চেতনায় একাত্তর ... হৃদয়ে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ...। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে । আজকে মনে পরছে প্রজন্ম চত্বরের সেই আগুনঝরা দিনগুলোকে ... চারপাশে যেদিকে চোখ যায় শুধুই জনসমুদ্র ... সে জনসমুদ্রের মাঝে আমি চিনি না কাউকেই , কিন্তু সবাইকে মনে হচ্ছিল জন্ম -জন্মান্তরের আপন ... স্লোগান , মিছিল , শপথ , অশ্রুভেজা জাতীয় সঙ্গীত , বীর শ...হীদদের উদ্দেশ্যে চিঠি লেখা , লক্ষ লক্ষ মোমবাতির আলোয় আলোকিত শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ... স্মৃতির পাতাতে অক্ষয় হয়ে থাকবে আজীবন ...। সেই প্রজন্ম চত্বর , জেগে ওঠার গণজাগরণ মঞ্চ ...।
Eshita মনে আছে সিস্টার আমাদের করা প্রথম ব্যানার টা যেদিন নিয়ে গিয়ে আটকে রাখলেন আর অভিভাবক ডাকলেন , সেদিনই আমরা দুইজন গিয়ে আবার কাপড় কিনলাম - আবার ব্যানার বানালাম মাত্র একদিনের মধ্যেই প্রজন্ম চত্বরে যাওয়ার জন্য ? মনে পড়ে আমাদের বানানো সায়েন্স ভিত্তিক স্লোগানগুলোর কথা ? সমাকলন , ব্যবকলন , আইনস্টাইনের সূত্র সব কিছুর রাজাকারের ফাসি সংস্করন বানানোর কথা ? আমার উপর তখন কি এসে ভর করেছিল জানতাম না , শুধু জানতাম যত বাধাই আসুক আমাকে প্রজন্ম চত্বরে যেতেই হবে । জানিস সেই ব্যানার টা এখনও আছে আমার কাছে । তোর স্মৃতি , আমার শাহবাগের স্মৃতি ...।
প্রত্যেক বছরই অনেক ধুমধাম করে না হলেও পারিবারিকভাবে মোটামুটি আনন্দের মধ্যেই আমার জন্মদিন উদযাপন করা হয় । একটা কেক , কিছু মোমবাতি ... দ্যাটস ইট। কিন্তু এ বছর ২৫ অক্টোবরে আমিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জন্মদিন বন্ধ থাক আপাতত ... কাদের কসাই এর ফাসি কার্যকর যেদিন হবে জন্মদিন পালন করব সেইদিন। আর কেকে 'শুভ জন্মদিন জান্নাত' এর বদলে লেখা থাকবে 'শুভ জন্মদিন রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ'। আমি সতের বছর বয়সের একটা মেয়ে , হয়ত পরিবারের বাধা অতিক্রম করতে পারি না অনেকবার , অনেক ক্ষেত্রেই ... কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আমার অন্তরে জেগে থাকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ... প্রতি মুহূর্তে জেগে থাকে রাজাকারের ফাসির দাবি ... কসাই কাদেরের ফাসির স্বপ্ন ...।
আমি যেখানেই যাই আমার সাথে ব্যাগে সবসময় থাকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। আমার সোনার বাংলা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। মৃত্যুর সময় যেন এই পতাকা সাথে নিয়ে মরতে পারি...। এই পতাকা আমাকে শক্তি যোগায় , লক্ষ্যে অটুট থাকার শক্তি । রক্তের দামে কেনা এ পতাকার মর্যাদা রক্ষা করার জন্যই বাঙালি চিরদিন জেগে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ... প্রজন্ম চত্বরের রক্তচক্ষু আগলে রাখবে আগামীর বাংলাদেশ । জয় বাংলা ... জয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ...।
Eshita মনে আছে সিস্টার আমাদের করা প্রথম ব্যানার টা যেদিন নিয়ে গিয়ে আটকে রাখলেন আর অভিভাবক ডাকলেন , সেদিনই আমরা দুইজন গিয়ে আবার কাপড় কিনলাম - আবার ব্যানার বানালাম মাত্র একদিনের মধ্যেই প্রজন্ম চত্বরে যাওয়ার জন্য ? মনে পড়ে আমাদের বানানো সায়েন্স ভিত্তিক স্লোগানগুলোর কথা ? সমাকলন , ব্যবকলন , আইনস্টাইনের সূত্র সব কিছুর রাজাকারের ফাসি সংস্করন বানানোর কথা ? আমার উপর তখন কি এসে ভর করেছিল জানতাম না , শুধু জানতাম যত বাধাই আসুক আমাকে প্রজন্ম চত্বরে যেতেই হবে । জানিস সেই ব্যানার টা এখনও আছে আমার কাছে । তোর স্মৃতি , আমার শাহবাগের স্মৃতি ...।
প্রত্যেক বছরই অনেক ধুমধাম করে না হলেও পারিবারিকভাবে মোটামুটি আনন্দের মধ্যেই আমার জন্মদিন উদযাপন করা হয় । একটা কেক , কিছু মোমবাতি ... দ্যাটস ইট। কিন্তু এ বছর ২৫ অক্টোবরে আমিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জন্মদিন বন্ধ থাক আপাতত ... কাদের কসাই এর ফাসি কার্যকর যেদিন হবে জন্মদিন পালন করব সেইদিন। আর কেকে 'শুভ জন্মদিন জান্নাত' এর বদলে লেখা থাকবে 'শুভ জন্মদিন রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ'। আমি সতের বছর বয়সের একটা মেয়ে , হয়ত পরিবারের বাধা অতিক্রম করতে পারি না অনেকবার , অনেক ক্ষেত্রেই ... কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আমার অন্তরে জেগে থাকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ... প্রতি মুহূর্তে জেগে থাকে রাজাকারের ফাসির দাবি ... কসাই কাদেরের ফাসির স্বপ্ন ...।
আমি যেখানেই যাই আমার সাথে ব্যাগে সবসময় থাকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। আমার সোনার বাংলা আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। মৃত্যুর সময় যেন এই পতাকা সাথে নিয়ে মরতে পারি...। এই পতাকা আমাকে শক্তি যোগায় , লক্ষ্যে অটুট থাকার শক্তি । রক্তের দামে কেনা এ পতাকার মর্যাদা রক্ষা করার জন্যই বাঙালি চিরদিন জেগে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ... প্রজন্ম চত্বরের রক্তচক্ষু আগলে রাখবে আগামীর বাংলাদেশ । জয় বাংলা ... জয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন