বাংলাদেশ এমনই একটা দেশ, যেখানের অনেক সাধারণ একজন মানুষও হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ। বিশ্বের আনাচে- কানাচে ছড়িয়ে দিতে পারেন বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ বাংলাদেশের হিমালয় জয়, সম্প্রতি নিজস্ব ড্রোন আবিস্কার আরও কত কি। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিজয় ইতিহাসে হয়ত যোগ হতে চলেছে আরেকটি বিজয়। লাল গ্রহ মঙ্গলের প্রথম পদার্পণকারীদের একজন হওয়া...র পথে রয়েছেন বাংলাদেশের নারী লুলু ফেরদৌস।
জিডি পাইলট হবার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু, ২০০০ সালে বাংলাদেশে নারী হওয়ার অপরাধে পূরণ করতে পারেননি স্বপ্নটা। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি তিনি। ভিকারুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। এগারো বছর চাকরি করে অর্থ জমিয়েছেন বিদেশে যাওয়ার জন্য। অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। এরোস্পেস সায়েন্সে অর্জন করেছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি সম্মানজনক পদে চাকরি করছেন তিনি।
এমন সময় নেদারল্যান্ড ঘোষণা দিল মঙ্গল গ্রহে "ওয়ান ওয়ে" যাত্রার কথা। এ যাত্রায় যারা যাবে তাদেরকে হয় মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকতে হবে, না হয় মরে যেতে হবে। ফেরার কোন অপশন থাকবে না তাদের হাতে। সারা বিশ্ব থেকে কোটি কোটি মানুষ আবেদন করল এ দুর্লভ সুযোগ পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের মেয়ে লুলু ফেরদৌস প্রথমেই খোঁজ নিলেন নাগরিকত্ব, লিঙ্গ এসবের কোন বাধা আছে কিনা। যখন দেখলেন এটি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত, দুঃসাহসী এ অভিযানে নাম লেখালেন বাংলাদেশের এ দুঃসাহসী নারী।
প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত ১ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষের মধ্যে একজন তিনি। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে সারা বিশ্ব থেকে মাত্র চারজনকে। জানি, অনেক দূরের পথ তোমাকে যেতে হবে আর সামনে অনেক প্রতিযোগিতা এখনও বাকি। তবুও, এই সাহস আর হার না মানার শক্তির জন্য তোমাকে স্যালুট জানাই বোন। শুভকামনা রইল তোমার প্রতি। প্রতিদিন এত শত নারী নির্যাতন, ধর্ষণের বিপরীতে হয়ত একদিন বাংলাদেশের একজন নারীর হাত ধরেই পৃথিবী পদার্পণ করবে রহস্যময় গ্রহ মঙ্গলে।
জয় বাংলা...
জিডি পাইলট হবার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু, ২০০০ সালে বাংলাদেশে নারী হওয়ার অপরাধে পূরণ করতে পারেননি স্বপ্নটা। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি তিনি। ভিকারুন্নেসা স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। এগারো বছর চাকরি করে অর্থ জমিয়েছেন বিদেশে যাওয়ার জন্য। অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। এরোস্পেস সায়েন্সে অর্জন করেছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি সম্মানজনক পদে চাকরি করছেন তিনি।
এমন সময় নেদারল্যান্ড ঘোষণা দিল মঙ্গল গ্রহে "ওয়ান ওয়ে" যাত্রার কথা। এ যাত্রায় যারা যাবে তাদেরকে হয় মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকতে হবে, না হয় মরে যেতে হবে। ফেরার কোন অপশন থাকবে না তাদের হাতে। সারা বিশ্ব থেকে কোটি কোটি মানুষ আবেদন করল এ দুর্লভ সুযোগ পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের মেয়ে লুলু ফেরদৌস প্রথমেই খোঁজ নিলেন নাগরিকত্ব, লিঙ্গ এসবের কোন বাধা আছে কিনা। যখন দেখলেন এটি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত, দুঃসাহসী এ অভিযানে নাম লেখালেন বাংলাদেশের এ দুঃসাহসী নারী।
প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত ১ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষের মধ্যে একজন তিনি। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে সারা বিশ্ব থেকে মাত্র চারজনকে। জানি, অনেক দূরের পথ তোমাকে যেতে হবে আর সামনে অনেক প্রতিযোগিতা এখনও বাকি। তবুও, এই সাহস আর হার না মানার শক্তির জন্য তোমাকে স্যালুট জানাই বোন। শুভকামনা রইল তোমার প্রতি। প্রতিদিন এত শত নারী নির্যাতন, ধর্ষণের বিপরীতে হয়ত একদিন বাংলাদেশের একজন নারীর হাত ধরেই পৃথিবী পদার্পণ করবে রহস্যময় গ্রহ মঙ্গলে।
জয় বাংলা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন