প্রজন্ম চত্বর আমার প্রতিবাদের ভাষা। আমার অস্তিত্বের একটা অংশ। আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর। খুব মনে পরে গত ফেব্রুয়ারিতে অনেক কষ্ট করে এক একটা দিন মাকে শাহবাগে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি করানোর দিনগুলোকে।জন্মদিনের উপহার হিসেবে একদিন শাহবাগে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া। আরও কত কি ছোট বড় স্মৃতি যে এই শাহবাগের সাথে জড়িয়ে আছে তার হয়ত সংখ্যা নেই। যুদ্ধাপরাধীগুলোর ফাঁসি চেয়েছিলাম আমরা, জামাত শিবির... নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম আমরা। কালের পরিক্রমায় এগিয়ে যেতে থাকল আন্দোলন, এগিয়ে যেতে থাকল গণজাগরণ মঞ্চ। গত এক বছর এক মাসে শাহবাগের প্রতি মুহূর্ত আমার অন্তরে অক্ষয় হয়ে আছে। প্রতিটা অনুভূতি, উৎকণ্ঠা, অশ্রুমোছা হাসি সবকিছু আমার জীবনের সবচেয়ে পবিত্র স্মৃতি। সবচেয়ে ভালোবাসার স্মৃতি।
রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসি না হওয়ার ক্ষোভ থেকে যে গণজাগরণের জন্ম, এক বছর এক মাসে তা পার হয়েছে অনেক দূর পথ। এই সুদূরের পথচলায় গণজাগরণ মঞ্চের রঙ্গিন ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে কতশত হাসিকান্নার ছবি। আমি শাহবাগে গিয়েছি। আমার মত আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ শাহবাগে গিয়েছে। শাহবাগের প্রতিটা ধূলিকণা সাক্ষী এই নব ইতিহাসের। রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসির দিনটা কিংবা লক্ষ লক্ষ মানুষ একসাথে বিজয় দিবসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার দিনটা খুব মনে পরে আজ। আমি নিজের অশ্রু লুকাতে পারিনি, চারপাশে অসংখ্য মানুষকে দেখেছি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শেষে চোখ মুছতে। এক হাতে কোলের শিশুকে আঁকড়ে ধরে অন্য হাত তুলে শপথ নিতে দেখেছি কোন এক মাকে। সত্যি বলছি, এই দৃশ্যটা দেখে কিছুক্ষনের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
শাহবাগের পথে যেদিন নেমেছি, সেদিন থেকেই জেনেছি আঘাত আসবে। আঘাত এসেছে। প্রথমে একের পর এক আমাদের উপর আক্রমন হয়েছে জামাত শিবির দ্বারা, আর এখন হচ্ছে খোদ স্বাধীন দেশের পুলিশবাহিনী দ্বারা। খুব লজ্জা লাগে ভাবলে যে আমার ভাইদের উপর এইভাবে আক্রমন করেছে পুলিশ- ছাত্রলীগ আর আমি তাদের পাশে গিয়ে একবার দাঁড়াতেও পারিনি। সত্যি আমার বিবেক প্রতিমুহূর্তে শাস্তি দিচ্ছে আমাকে। ভাইয়ারা, আমি এমনটা করতে চাইনি। বিশ্বাস করুন আমি এমন হতে চাইনি। গতকালের আগের দিন সন্ধ্যায় যখন ছাত্রলীগের আক্রমণের খবর পেলাম তখন থেকে অঝোরে কেঁদেছি শুধু। পরীক্ষা চলছে তাই শাহবাগে আসার অনুমতিও পাইনি। পালিয়ে আসার কোন উপায়ও খুঁজে পাইনি। আমি পড়ায় একটুও মন দিতে পারছি না। ইমরান ভাই, বাঁধন ভাই, লাকি আপু, জয় ভাই দের চেহারা শুধু চোখের সামনে ভেসে আসছে আর অশ্রুজলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।
আমি ক্ষমা চাই। গতকাল শাহবাগে না আসতে পারার জন্য ক্ষমা চাই। জানি, নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারব না আমি। তারপরেও ক্ষমা চাই। গণজাগরণ মঞ্চ একটা প্রতিবাদের বহ্নিশিখার নাম। আমি জানি এর প্রতিটা ধাপে, প্রতিটা সফলতায়, প্রতিটা অর্জনে কত ত্যাগ, কত রক্ত আর কত স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। আমি গণজাগরণ মঞ্চকে ভালোবাসি। ইতিহাসকে কেউ কক্ষনো আড়াল করতে পারেনা। এই গণজাগরণ মঞ্চ যদি না থাকত, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর যদি না থাকত তবে কাদের কসাইয়ের ফাসি রাজনীতির কোন জটিল অঙ্কের মাঝে হারিয়ে যেত আর খুঁজে পাওয়া যেত না। আর শুধুই কাদের কসাইয়ের ফাসি নয়, ঘরে ঘরে যে এক একটি প্রতিবাদের অগ্নিশিখা গণজাগরণ মঞ্চ জ্বালিয়ে দিয়েছে তাকে নেভানোর সাধ্য কারো নেই। আমার নিতান্ত চুপচাপ থাকা সহপাঠীও এখন শাহবাগকে ভালোবাসে, শাহবাগের জন্য চোখের পানি ফেলে।
এইসব আত্মদান, অশ্রুজল আর অসংখ্য ত্যাগের স্মৃতি কখনই বৃথা যাবে না। ত্রিশ লাখ শহীদ আমাদের সাথে আছেন, বীরাঙ্গনা মায়েরা আমাদের সাথে আছেন, সাথে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশের ইতিহাস সাথে আছে আমাদের গণজাগরণ মঞ্চের। রাজাকারের ফাসির দাবি করার কারণে মা জাহানারা ইমামকে কিন্তু অনেকগুণ বেশি সহ্য করতে হয়েছিল আমাদের চেয়ে। আম্মা, আমাদের আশীর্বাদ কর। আমার ভাই বোনগুলা যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। প্রজন্ম চত্বর এক অক্ষয় ইতিহাসের নাম। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, বিরানব্বইয়ের মতই চিরদিন জেগে থাকবে আপন মহিমায়। ইতিহাস হয়েই জেগে থাকবে শাহবাগ, যুগে যুগে বাঙ্গালির দাবি আদায়ের সাক্ষর হয়ে। হাত দিয়ে বল সূর্যের আলো কি রুধিতে পারে কেউ ? আমাদের মেরে ঠেকানো যাবে না গণজোয়ারের ঢেউ।
জয় বাংলা, জয় গণজাগরণ মঞ্চ।
রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসি না হওয়ার ক্ষোভ থেকে যে গণজাগরণের জন্ম, এক বছর এক মাসে তা পার হয়েছে অনেক দূর পথ। এই সুদূরের পথচলায় গণজাগরণ মঞ্চের রঙ্গিন ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে কতশত হাসিকান্নার ছবি। আমি শাহবাগে গিয়েছি। আমার মত আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ শাহবাগে গিয়েছে। শাহবাগের প্রতিটা ধূলিকণা সাক্ষী এই নব ইতিহাসের। রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসির দিনটা কিংবা লক্ষ লক্ষ মানুষ একসাথে বিজয় দিবসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার দিনটা খুব মনে পরে আজ। আমি নিজের অশ্রু লুকাতে পারিনি, চারপাশে অসংখ্য মানুষকে দেখেছি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শেষে চোখ মুছতে। এক হাতে কোলের শিশুকে আঁকড়ে ধরে অন্য হাত তুলে শপথ নিতে দেখেছি কোন এক মাকে। সত্যি বলছি, এই দৃশ্যটা দেখে কিছুক্ষনের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
শাহবাগের পথে যেদিন নেমেছি, সেদিন থেকেই জেনেছি আঘাত আসবে। আঘাত এসেছে। প্রথমে একের পর এক আমাদের উপর আক্রমন হয়েছে জামাত শিবির দ্বারা, আর এখন হচ্ছে খোদ স্বাধীন দেশের পুলিশবাহিনী দ্বারা। খুব লজ্জা লাগে ভাবলে যে আমার ভাইদের উপর এইভাবে আক্রমন করেছে পুলিশ- ছাত্রলীগ আর আমি তাদের পাশে গিয়ে একবার দাঁড়াতেও পারিনি। সত্যি আমার বিবেক প্রতিমুহূর্তে শাস্তি দিচ্ছে আমাকে। ভাইয়ারা, আমি এমনটা করতে চাইনি। বিশ্বাস করুন আমি এমন হতে চাইনি। গতকালের আগের দিন সন্ধ্যায় যখন ছাত্রলীগের আক্রমণের খবর পেলাম তখন থেকে অঝোরে কেঁদেছি শুধু। পরীক্ষা চলছে তাই শাহবাগে আসার অনুমতিও পাইনি। পালিয়ে আসার কোন উপায়ও খুঁজে পাইনি। আমি পড়ায় একটুও মন দিতে পারছি না। ইমরান ভাই, বাঁধন ভাই, লাকি আপু, জয় ভাই দের চেহারা শুধু চোখের সামনে ভেসে আসছে আর অশ্রুজলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।
আমি ক্ষমা চাই। গতকাল শাহবাগে না আসতে পারার জন্য ক্ষমা চাই। জানি, নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারব না আমি। তারপরেও ক্ষমা চাই। গণজাগরণ মঞ্চ একটা প্রতিবাদের বহ্নিশিখার নাম। আমি জানি এর প্রতিটা ধাপে, প্রতিটা সফলতায়, প্রতিটা অর্জনে কত ত্যাগ, কত রক্ত আর কত স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। আমি গণজাগরণ মঞ্চকে ভালোবাসি। ইতিহাসকে কেউ কক্ষনো আড়াল করতে পারেনা। এই গণজাগরণ মঞ্চ যদি না থাকত, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর যদি না থাকত তবে কাদের কসাইয়ের ফাসি রাজনীতির কোন জটিল অঙ্কের মাঝে হারিয়ে যেত আর খুঁজে পাওয়া যেত না। আর শুধুই কাদের কসাইয়ের ফাসি নয়, ঘরে ঘরে যে এক একটি প্রতিবাদের অগ্নিশিখা গণজাগরণ মঞ্চ জ্বালিয়ে দিয়েছে তাকে নেভানোর সাধ্য কারো নেই। আমার নিতান্ত চুপচাপ থাকা সহপাঠীও এখন শাহবাগকে ভালোবাসে, শাহবাগের জন্য চোখের পানি ফেলে।
এইসব আত্মদান, অশ্রুজল আর অসংখ্য ত্যাগের স্মৃতি কখনই বৃথা যাবে না। ত্রিশ লাখ শহীদ আমাদের সাথে আছেন, বীরাঙ্গনা মায়েরা আমাদের সাথে আছেন, সাথে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশের ইতিহাস সাথে আছে আমাদের গণজাগরণ মঞ্চের। রাজাকারের ফাসির দাবি করার কারণে মা জাহানারা ইমামকে কিন্তু অনেকগুণ বেশি সহ্য করতে হয়েছিল আমাদের চেয়ে। আম্মা, আমাদের আশীর্বাদ কর। আমার ভাই বোনগুলা যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। প্রজন্ম চত্বর এক অক্ষয় ইতিহাসের নাম। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, বিরানব্বইয়ের মতই চিরদিন জেগে থাকবে আপন মহিমায়। ইতিহাস হয়েই জেগে থাকবে শাহবাগ, যুগে যুগে বাঙ্গালির দাবি আদায়ের সাক্ষর হয়ে। হাত দিয়ে বল সূর্যের আলো কি রুধিতে পারে কেউ ? আমাদের মেরে ঠেকানো যাবে না গণজোয়ারের ঢেউ।
জয় বাংলা, জয় গণজাগরণ মঞ্চ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন