মহাকালের কাঁটা ঘুরে চলে তার নিজস্ব গতিতে , দিনের পর দিন -মাসের পর মাস -বছরের পর বছর - শতাব্দীর পর শতাব্দী হয়ে। এই গতিশীল জীবন প্রবাহের মাঝেই লেখা হয় অনেক ইতিহাস , সময়ের ডায়রিতে কিছু বিশেষ দিন অক্ষয় হয়ে থাকে চিরকাল। একটি জাতির পথচলায় নানারকম ঘটনার মাঝে অক্ষয় হয়ে থাকার মত কিছু ইতিহাস থাকে , যা ঠাই পায় কালের সংরক্ষণাগারে। হয়ত বা অনেক বছর, অনেক শতাব্দী পরে এই ঘুমিয়ে থাকা ইতিহাস কথা বলে উঠবে আবার , জাত...িকে জানিয়ে দেবে তার নিজস্ব আত্মপরিচয়ের কথা। বায়ান্ন যেভাবে জাগ্রত হয়েছিল উনসত্তরে , উনসত্তর যেভাবে জাগ্রত হয়েছিল একাত্তরে এসে, একাত্তরের ইতিহাস যেভাবে জাগ্রত হয়েছিল ২০১৩ তে এসে ...
ফেব্রুয়ারি মাস আরও অনেক আসবে , কিন্তু ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারি আর কখনও আসবে না। সেই উত্তাল মিছিল , রাত -দিন শাহবাগে অবস্থান, লক্ষ কণ্ঠে এক ই দাবি -"রাজাকারের ফাসি চাই" , এই আগুনঝরা দিনগুলোকে হয়ত প্রত্যেক ফেব্রুয়ারিতেই আমরা স্মরণ করব - কিন্তু দিনগুলোকে আর ফিরে পাব না। ডিসেম্বর বার বার আসবে , কিন্তু ২০১৩ সালের ১২ ই ডিসেম্বর বারবার আসবে না। প্রথম কোন রাজাকারের ফাসি হয়েছে , এবং সেই ফাসি আদায় করতে দশ মাস ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে প্রজন্ম চত্বরে - এই গৌরব বারবার আসবে না। দুই শুন্য এক তিন - সালটা আসলেই একটা ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ের ইতিহাস...
আর কয়েকটা দিন , কয়েকটা ঘণ্টা - এরপরেই তো অতীত হয়ে যাবে এই বছরটি। আজকে শুধু ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগের উত্তাল দিনগুলোর কথা মনে পরছে , মনে পরছে মাত্র কয়েকদিন আগে রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাসির আনন্দের কথা , মনে পরছে পাকিস্তানি হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত সহযোদ্ধাদের কথা। প্রজন্ম চত্বর জেগে আছে , জেগে থাকবে চিরকাল - স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সময়ের পরিক্রমায় একদিন অতীত হয়ে যাবে , ইতিহাসের পাতায় বিপ্লবের বহ্নিশিখা হয়ে বায়ান্ন , উনসত্তর , একাত্তরের পরে হয়ত লেখা হবে ২০১৩ এর নাম । কিন্তু তারুন্য কখনও অতীত হবে না। তারুন্যের জয় হবেই।
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ছিল বিগ ব্যাং , মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মহাবিস্ফোরণ। মা জাহানারা ইমামের স্বপ্ন পূরণের পথযাত্রার সূচনা। সে মহান অঙ্গীকার অনেকটাই এর মধ্যে পূরণ করতে পেরেছি আমরা - রাজাকারের ফাসি হয়েছে , পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রতিশোধ আমরা নিয়েছি । ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের প্রতিশোধ , দুই লাখ মায়ের অশ্রুর প্রতিশোধ। পথচলা এখনও বাকি আছে আমাদের -স্বপ্নের সিঁড়ি নির্মাণ হয়ে গেছে , সে স্বপ্নের সিঁড়িকে বাচিয়ে রাখতেই সংগ্রাম চলবে। শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমায় না - কখনও ঘুমাবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জ্বালিয়ে দেয়া "স্বাধীনতা" নামক মশালটি বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্যেই যে শাহবাগের জন্ম...
যে শিশুটি বাবার কোলে চড়ে শাহবাগে এসে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল , যে মেয়েটি কলেজ ফাঁকি দিয়ে প্রজন্ম চত্বরে ছুটে এসেছিল -তারা কিন্তু স্লোগান ভোলে নি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে , টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় , বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে চেতনার যে মশাল শাহবাগ পৌঁছে দিয়েছে তা কিন্তু নিভে যায়নি , কখনও নিভে যাবেও না। আর শাহবাগের মূল সার্থকতা এখানেই। বিয়াল্লিশ বছর ধরে চাপা পরে থাকা জয় বাংলা স্লোগানকে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠে তুলে দেয়া , পঁচাত্তরের পর থেকে নিভু নিভু করে জ্বলতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মশালকে দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেয়াতেই শাহবাগের আসল বিজয়। প্রজন্ম চত্বর তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত একটি প্রজন্ম , শত বাধা উপেক্ষা করেও যারা মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত চিৎকার করে যাবে জয় বাংলা বলে।
এই পাগল ছেলেমেয়েরাই বাঁচিয়ে রাখবে মা জাহানারা ইমামের স্বপ্নকে , জাগিয়ে রাখবে ভালোবাসার বাংলাদেশকে। ইতিহাস হয়ে থাকবে ২০১৩ এর শাহবাগ আন্দোলন , ইতিহাস হয়ে থাকবে প্রজন্ম চত্বর - আর সে প্রজন্ম চত্বরের মশাল ধরে এগিয়ে যাবে বাংলা মায়ের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে নিয়ে , লাল -সবুজ পতাকা গায়ে জড়িয়ে। শাহবাগ জেগে থাকবে প্রতিটা নতুন ভোরের নতুন সূর্যের মাঝে। শাহবাগ জেগে থাকবে কিশোরীর কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগানের মাঝে। শাহবাগ জেগে থাকবে লক্ষ কণ্ঠে প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত - "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি"এর মাঝে। নতুন বছর আসছে , আসুক। কিন্তু এবার আর বলব না পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কারণ , ২০১৩ সারাজীবন থাকবে অক্ষয় ইতিহাস হয়ে , রাজাকারের ফাসির ইতিহাসের ধারক হয়ে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল সবাইকে। জয় বাংলা...জয় তা
ফেব্রুয়ারি মাস আরও অনেক আসবে , কিন্তু ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারি আর কখনও আসবে না। সেই উত্তাল মিছিল , রাত -দিন শাহবাগে অবস্থান, লক্ষ কণ্ঠে এক ই দাবি -"রাজাকারের ফাসি চাই" , এই আগুনঝরা দিনগুলোকে হয়ত প্রত্যেক ফেব্রুয়ারিতেই আমরা স্মরণ করব - কিন্তু দিনগুলোকে আর ফিরে পাব না। ডিসেম্বর বার বার আসবে , কিন্তু ২০১৩ সালের ১২ ই ডিসেম্বর বারবার আসবে না। প্রথম কোন রাজাকারের ফাসি হয়েছে , এবং সেই ফাসি আদায় করতে দশ মাস ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে প্রজন্ম চত্বরে - এই গৌরব বারবার আসবে না। দুই শুন্য এক তিন - সালটা আসলেই একটা ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ের ইতিহাস...
আর কয়েকটা দিন , কয়েকটা ঘণ্টা - এরপরেই তো অতীত হয়ে যাবে এই বছরটি। আজকে শুধু ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগের উত্তাল দিনগুলোর কথা মনে পরছে , মনে পরছে মাত্র কয়েকদিন আগে রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাসির আনন্দের কথা , মনে পরছে পাকিস্তানি হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত সহযোদ্ধাদের কথা। প্রজন্ম চত্বর জেগে আছে , জেগে থাকবে চিরকাল - স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সময়ের পরিক্রমায় একদিন অতীত হয়ে যাবে , ইতিহাসের পাতায় বিপ্লবের বহ্নিশিখা হয়ে বায়ান্ন , উনসত্তর , একাত্তরের পরে হয়ত লেখা হবে ২০১৩ এর নাম । কিন্তু তারুন্য কখনও অতীত হবে না। তারুন্যের জয় হবেই।
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ছিল বিগ ব্যাং , মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মহাবিস্ফোরণ। মা জাহানারা ইমামের স্বপ্ন পূরণের পথযাত্রার সূচনা। সে মহান অঙ্গীকার অনেকটাই এর মধ্যে পূরণ করতে পেরেছি আমরা - রাজাকারের ফাসি হয়েছে , পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রতিশোধ আমরা নিয়েছি । ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের প্রতিশোধ , দুই লাখ মায়ের অশ্রুর প্রতিশোধ। পথচলা এখনও বাকি আছে আমাদের -স্বপ্নের সিঁড়ি নির্মাণ হয়ে গেছে , সে স্বপ্নের সিঁড়িকে বাচিয়ে রাখতেই সংগ্রাম চলবে। শাহবাগ জেগে আছে , শাহবাগ ঘুমায় না - কখনও ঘুমাবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জ্বালিয়ে দেয়া "স্বাধীনতা" নামক মশালটি বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্যেই যে শাহবাগের জন্ম...
যে শিশুটি বাবার কোলে চড়ে শাহবাগে এসে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল , যে মেয়েটি কলেজ ফাঁকি দিয়ে প্রজন্ম চত্বরে ছুটে এসেছিল -তারা কিন্তু স্লোগান ভোলে নি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে , টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় , বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে চেতনার যে মশাল শাহবাগ পৌঁছে দিয়েছে তা কিন্তু নিভে যায়নি , কখনও নিভে যাবেও না। আর শাহবাগের মূল সার্থকতা এখানেই। বিয়াল্লিশ বছর ধরে চাপা পরে থাকা জয় বাংলা স্লোগানকে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠে তুলে দেয়া , পঁচাত্তরের পর থেকে নিভু নিভু করে জ্বলতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মশালকে দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেয়াতেই শাহবাগের আসল বিজয়। প্রজন্ম চত্বর তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত একটি প্রজন্ম , শত বাধা উপেক্ষা করেও যারা মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত চিৎকার করে যাবে জয় বাংলা বলে।
এই পাগল ছেলেমেয়েরাই বাঁচিয়ে রাখবে মা জাহানারা ইমামের স্বপ্নকে , জাগিয়ে রাখবে ভালোবাসার বাংলাদেশকে। ইতিহাস হয়ে থাকবে ২০১৩ এর শাহবাগ আন্দোলন , ইতিহাস হয়ে থাকবে প্রজন্ম চত্বর - আর সে প্রজন্ম চত্বরের মশাল ধরে এগিয়ে যাবে বাংলা মায়ের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে নিয়ে , লাল -সবুজ পতাকা গায়ে জড়িয়ে। শাহবাগ জেগে থাকবে প্রতিটা নতুন ভোরের নতুন সূর্যের মাঝে। শাহবাগ জেগে থাকবে কিশোরীর কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগানের মাঝে। শাহবাগ জেগে থাকবে লক্ষ কণ্ঠে প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত - "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি"এর মাঝে। নতুন বছর আসছে , আসুক। কিন্তু এবার আর বলব না পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কারণ , ২০১৩ সারাজীবন থাকবে অক্ষয় ইতিহাস হয়ে , রাজাকারের ফাসির ইতিহাসের ধারক হয়ে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল সবাইকে। জয় বাংলা...জয় তা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন