুর । আমরা দুজনেই বুঝতে পারছিলাম আজকে আমাদের সব অপমানের , সব শাস্তির প্রতিউত্তর দেয়া হয়ে গেছে , আজকে সব কিছুর প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেছে , আজকে কাদের কসাই এর হাতের বিজয় চিহ্নের প্রতিশোধ আমরা নিতে পেরেছি , আজকে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা - বোনের নির্যাতনের বদলা আমরা নিতে পেরেছি , আজকে কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার বদলা আমরা নিতে পেরেছি। আজকে কাদের কসাই এর ফাঁসির রায় হয়েছে ।
আমার মনে আছে , ১১ ফেব্রুয়ারি তে কলেজে রসায়ন ক্লাসের মধ্যে আমাকে ডেকে পাঠালেন সিস্টার । বললেন কি কি করেছি লিখে দিতে । আমাকে ঐ মুহূর্তে কেন লেখালেখির ভূত চেপে ধরেছিল আমি জানি না - সেদিন বলতে গেলে বিশাল এক রচনা লিখেছিলাম শাহবাগ সম্পর্কে , আমাদের রাজাকার বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে । কেন আমি শাহবাগ যাই , কোন দাবি আমাকে শাহবাগ নিয়ে যায় , কোন চেতনা আমাকে ঘর থেকে টেনে বের করে শাহবাগে আসতে বাধ্য করে সব সেখানে লেখা ছিল । সিস্টার একবার তাকিয়েই লেখা টা ছিঁড়ে ফেললেন । এরপর আমার মাকে ডেকে বললেন আমি নাকি রাজনীতি করছি , কলেজের মেয়েদের নাকি নষ্ট করছি ।হ্যা , আমি কলেজের অনেক সহপাঠীকেই শাহবাগ যেতে অনুপ্রানিত করেছিলাম , কিন্তু একে নষ্ট করা কিভাবে বলে আমি জানতাম না । মা সেদিন যতই আমার পক্ষে কথা বলছিলেন , ততই সিস্টারের মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল । অবশেষে যখন কলেজ থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখান তিনি , তখন মা বলতে বাধ্য হন যে যা খুশি শাস্তি দেন ওকে । এরপর কলেজ থেকে আমাকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কৃত করা হয় । ক্লাসের সহপাঠীরাও আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে থাকে , শাড়ি - গয়নার আলাপ বাদ দিয়ে যে মেয়ে সারাক্ষন রাজাকারের ফাসি আর দেশ নিয়ে পরে থাকে , তার সাথে মিশতে কার ই বা ভাল লাগবে ? এক সময় আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবি ভাষার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাই আমি । ওকে বুঝাতে চেষ্টা করি , ও বুঝে তো না ই , উল্টা আমাকে বলে গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব যে কোন একটাকে নির্বাচন করতে। আমি সেদিন নির্দ্বিধায় গনজারন মঞ্চকে বেছে নিয়েছিলাম , কারন আমি আমার দেশের সাথে আর কারো তুলনা করার কথা কল্পনাও করতে পারি না। সেদিন বুঝেছিলাম আমি এই আন্দোলন টাকে কত ভালোবাসি । আর একবার বুঝেছিলাম , যখন বাবা গলায় পা দিয়ে দাঁড়ানোর পর ও জয় বাংলা বলতে পেরেছিলাম । এই ঘটনা গুলো আমার অন্তরের আমি কে আমার সামনে তুলে এনেছিল । আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার অন্তরের দাবিকে , তাই পিছু হটি নি। আর সেজন্যই আজকে এই বিজয়ের কান্না কাদতে পেরেছি আমার মা কে জড়িয়ে ধরে ।
দুইজন ই একটু শান্ত হয়ে আসার পর আম্মু জিজ্ঞেস করল , আজকে শাহবাগে যাবি না ? বিজয় মিছিল হবে না আজকে ? আমি কিছুক্ষন তাকায় থাকলাম আম্মুর দিকে , কলেজে যেতে হবে এটা আম্মুও জানে , কিন্তু আমি শাহবাগে যাওয়ার জন্য যেমন অস্থির , আম্মু ও তাই । কাজেই কলেজ আজকের মত বাদ , শাহবাগ ই স্থির হল । ছোট ভাইকে স্কুলে দিয়ে আমরা দুইজন সোজা শাহবাগে । শাহবাগে একটু পর পর চেনা - অচেনা সহযোদ্ধাদের সাথে দেখা , জয় বাংলা বলে চিথকার করে ওঠা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে - সব মিলিয়ে সত্যি মনে হচ্ছিল আজকে আমরা বিজয়ী । মা কে আজকে খাওয়ালাম। কসাই এর ফাসির রায় বিজয়ের আনন্দ টা সবার আগে আমার মা এর সাথেই ভাগ করে নেয়া উচিত , কারন এই আন্দোলনে আমার সবচেয়ে প্রিয় , সবচেয়ে কাছের সহযোদ্ধা আমার মা । এরপর মাকে নিয়ে ঢুকলাম জাদুঘরে । মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি তে ২১ শে ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৯ এর ছবি দেখে মা বলল , শাহবাগের সাথে তো কোন পার্থক্যই নাই - সেই এক ই উদ্যত হাত , এক ই স্লোগান , প্রতিপক্ষ ও সেই এক ই । দেখিস , জয় হবেই । এরপর ঘড়ির কাটা চারটার কাছাকাছি আসতেই আমি আর আম্মু নেমে চলে আসলাম আমাদের প্রজন্ম চত্বরে । স্লোগানে স্লোগানে একটু পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল শাহবাগ । শাম্মি আপু একটু পরেই এসে হাজির হলেন । আপুকে জড়িয়ে ধরে শুধু অভিনন্দন ছাড়া আর কিছু বলতে পারি নাই , কথা জড়ায় যাচ্ছিল । আপু একটু পরেই স্লোগানে স্লোগানে মাতিয়ে তুললেন শাহবাগ । আজকে স্লোগানের মধ্যেও ছিল খুশির আমেজ , বিজয়ের আমেজ । বিশেষ করে "ক তে কাদের মোল্লা , তুই রাজাকার , তুই রাজাকার " স্লোগান দেয়ার সময় আপুর কণ্ঠের খুশির আমেজ আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম । ৫ ফেব্রুয়ারি দেখেছিলাম কাদের কসাই এর হাতে বিজয় চিহ্ন , দেখে বারুদের মত জ্বলে উঠেছিলাম আমরা পুরো বাঙালি জাতি । আজকে আমাদের হাতে , বাঙ্গালিদের হাতে , গনজাগরন মঞ্চের হাতে দেখলাম বিজয় চিহ্ন । আজকে সত্যি কাদের কসাই এর সেই কালো হাতের বিজয় চিহ্নকে আমরা পরাজিত করতে পেরেছি। আজকে কাদের কসাই এর ফাসির রায় হয়েছে , আজকে জনতার বিজয় হয়েছে ।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু । জয় প্রজন্ম , জয় তারুন্য , জয় শাহবাগ , জয় গণজাগরণ মঞ্চ । জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের , জয় হোক স্বাধীনতার ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন