একটা সময় ছিল...
অনেক ছোট ছিলাম তখন। মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতাম। ক্লাসে বসে মাকে না দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি করতাম। জেদ করতাম মাকে ক্লাসের ভেতরে বসিয়ে রাখার জন্য। একটা নাম্বারের জন্য প্রথম না হতে পারলে আর কিছু ভাল লাগত না।ছবি আঁকতাম, সেখানেও প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে বড় কথা, সে সময় প্রতিযোগিতাকে উপভোগ করতাম। অনেক ছোট ছিলাম, কিন্তু অনেক বড় বড় পাগলামি করতাম। স্কুলে একদিন না গেলে অসহ্য লাগত তখন।স্কুলের মাঠ, ...অযথা দৌড়াদৌড়ি, ক্লাস সবই অনেক ভাল লাগত তখন।
সেই ছোটবেলার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে একদিন চলে আসলাম ভিকারুন্নিসায়। বড় স্কুল, ভাল স্কুল, টিচাররাও অন্যরকম। কেমন যেন অন্য সবার থেকে দূরে সরে যেতে থাকলাম ধীরে ধীরে। ছোট ছোট ব্যাপারকে তখন উপেক্ষা করতাম। সবকিছুকে অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্যে অটল থাকার স্বভাব ছিল তখন থেকেই। একসময় স্কুল লাইফের শেষে দাঁড়িয়ে দেখলাম, ফেয়ারওয়েল এর দিনটা তে আমার পাশে একটু দাঁড়ানোর মত কেউ নেই।
ভিকারুন্নিসা, আইডিয়াল চরম প্রতিযোগিতার দুইটা নাম। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পড়ার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য হয়েছে আমার। একদিন স্কুল জীবন শেষ হল, কলেজ জীবন শুরু হল। ভাবলাম, এবার আর ছোট ছোট ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাব না। আর একবার শুরু করব সবকিছু। কিন্তু, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা বুঝতে আমার তখনও অনেকখানি বাকি ছিল। কলেজ লাইফে যে আঘাতগুলো আমি পেয়েছি পুরো জীবনের আর কিছুর সাথে তার তুলনা হবে না।
আর এই আঘাতগুলোর মধ্যে দিয়ে ভালবাসতে শিখেছি গণজাগরণ মঞ্চকে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরকে। শাহবাগের প্রতি আমার ভালবাসা অনেক কাঁটার আঘাত পেরিয়ে পাওয়া একটা গোলাপ ফুলের মত। শুধুই রাজাকারের ফাঁসির দাবির জন্য নয়, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে বিরাজমান বেঁচে থাকার একটা শক্তির নাম এখন। প্রজন্ম চত্বর আজ আমার অস্তিত্বের একটা অংশ। সুখে দুঃখে, হাসি কান্নায়, আশায় ভালবাসায় তোমার সাথে আছি গণজাগরণ মঞ্চ। একদম শেষ পর্যন্ত এভাবেই থাকতে চাই।
জামাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেয়াও হয়ে গেছে। স্বাধীনতার মাসে সবচেয়ে বড় সুখবর তো এটাই। প্রিয় বাংলাদেশ, জেনে রেখ ইতিহাসের দায়ভার শোধ করবার যে দায়িত্ব আমরা কাঁধে তুলে নিয়েছি তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ থামব না। পথে যত বাধাই, ঘাতকেরা যতই চেষ্টা করুক গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রোধ করতে পারবে না। জয় আমাদের হবেই। রাজাকার কাদের কসাইয়ের মত সব কয়টা রাজাকার একে একে ঝুলবে ফাঁসির দড়িতে- সেই স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে যাচ্ছি, যাব।
জয় বাংলা।
অনেক ছোট ছিলাম তখন। মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতাম। ক্লাসে বসে মাকে না দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি করতাম। জেদ করতাম মাকে ক্লাসের ভেতরে বসিয়ে রাখার জন্য। একটা নাম্বারের জন্য প্রথম না হতে পারলে আর কিছু ভাল লাগত না।ছবি আঁকতাম, সেখানেও প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে বড় কথা, সে সময় প্রতিযোগিতাকে উপভোগ করতাম। অনেক ছোট ছিলাম, কিন্তু অনেক বড় বড় পাগলামি করতাম। স্কুলে একদিন না গেলে অসহ্য লাগত তখন।স্কুলের মাঠ, ...অযথা দৌড়াদৌড়ি, ক্লাস সবই অনেক ভাল লাগত তখন।
সেই ছোটবেলার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে একদিন চলে আসলাম ভিকারুন্নিসায়। বড় স্কুল, ভাল স্কুল, টিচাররাও অন্যরকম। কেমন যেন অন্য সবার থেকে দূরে সরে যেতে থাকলাম ধীরে ধীরে। ছোট ছোট ব্যাপারকে তখন উপেক্ষা করতাম। সবকিছুকে অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্যে অটল থাকার স্বভাব ছিল তখন থেকেই। একসময় স্কুল লাইফের শেষে দাঁড়িয়ে দেখলাম, ফেয়ারওয়েল এর দিনটা তে আমার পাশে একটু দাঁড়ানোর মত কেউ নেই।
ভিকারুন্নিসা, আইডিয়াল চরম প্রতিযোগিতার দুইটা নাম। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পড়ার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য হয়েছে আমার। একদিন স্কুল জীবন শেষ হল, কলেজ জীবন শুরু হল। ভাবলাম, এবার আর ছোট ছোট ব্যাপারগুলো এড়িয়ে যাব না। আর একবার শুরু করব সবকিছু। কিন্তু, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা বুঝতে আমার তখনও অনেকখানি বাকি ছিল। কলেজ লাইফে যে আঘাতগুলো আমি পেয়েছি পুরো জীবনের আর কিছুর সাথে তার তুলনা হবে না।
আর এই আঘাতগুলোর মধ্যে দিয়ে ভালবাসতে শিখেছি গণজাগরণ মঞ্চকে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরকে। শাহবাগের প্রতি আমার ভালবাসা অনেক কাঁটার আঘাত পেরিয়ে পাওয়া একটা গোলাপ ফুলের মত। শুধুই রাজাকারের ফাঁসির দাবির জন্য নয়, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে বিরাজমান বেঁচে থাকার একটা শক্তির নাম এখন। প্রজন্ম চত্বর আজ আমার অস্তিত্বের একটা অংশ। সুখে দুঃখে, হাসি কান্নায়, আশায় ভালবাসায় তোমার সাথে আছি গণজাগরণ মঞ্চ। একদম শেষ পর্যন্ত এভাবেই থাকতে চাই।
জামাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেয়াও হয়ে গেছে। স্বাধীনতার মাসে সবচেয়ে বড় সুখবর তো এটাই। প্রিয় বাংলাদেশ, জেনে রেখ ইতিহাসের দায়ভার শোধ করবার যে দায়িত্ব আমরা কাঁধে তুলে নিয়েছি তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ থামব না। পথে যত বাধাই, ঘাতকেরা যতই চেষ্টা করুক গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রোধ করতে পারবে না। জয় আমাদের হবেই। রাজাকার কাদের কসাইয়ের মত সব কয়টা রাজাকার একে একে ঝুলবে ফাঁসির দড়িতে- সেই স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে যাচ্ছি, যাব।
জয় বাংলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন