প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ। অদ্ভুত এক ভালবাসায় বেঁধে রেখেছে আমাকে। শাহবাগে গেলে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। আমি আমার আমিকে খুঁজে পাই। এখানে আমি বুঝতে পারি আমার সাধ্য কত টুকু এবং কি করতে পারি। শাহবাগ, আমাকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়।সে স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য লড়ে যেতে শেখায়। স্বাধীনতা দিবসে শাহবাগে যাব না, তাও কি হয়!!! তাই রওনা হয়ে গেলাম শাহবাগের পথে। এই পথ, এই জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি সব যেন আমার কত জনমের আপন। কত... যুগ যুগান্তরের আত্মার সম্পর্ক যেন রচিত হয়ে আছে এই প্রজন্ম চত্বরের সাথে। যত বার শাহবাগের মাটিতে পা রাখি, এই কথাগুলোই ঘুরে ফিরে মনে আসতে থাকে যে আমরা পেরেছি, আমরা পারব।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের শাহবাগ ছিল লাল - সবুজে রাঙ্গা এক অক্ষয় উপমা। যখন গিয়ে পৌছালাম, অনুষ্ঠান তখনও শুরু হয়নি। মাইকে বাজছে দেশের গান। ফুল ভলিউমে "তীরহারা এ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে' বাজছিল তখন। চারপাশে ঘোরাফেরা করলাম কিছুক্ষণ। Imran ভাইয়ার সাথে কথা হওয়াটা আজকের সবচেয়ে স্মরণীয় দিক আমার। ভাইয়া নিজেও হয়ত জানেন না ঐ দুই মিনিটের কথা বলাটাই আমার কাছে কতটা আপন করে রাখার স্মৃতি। কতোটা আনন্দের স্মৃতি। Fida ভাইয়া, Jebtik ভাইয়াদের সাথেও আজকেই প্রথম কথা হল। আর এইসব আলাপ পরিচয়ের সময় মঞ্চে চলছিল রাজপথ সংলাপ। বিষয়ঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফাঃ আমরা এখন কোথায়?
রাজপথ সংলাপে প্রথমেই ইমরান ভাইয়া তুলে ধরলেন আমাদের আন্দোলন, দাবি এবং দাবি আদায়ের পথে বিভিন্ন বাধা ও সেই বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। আর প্রজন্ম চত্বরে জাফর ইকবাল স্যার থাকলে ভাললাগার যেন ষোল কলা পূর্ণ হয়। স্যারের এক একটা কথা, এক একটা লাইন আমি অবাক হয়ে শুনি। সাহস পাই স্যারের কথাগুলো থেকে। বিশেষ করে স্যার যখন বললেন, "এই গণজাগরণ মঞ্চে আমি বক্তৃতা দিতে আসিনা, বক্তৃতা শুনতে আসি। কয়েকজন তরুন আন্দোলন করে একটা দেশের আইন পরিবর্তন করে অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলান, পৃথিবীর আর কোনও দেশে এরকম হয়নি।" তখন মনে হচ্ছিল, জীবনের সবকিছু যেন পেয়ে গেছি। সত্যি, জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকে এই কথাগুলো শোনার পর এখন মরে গেলেও দুঃখ নেই।
স্যারের বক্তৃতার পরই জাতীয় পতাকা মিছিল। মিডিয়া সেল থেকে পতাকা নিয়ে ছুটলাম মিছিলে। চারদিকে শুধুই লাল সবুজ পতাকা আর মুহুর্মুহু স্লোগান। শিখা চিরন্তনে গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে আবার ফিরলাম শাহবাগে। সেখানে তখন মোড়ক উন্মোচন করা হল "শাহবাগঃ গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায়" এর ব্রেইল ভার্সনের। ইতিহাসের এই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়টিকে লেখনীর মাধ্যমে ধরে রাখার জন্য গণজাগরণ মঞ্চকে ধন্যবাদ এবং স্যালুট জানাই। মোড়ক উন্মোচন শেষে শুরু হল স্বাধীনতা কনসার্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার! পরীক্ষা সামনে থাকার কারণে বাড়ির পথে পা বাড়াতে হল স্বাধীনতা কনসার্ট না দেখেই....
এই হল আমার আজকের শাহবাগের দিনলিপি।সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই-
আমার বাংলাদেশ, আঁধার পথে চলতে দেব না।
আমার বাংলাদেশ, বিভাজনে জ্বলতে দেব না।
জয় বাংলা। জয় মুক্তিযুদ্ধ। জয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের শাহবাগ ছিল লাল - সবুজে রাঙ্গা এক অক্ষয় উপমা। যখন গিয়ে পৌছালাম, অনুষ্ঠান তখনও শুরু হয়নি। মাইকে বাজছে দেশের গান। ফুল ভলিউমে "তীরহারা এ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে' বাজছিল তখন। চারপাশে ঘোরাফেরা করলাম কিছুক্ষণ। Imran ভাইয়ার সাথে কথা হওয়াটা আজকের সবচেয়ে স্মরণীয় দিক আমার। ভাইয়া নিজেও হয়ত জানেন না ঐ দুই মিনিটের কথা বলাটাই আমার কাছে কতটা আপন করে রাখার স্মৃতি। কতোটা আনন্দের স্মৃতি। Fida ভাইয়া, Jebtik ভাইয়াদের সাথেও আজকেই প্রথম কথা হল। আর এইসব আলাপ পরিচয়ের সময় মঞ্চে চলছিল রাজপথ সংলাপ। বিষয়ঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফাঃ আমরা এখন কোথায়?
রাজপথ সংলাপে প্রথমেই ইমরান ভাইয়া তুলে ধরলেন আমাদের আন্দোলন, দাবি এবং দাবি আদায়ের পথে বিভিন্ন বাধা ও সেই বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। আর প্রজন্ম চত্বরে জাফর ইকবাল স্যার থাকলে ভাললাগার যেন ষোল কলা পূর্ণ হয়। স্যারের এক একটা কথা, এক একটা লাইন আমি অবাক হয়ে শুনি। সাহস পাই স্যারের কথাগুলো থেকে। বিশেষ করে স্যার যখন বললেন, "এই গণজাগরণ মঞ্চে আমি বক্তৃতা দিতে আসিনা, বক্তৃতা শুনতে আসি। কয়েকজন তরুন আন্দোলন করে একটা দেশের আইন পরিবর্তন করে অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলান, পৃথিবীর আর কোনও দেশে এরকম হয়নি।" তখন মনে হচ্ছিল, জীবনের সবকিছু যেন পেয়ে গেছি। সত্যি, জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকে এই কথাগুলো শোনার পর এখন মরে গেলেও দুঃখ নেই।
স্যারের বক্তৃতার পরই জাতীয় পতাকা মিছিল। মিডিয়া সেল থেকে পতাকা নিয়ে ছুটলাম মিছিলে। চারদিকে শুধুই লাল সবুজ পতাকা আর মুহুর্মুহু স্লোগান। শিখা চিরন্তনে গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে আবার ফিরলাম শাহবাগে। সেখানে তখন মোড়ক উন্মোচন করা হল "শাহবাগঃ গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায়" এর ব্রেইল ভার্সনের। ইতিহাসের এই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়টিকে লেখনীর মাধ্যমে ধরে রাখার জন্য গণজাগরণ মঞ্চকে ধন্যবাদ এবং স্যালুট জানাই। মোড়ক উন্মোচন শেষে শুরু হল স্বাধীনতা কনসার্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার! পরীক্ষা সামনে থাকার কারণে বাড়ির পথে পা বাড়াতে হল স্বাধীনতা কনসার্ট না দেখেই....
এই হল আমার আজকের শাহবাগের দিনলিপি।সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই-
আমার বাংলাদেশ, আঁধার পথে চলতে দেব না।
আমার বাংলাদেশ, বিভাজনে জ্বলতে দেব না।
জয় বাংলা। জয় মুক্তিযুদ্ধ। জয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন