রজনীগন্ধার সৌরভে আর রাতের আকাশে হাজার তারার মেলায় আমি স্নিগ্ধতার প্রতিমূর্তি দেখতে পেয়েছিলাম। মাধবীলতা ফুলের চারপাশে অবিরাম উড়ে বেড়াতে দেখেছি কালো ভ্রমরের দলকে। প্রকৃতির এ যে এক অমোঘ নিয়ম, যোগ্যতমের জয় হোক। সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট। পৃথিবী নিজেই তো এক অক্লান্ত অবিরাম সংগ্রামের ভূমি। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে ধূলি মাটির এ পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে কত লড়াই চিত্রিত হয়েছে, কেই বা লিখে রেখেছে সে সব না বলা কথা। অস্ফুট কিছু গোলাপের পাপড়ি হয়ত চিরকাল ধরে গেয়ে গেছে আদি অকৃত্রিম মানবপ্রেমের গান। আবদ্ধ শহরে মায়ের জন্মদিনে বনি প্রিন্সের আধ ফোঁটা কলি উপহার দিয়ে শহীদ রুমী বোঝাতে চেয়েছিলেন, এরকমই অনেক রক্ত ঝরিয়ে অবশেষে স্বাধীনতার রাজপুত্র আসবে।
আত্মমগ্ন কবি, তুমি নার্সিয়াস হতে যেও না। চারপাশে চেয়ে দেখ, আদি অকৃত্রিম প্রাণের প্রবাহ তোমাকে ঘিরে। প্রতিটা প্রাণের সাথে কত স্বপ্ন, কত আঘাত, কত হাসি কান্নার ইতিহাস মিশে আছে জানি না মহাকাল তার পাতায় লিখে রাখে কিনা সেসব অজানা স্মৃতি। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসের মাঝে ইট কাঠ পাথরের শহরে বসেও আমি কল্পনা করেছিলাম নক্ষত্রখচিত রাতে জ্যোৎস্নাস্নান করার দৃশ্য। তারাদেরকেও কি জীবন সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়! হয়ত বা, কারণ ওরাও তো প্রকৃতির বাইরে নয়। ধুমকেতু আর দূরের নক্ষত্রের ছবি এঁকেছি নিজের মনে। উচ্চ মাত্রার দর্শন ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দিয়ে নক্ষত্র দেখার চেয়ে এভাবে দেখা অনেক বেশি আনন্দের। জীবনটা আরেকটু সহজ হলে কি ক্ষতি হত জানা নেই। তবু তো জীবন এগিয়ে যায়...
প্রকৃতি জুড়ে রঙের মাতামাতি আর ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে ছড়ানো সৌন্দর্য আর ভালোবাসার ছোঁয়া আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। গৌরবময় ইতিহাসের পাতা আমাকে চলার পথের শক্তি দিয়েছে। চিরকালের অকৃত্রিম এক আত্মীয়তার বাঁধনে আবদ্ধ আমরা। তাই ইথারের মাঝে ভেসে আসে হাজার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কোন অজানা কণ্ঠ। কিরকম অনুভূতি মিশে থাকে সেই কণ্ঠে! ভালোবাসা, আবেগ নাকি অনুভূতিহীন এক পাথরের মূর্তির কথা! জানি না। সবকিছু জানতেও হয়না। ইতিহাস গড়ে, ইতিহাস ভাঙে। কিছু ইতিহাস কালের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকে এই ভাঙ্গাগড়ার মাঝে। আর সে বড় বড় ইতিহাসের প্রতি পাতায় মিশে থাকে অজস্র শহীদের রক্ত, অনেক আত্মত্যাগ, অনেক অশ্রু। কালের বিবর্তনে ত্যাগটার চেয়ে হয়ত অর্জনটাই বড় হয়ে যায়। কিন্তু, অর্জনের পাতায় পাতায় যে ত্যাগের স্মৃতিচিহ্ন! সে চিহ্ন মোছার সাধ্য নেই কারো।
এই সবুজ মেঠোপথ, এই নদীনালা- সাগর- মহাসাগর কিংবা কর্পোরেট শহর সবকিছু কতকাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে আপন মহিমায়। হাজারো আশা নিরাশা হাসি কান্নার ধারক হয়ে। কত বেদনা মাখা সেসব স্মৃতি, কত কিশোরীর শেষ কানামাছি খেলার ছবিটি যেন এ বাংলার প্রকৃতির মাঝে অক্ষয় হয়ে আছে। দুর্যোগ, দুর্ভোগের মাঝে নতুন করে স্বপ্ন বোনা কত জীবনজয়ী যোদ্ধার বাস এই বাংলাদেশেই। মাঠের আল ধরে শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদে কত কাল ধরে কত জীবনের আসা যাওয়া।নদীর বুকে পদ্মা নদীর মাঝিদের কত কাল ধরে অবিরাম জীবনপ্রবাহ। ধবংসস্তুপের মাঝেও জীবনের প্রদীপ জ্বেলে কতবার কত নতুন করে শুরু করার স্মৃতি। কত দুরন্তপনার স্মৃতি, কত লুপ্ত হয়ে যাওয়া মায়ের হাসি ওতে অদৃশ্য রেখায় আঁকা। আকাশের শেষ সীমানার ঐ তারাটি তার খবর রাখে হয়ত!!
স্মৃতিগুলোকে ধারণ করে কালের প্রবাহ বয়ে চলে পদ্মা হয়ে, যমুনা হয়ে, সাগর হয়ে সুদূর মহাসাগরের পথে...
আত্মমগ্ন কবি, তুমি নার্সিয়াস হতে যেও না। চারপাশে চেয়ে দেখ, আদি অকৃত্রিম প্রাণের প্রবাহ তোমাকে ঘিরে। প্রতিটা প্রাণের সাথে কত স্বপ্ন, কত আঘাত, কত হাসি কান্নার ইতিহাস মিশে আছে জানি না মহাকাল তার পাতায় লিখে রাখে কিনা সেসব অজানা স্মৃতি। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসের মাঝে ইট কাঠ পাথরের শহরে বসেও আমি কল্পনা করেছিলাম নক্ষত্রখচিত রাতে জ্যোৎস্নাস্নান করার দৃশ্য। তারাদেরকেও কি জীবন সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়! হয়ত বা, কারণ ওরাও তো প্রকৃতির বাইরে নয়। ধুমকেতু আর দূরের নক্ষত্রের ছবি এঁকেছি নিজের মনে। উচ্চ মাত্রার দর্শন ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ দিয়ে নক্ষত্র দেখার চেয়ে এভাবে দেখা অনেক বেশি আনন্দের। জীবনটা আরেকটু সহজ হলে কি ক্ষতি হত জানা নেই। তবু তো জীবন এগিয়ে যায়...
প্রকৃতি জুড়ে রঙের মাতামাতি আর ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে ছড়ানো সৌন্দর্য আর ভালোবাসার ছোঁয়া আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। গৌরবময় ইতিহাসের পাতা আমাকে চলার পথের শক্তি দিয়েছে। চিরকালের অকৃত্রিম এক আত্মীয়তার বাঁধনে আবদ্ধ আমরা। তাই ইথারের মাঝে ভেসে আসে হাজার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কোন অজানা কণ্ঠ। কিরকম অনুভূতি মিশে থাকে সেই কণ্ঠে! ভালোবাসা, আবেগ নাকি অনুভূতিহীন এক পাথরের মূর্তির কথা! জানি না। সবকিছু জানতেও হয়না। ইতিহাস গড়ে, ইতিহাস ভাঙে। কিছু ইতিহাস কালের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকে এই ভাঙ্গাগড়ার মাঝে। আর সে বড় বড় ইতিহাসের প্রতি পাতায় মিশে থাকে অজস্র শহীদের রক্ত, অনেক আত্মত্যাগ, অনেক অশ্রু। কালের বিবর্তনে ত্যাগটার চেয়ে হয়ত অর্জনটাই বড় হয়ে যায়। কিন্তু, অর্জনের পাতায় পাতায় যে ত্যাগের স্মৃতিচিহ্ন! সে চিহ্ন মোছার সাধ্য নেই কারো।
এই সবুজ মেঠোপথ, এই নদীনালা- সাগর- মহাসাগর কিংবা কর্পোরেট শহর সবকিছু কতকাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে আপন মহিমায়। হাজারো আশা নিরাশা হাসি কান্নার ধারক হয়ে। কত বেদনা মাখা সেসব স্মৃতি, কত কিশোরীর শেষ কানামাছি খেলার ছবিটি যেন এ বাংলার প্রকৃতির মাঝে অক্ষয় হয়ে আছে। দুর্যোগ, দুর্ভোগের মাঝে নতুন করে স্বপ্ন বোনা কত জীবনজয়ী যোদ্ধার বাস এই বাংলাদেশেই। মাঠের আল ধরে শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদে কত কাল ধরে কত জীবনের আসা যাওয়া।নদীর বুকে পদ্মা নদীর মাঝিদের কত কাল ধরে অবিরাম জীবনপ্রবাহ। ধবংসস্তুপের মাঝেও জীবনের প্রদীপ জ্বেলে কতবার কত নতুন করে শুরু করার স্মৃতি। কত দুরন্তপনার স্মৃতি, কত লুপ্ত হয়ে যাওয়া মায়ের হাসি ওতে অদৃশ্য রেখায় আঁকা। আকাশের শেষ সীমানার ঐ তারাটি তার খবর রাখে হয়ত!!
স্মৃতিগুলোকে ধারণ করে কালের প্রবাহ বয়ে চলে পদ্মা হয়ে, যমুনা হয়ে, সাগর হয়ে সুদূর মহাসাগরের পথে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন