স্বাধীন বাংলাদেশ , স্বাধীন লাল -সবুজ পতাকা আমাদের অগ্রজেরা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করে দিয়ে গেছেন আমাদের। হাতের মুঠোয় মৃত্যু , চোখে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ছিলেন। নিশ্চিত জীবনের আশ্বাস , মা - বোনের অশ্রুসজল চোখ সবকিছুকে দূরে সরিয়ে দেশ মায়ের ডাকে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, আমাদের জন্য এনে দিয়েছেন সোনালি স্বদেশ - যার প্রতি কনা মাটিতে মিশে... আছে শহীদের রক্ত , বীরাঙ্গনা মায়ের অশ্রু। স্বর্গের চেয়ে প্রিয় এ জন্মভূমির স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আজ আমাদের , ২০১৩ সালের নবপ্রজন্মের। অন্ধকারে খা খা সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক জেগে আছে আজও। এ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি , রাজাকাররাও এ প্রজন্মের যুদ্ধ দেখেনি - দেখিয়ে দেয়ার এখনি সময়।
একাত্তরের রনাঙ্গনে যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা - শত্রুর বুলেটের আঘাতে মারা যাচ্ছেন তিনি। মৃত্যুর আগে সহযোদ্ধাদের কাছে তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল , মুক্ত ভূমিতে যাতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সহযোদ্ধারা এই বীর শহীদের লাশ কাঁধে নিয়ে খুঁজতে লাগলেন মুক্ত ভূমি। একজন প্রশ্ন করলেন , এখানে মুক্ত ভূমি কোথায় পাওয়া যাবে , মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর দিলেন , মুক্ত ভূমি না থাকলে এই শহীদকে কবর দেয়ার জন্য আমাদের এক খণ্ড মাটি হলেও মুক্ত করতে হবে। এসব ইতিহাস শুনলে নিজের অজান্তে কাঁদি আর বলি , এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতেই হবে। মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রান হল বলিদান , লিখা আছে অশ্রুজলে...। এই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জেগে আছে , জেগে থাকবে যুগ যুগ ধরে।
সেই রক্তের দামে , ত্যাগের দামে , অশ্রুর দামে অর্জিত স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছিল একাত্তরে এবং বিরোধিতা করছে আজও -তাদের ফাসির দাবি নিয়েই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের। প্রায় এগারো মাস ধরে বাঙ্গালিদের এ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে পূরণ হয়েছে মা জাহানারা ইমামের স্বপ্ন , কার্যকর হয়েছে রাজাকারের ফাঁসি। এই ফাঁসির মাধ্যমে প্রমান হয়েছে বাংলাদেশ এখনও জেগে আছে দেশদ্রোহী যেকোন অপশক্তির সমুচিত জবাব দিতে। পাকিস্তান , পাকিস্তানের কোন দালালের স্থান বাংলাদেশে নেই এর প্রমাণ গত দশ মাসে আমরা দিয়েছি। মিছিল -স্লোগান - সমাবেশ - অবস্থান - পুলিশের লাঠিচার্জ - আহত -নিহত কোন কিছুই পিছপা করতে পারেনি প্রজন্মের এই নবযাত্রাকে।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে নতুন আগামীর পথে গণজাগরণ মঞ্চ যে যাত্রা শুরু করেছিল ইতিমধ্যেই তা অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বিজয় - রাজাকারের ফাসি। এই গনজাগরন মঞ্চের কারনেই সারা বিশ্ব নতুন করে চিনেছে বাঙ্গালিকে- জাগরনের জোয়ারে আদায় হয়েছে রাজাকারের ফাসি , জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে বাঙালি, পুলিশের আঘাতের মুখে অগ্নিকন্যা শাম্মি আপুর কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় যে বাংলাদেশ কে আমরা কতোটা ভালবাসি আর পাকিস্তানকে কতটা ঘৃণা করি। রাজাকারের ফাসি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে , নিঃসন্দেহে বাঙ্গালির অনেক বড় একটি বিজয় এটি। প্রজন্মের এই বিজয়ে পাকিস্তানিদের নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করার কারণে পুলিশ আঘাত করছে প্রজন্মযোদ্ধাদের , হাত তুলছে বীরাঙ্গনা মা , মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে।
এরপরেও থেমে নেই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। এই যোদ্ধারা আহত হয়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ও হাসপাতালের গেটে ডেকে ফেলেন প্রেস কনফারেন্স , ঘোষণা দেন পরবর্তী কর্মসূচীর। এই যোদ্ধারা ভেঙ্গে পরা সহযোদ্ধাকে সান্তনা দেন 'দিস ইজ পার্ট অফ রেভ্যুলুশন' বলে। আজকে শাহবাগে জাফর ইকবাল স্যার বললেন- "পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল , ভদ্র , শান্ত এবং দেশপ্রেমিক ছেলেমেয়রা হল এই গনজাগরন মঞ্চের।" এই কমপ্লিমেন্ট আমি মনে করি শাহবাগের প্রত্যেকটা যোদ্ধার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া, শেকলবন্দী হয়েও স্যারের এই কথা শুনে মনে হচ্ছে যত বাধাই আসুক , পার করার শক্তি আমাদের আছে। তাই শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমাবে না। একজন ইমরান ভাই , বাধন ভাইকে আহত করতে পারবে পুলিশ - হাজার হাজার ইমরান , বাধন দের কিভাবে আহত করবে ? একজন শাম্মি আপুকে গ্রেফতার করতে পারবে , হাজার হাজার লাকি , শাম্মিকে কিভাবে গ্রেফতার করবে ?
শাহবাগ জেগে আছে, জেগে থাকবে প্রাণের মোহনা প্রজন্ম চত্বর থেকে সারাদেশে। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন দল -মত -পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে শাহবাগে আসে বাঙ্গালিরা। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন এই যোদ্ধারা পুলিশের গ্রেফতারের প্রতিবাদ , লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করে দুর্জয় স্লোগান দিয়ে। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন এখানে কেউ নিজের স্বার্থের জন্য বা দলীয় স্বার্থের জন্য আসে না - আসে বাংলাদেশের জন্য। গনজাগরন মঞ্চ জেগে থাকবে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। এই গণজাগরণ মঞ্চই তো আমাকে পারিবারিক গণ্ডির বাইরে গিয়ে মিছিল করতে শিখিয়েছে , রাজাকারের ফাসির দাবিতে রাতভোর অবস্থান করতে শিখিয়েছে। জাফর ইকবাল স্যার আজকে আরও বলছিলেন - "তোমাদের প্রজন্ম আমাকে আরেকটা উপহার দিয়েছে - কি জানো ? আমাকে জয় বাংলা স্লোগান টা নতুন করে উপহার দিয়েছে।" স্যার , এই জয় বাংলা যে আমাদের মূলমন্ত্র , আমাদের ভালবাসা , একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত অক্ষয় চেতনা। আমি গণজাগরণ মঞ্চকে ভালবাসি , প্রজন্ম চত্বরকে ভালোবাসি জীবনের যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি।
'হাত দিয়ে বল সূর্যের আলোকে রুধিতে পারে কেউ
আমাদের মেরে ঠেকানো যাবে না গনজোয়ারের ঢেউ'
জয় বাংলা ... জয় গণজাগরণ মঞ্চ ।
একাত্তরের রনাঙ্গনে যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা - শত্রুর বুলেটের আঘাতে মারা যাচ্ছেন তিনি। মৃত্যুর আগে সহযোদ্ধাদের কাছে তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল , মুক্ত ভূমিতে যাতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সহযোদ্ধারা এই বীর শহীদের লাশ কাঁধে নিয়ে খুঁজতে লাগলেন মুক্ত ভূমি। একজন প্রশ্ন করলেন , এখানে মুক্ত ভূমি কোথায় পাওয়া যাবে , মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর দিলেন , মুক্ত ভূমি না থাকলে এই শহীদকে কবর দেয়ার জন্য আমাদের এক খণ্ড মাটি হলেও মুক্ত করতে হবে। এসব ইতিহাস শুনলে নিজের অজান্তে কাঁদি আর বলি , এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতেই হবে। মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রান হল বলিদান , লিখা আছে অশ্রুজলে...। এই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জেগে আছে , জেগে থাকবে যুগ যুগ ধরে।
সেই রক্তের দামে , ত্যাগের দামে , অশ্রুর দামে অর্জিত স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছিল একাত্তরে এবং বিরোধিতা করছে আজও -তাদের ফাসির দাবি নিয়েই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের। প্রায় এগারো মাস ধরে বাঙ্গালিদের এ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে পূরণ হয়েছে মা জাহানারা ইমামের স্বপ্ন , কার্যকর হয়েছে রাজাকারের ফাঁসি। এই ফাঁসির মাধ্যমে প্রমান হয়েছে বাংলাদেশ এখনও জেগে আছে দেশদ্রোহী যেকোন অপশক্তির সমুচিত জবাব দিতে। পাকিস্তান , পাকিস্তানের কোন দালালের স্থান বাংলাদেশে নেই এর প্রমাণ গত দশ মাসে আমরা দিয়েছি। মিছিল -স্লোগান - সমাবেশ - অবস্থান - পুলিশের লাঠিচার্জ - আহত -নিহত কোন কিছুই পিছপা করতে পারেনি প্রজন্মের এই নবযাত্রাকে।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে নতুন আগামীর পথে গণজাগরণ মঞ্চ যে যাত্রা শুরু করেছিল ইতিমধ্যেই তা অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বিজয় - রাজাকারের ফাসি। এই গনজাগরন মঞ্চের কারনেই সারা বিশ্ব নতুন করে চিনেছে বাঙ্গালিকে- জাগরনের জোয়ারে আদায় হয়েছে রাজাকারের ফাসি , জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে বাঙালি, পুলিশের আঘাতের মুখে অগ্নিকন্যা শাম্মি আপুর কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় যে বাংলাদেশ কে আমরা কতোটা ভালবাসি আর পাকিস্তানকে কতটা ঘৃণা করি। রাজাকারের ফাসি হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে , নিঃসন্দেহে বাঙ্গালির অনেক বড় একটি বিজয় এটি। প্রজন্মের এই বিজয়ে পাকিস্তানিদের নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করার কারণে পুলিশ আঘাত করছে প্রজন্মযোদ্ধাদের , হাত তুলছে বীরাঙ্গনা মা , মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে।
এরপরেও থেমে নেই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। এই যোদ্ধারা আহত হয়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ও হাসপাতালের গেটে ডেকে ফেলেন প্রেস কনফারেন্স , ঘোষণা দেন পরবর্তী কর্মসূচীর। এই যোদ্ধারা ভেঙ্গে পরা সহযোদ্ধাকে সান্তনা দেন 'দিস ইজ পার্ট অফ রেভ্যুলুশন' বলে। আজকে শাহবাগে জাফর ইকবাল স্যার বললেন- "পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল , ভদ্র , শান্ত এবং দেশপ্রেমিক ছেলেমেয়রা হল এই গনজাগরন মঞ্চের।" এই কমপ্লিমেন্ট আমি মনে করি শাহবাগের প্রত্যেকটা যোদ্ধার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া, শেকলবন্দী হয়েও স্যারের এই কথা শুনে মনে হচ্ছে যত বাধাই আসুক , পার করার শক্তি আমাদের আছে। তাই শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমাবে না। একজন ইমরান ভাই , বাধন ভাইকে আহত করতে পারবে পুলিশ - হাজার হাজার ইমরান , বাধন দের কিভাবে আহত করবে ? একজন শাম্মি আপুকে গ্রেফতার করতে পারবে , হাজার হাজার লাকি , শাম্মিকে কিভাবে গ্রেফতার করবে ?
শাহবাগ জেগে আছে, জেগে থাকবে প্রাণের মোহনা প্রজন্ম চত্বর থেকে সারাদেশে। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন দল -মত -পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে শাহবাগে আসে বাঙ্গালিরা। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন এই যোদ্ধারা পুলিশের গ্রেফতারের প্রতিবাদ , লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করে দুর্জয় স্লোগান দিয়ে। শাহবাগ জেগে থাকবে কারন এখানে কেউ নিজের স্বার্থের জন্য বা দলীয় স্বার্থের জন্য আসে না - আসে বাংলাদেশের জন্য। গনজাগরন মঞ্চ জেগে থাকবে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। এই গণজাগরণ মঞ্চই তো আমাকে পারিবারিক গণ্ডির বাইরে গিয়ে মিছিল করতে শিখিয়েছে , রাজাকারের ফাসির দাবিতে রাতভোর অবস্থান করতে শিখিয়েছে। জাফর ইকবাল স্যার আজকে আরও বলছিলেন - "তোমাদের প্রজন্ম আমাকে আরেকটা উপহার দিয়েছে - কি জানো ? আমাকে জয় বাংলা স্লোগান টা নতুন করে উপহার দিয়েছে।" স্যার , এই জয় বাংলা যে আমাদের মূলমন্ত্র , আমাদের ভালবাসা , একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত অক্ষয় চেতনা। আমি গণজাগরণ মঞ্চকে ভালবাসি , প্রজন্ম চত্বরকে ভালোবাসি জীবনের যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি।
'হাত দিয়ে বল সূর্যের আলোকে রুধিতে পারে কেউ
আমাদের মেরে ঠেকানো যাবে না গনজোয়ারের ঢেউ'
জয় বাংলা ... জয় গণজাগরণ মঞ্চ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন