বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

Let there be light....

  • প্রতিদিন ব্যস্ত নাগরিক জীবনে কত ঘটনার অবিরাম প্রবাহ আমাদের চারপাশে। কত হাসি - কান্নার খেলা , কত স্বপ্নের কত রকম ভাঙ্গাগড়া। কখনো রাজাকারের ফাঁসি হওয়ার আনন্দে ভাসি সারা দেশ, কখনও বাংলাদেশের কোন গৌরবময় অর্জন শত দুঃখের মাঝেও হাসি ফোটায় আমাদের যান্ত্রিক হৃদয়গুলোতে। আবার কখনও সাভার ট্র্যাজেডি , রামু , ফেলানি কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ে বলি অসংখ্য মানুষের চিত্র অসহায় আক্রোশে কাঁদায়। সত্যি বিচিত্র এক জাতি আমরা। নীরবতায় আমরা অভ্যস্ত , কিন্তু বাঙালি একবার যখন জেগে ওঠে তখন দাবি আদায় করেই সমাপ্তি ঘটায়। বাঙ্গালির জাগরণ মানে অনেকদিনের পুঞ্জীভূত বেদনার অশ্রুজল একসাথে সামনে চলে আসা। বাঙ্গালির জাগরন মানে অনেক অনেক দিনের লুকিয়ে রাখা ক্ষোভ , যন্ত্রণা স্লোগানে স্লোগানে মূর্ত হয়ে ওঠা। আর সেজন্যেই বাঙালির জেগে ওঠা বিষয়টা শোষকশ্রেণীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যার প্রমাণ বায়ান্ন , উনসত্তর , একাত্তর কিংবা ২০১৩। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বারবার জেগে উঠেছে বাংলা মায়ের জন্য - কখনও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় , কখনও প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য , কখনও প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে - কখনও বা পরাজিত হায়েনার দল রাজাকারের ফাসির দাবিতে। বলাবাহুল্য , কোন জাগরণই বৃথা যায়নি বাঙ্গালির - বরং এক জাগরণ পথ দেখিয়েছে আরেক জাগরণের , এক জাগরন ইতিহাস হয়ে প্রতিবাদের বহ্নিশিখা ছড়িয়ে দিয়েছে সহস্র কোটি অন্তরে। সারা বাংলার আকাশ -বাতাস জুড়ে যুগে যুগে বারবার ধ্বনিত -প্রতিধ্বনিত হয়েছে "জয় বাংলা" স্লোগান।
  • আজকে সত্যি অনেকদিন পর ভাবতে বসলাম নিজেকে নিয়ে। প্রতিদিন নানা ঘটনাপ্রবাহ আর সময়ের অমোঘ নিয়মে সেসবের সঙ্গী হওয়া , এই নিয়েই তো চলছে জীবনটা। কিভাবে কিভাবে সতেরটা বছর পার হয়ে গেল জীবন থেকে - আজকে ভাবতে বসে সত্যি অবাক হচ্ছি। আজকে এনালাইসিস করতে বসলাম নিজেকে নিয়ে। দেখি তো আমি মানুষটা কেমন ; ভাল , খারাপ যাই হই না কেন , কেমন আমি মানুষটা ? অনেক বেশি বন্ধুবৎসল - হ্যাঁ , সেটা ছিলাম একসময়। এই কিছুদিন আগেও ছিলাম। ছোটবেলার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কিংবা ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলে পড়ার সময় ছিলাম অতি মাত্রায় অনুগত ছাত্রী!!! প্রথম থেকে তৃতীয় হলে আমার কান্না বাধ মানত না। টিচার ইচ্ছা করে এক নাম্বার বেশি দিয়ে প্রথম করে দিলে সেটাও মেনে নিতাম না। সবাই বলত এই মেয়ে পাগল। একবার হয়ত আসলেই পাগলের মত কাজ করেছিলাম। অঙ্ক পরীক্ষায় ৭৮ পাওয়ার পর অনেক সময়ই শিক্ষকেরা সেটাকে ৮০ করে দেন বোর্ড এর পরীক্ষায়। স্কুল - কলেজের পরীক্ষায় সেটা দূর স্বপ্ন। কিন্তু ক্লাস সেভেনে বার্ষিক পরীক্ষায় মিস দিয়েছিলেন আমাকে এভাবে নাম্বার। কি কারণে জানি না , এর কিছুদিন পর প্রিন্সিপ্যাল মিস ডেকেছিলেন ম্যথ মিসের কাছে যারা কোচিং করে সবাইকে। জিজ্ঞেস করেছিলেন নাম্বার বেশি দেয়া হয় কিনা। আমি তখনও জানতাম , এখনও জানি যে এসব ক্ষেত্রে চুপ থাকাই মঙ্গল , কিন্তু সেইদিন যদি আমি সত্যিটা না বলতাম - নিজের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতাম যে আমিও কোচিং করার সুবিধা নিচ্ছি ? এই বিবেকের শাস্তি সহ্য করতে পারতাম না।
  • ক্লাস সেভেন - এইট পর্যন্ত কখনও কোন বন্ধু ছিল না আমার। ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়া সহ্য করতে পারতাম না ,কোন সিনেমার নায়ককে নিয়ে আশেপাশের মেয়েদের পাগলামি সহ্য করতে পারতাম না, আরও কত কিছু যে সহ্য করতে পারতাম না তা ভাবলে এখন হাসি পায়। ক্লাস এইটে পড়ি - তখন পর্যন্ত মা ছিল আমার একমাত্র বন্ধু। যত গল্প সব মায়ের সাথে ; তাই মাকে বলা যাবে না - লুকিয়ে করতে হবে এমন কোন কাজে কখনও আগানোর কথা মাথায়ই আসেনি। মা যতই আমাকে স্বাধীনতা দিতে চাইতেন , আমি যেন মাকে আরও ততই বেশি করে আকড়ে ধরতাম। এত বড় মেয়ে মা ছাড়া আর কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেনা , গল্প করতে পারেনা , হাসতে পারেনা - ব্যাপারটা এখন অদ্ভুত লাগে। কিন্তু তখন এটাই ছিল বাস্তবতা। ক্লাসমেট দের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকল আস্তে আস্তে। সবার হাসির খোরাকে পরিণত হলাম আমি। না পারি আর কিছু গুছিয়ে নিতে , না পারি প্রকাশ্যে সহপাঠীদের ব্যঙ্গ করা থামাতে। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে দিলাম জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। এরপর ঠিক করলাম , এই পরিবেশ থেকে দূরে যেতে হবে আমাকে। দূরে , অনেক দূরে। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে গিয়ে নতুন করে সাজাতে হবে আবার সব কিছুকে। সেইভাবে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে। ভর্তি হলাম , আশেপাশের মানুষদের সাথে এবার মানিয়ে নেয়ার চেষ্টায় রইলাম। কথায় কথায় প্রতিবাদ করা বাদ দিয়ে মেনে নিতে চাইলাম সবকিছু , আইডিয়াল স্কুলটাকে আপন করে নিতে চাইলাম।
  • গত আট বছরে যে আমি সবসময় কেউ কাউকে দেখাতে নিলেই মিস দের ডেকে এনেছি , সেই আমি পরীক্ষার হলে এখন হেল্প করি সবাইকে। মাইশা , মিতু , নীতি , রিম্মি - অনেক বন্ধু হয়ে গেল এখানে। সবাইকে অনেক ভালবাসতাম আমি এদের। এতদিন বন্ধুত্ব করতে পারতাম না , আর এখন বন্ধুত্ব এতটাই প্রবল হয়ে গেল যে নীতি , রিম্মিদের সাকিব আল হাসানকে নিয়ে পাগলামি আমার সহ্য হত না ; কেন জানি না !!! একদিন শেষ হয়ে গেল আইডিয়ালের দুইটা বছর। এস এস সি পরীক্ষা দিলাম , গোল্ডেন নিয়ে ভর্তি হলাম হলি ক্রস কলেজে। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে এই হলি ক্রস কলেজেই , কাজেই এই সময়টা বিশেষ গুরত্ব বহন করে আমার কাছে। এখানে এসেই প্রথমে স্পষ্ট হল একসময়ের প্রিয় বান্ধবী মাইশা , মিতুদের স্বরূপ। চোখের সামনে সত্য এত কঠোর হয়ে এর পরে অনেকবার আসলেও এর আগে আর কখনও এত কঠিনভাবে সত্যের মুখোমুখি হতে হয়নি আমাকে। এই মানুষগুলো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সিস্টারের কাছে আমাকে ছোট করবে , এই ব্যাপারটা কল্পনার অতীত ছিল আমার। এখন সেটাই হয়ে দাঁড়াল চরম বাস্তব। ফলশ্রুতি , চরম ডিপ্রেশন। আর সেই অবস্থা থেকে উঠে এসে নতুন করে জীবন কে চিনতে চেয়েছিলাম হলি ক্রস কলেজের একজন সহপাঠী , ভাষার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর। ওর সাথে আমার বন্ধুত্ব আমার পক্ষ থেকে কতটা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ছিল তা আমি ছাড়া আর কেউ কক্ষনো অনুধাবন করতে পারবেনা।
  • প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান , জাতীয় উৎসব সবকিছুতে ওকে কিছু না কিছু দেয়ার জন্য আমি উদগ্রীব থাকতাম। জুনিয়র বৃত্তিতে পাওয়া টাকা থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে গিফট কিনতাম ওর জন্য। ১২ -১২-১২ তারিখ কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১২+১২+১২ = ৩৬ টা গোলাপ উপহার দেয়া , মায়ের চোখ এড়িয়ে ওর বয়ফ্রেন্ড এর কাছে ওর মেসেজ পৌঁছে দেয়া , কোনটাই খুব বেশি সহজ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা , আমার বিবেক আমাকে প্রতিমুহূর্তে শাস্তি দিচ্ছিল - যে মা একসময় তোমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিল , যাকে ছাড়া তুমি এক পা চলতে পারতে না - সেই মাকে লুকিয়ে কাজ করতে মনে বাধে না তোমার ? এই প্রশ্ন কতবার সামনে এসে আমাকে আঘাত করে গেছে জানি না। কিন্তু তারপরেও , আমি ভাষার মুখে হাসি দেখতে চাইতাম। আমি কষ্টে থেকে যদি ও খুশি থাকে , সেটাই দেখতে চাইতাম। আমার লাইফের কোন কথা আমি লুকাতাম না ওর কাছে , কিন্তু ভাষা লুকাত। শুধু লুকাতই না , চরম মিথ্যা বলত আমার সাথে। সেই মিথ্যা ধরা পরেছিল শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর। শাহবাগের ব্যাপারে ভাষার অবস্থান যখন দিনের আলোর মত ফুটে উঠল আমার সামনে , সত্য আর মিথ্যার মাঝে কখনো বন্ধুত্ব হতে পারেনা ; এই চিরসত্য আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল সেদিনই। ভাষা যেদিন আমাকে বলেছিল , "হয় আমার সাথে বন্ধুত্ব রাখবি না হয় শাহবাগের সাথে থাকবি" - সেদিন তাই এক ফোঁটা পানি আসেনি আমার চোখে। নির্দ্বিধায় বলতে পেরেছিলাম ," তোর সাথে আমার পার্থক্য কি জানিস ? তোর হিরো খুনি মিসবাহ , আমার হিরো শাহবাগ আন্দোলনের শহীদ দীপ ভাইয়া। তোর হিরো আলবদর - রাজাকার - আল শামস , আমার হিরো শহীদ রুমী - বদি -আজাদ-আলতাফ মাহমুদ -জুয়েল..."
  • কলেজে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে আরও অনেক কথাই বলেছিলাম সেদিন। ক্লাসে বসে পুরো ব্যাপারটা চিন্তা করার সময় প্রথম নিজের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল প্রজন্ম চত্বরকে আমি কতটা ভালবাসি। এরপর আঘাত তো কম আসেনি - কলেজ থেকে সাসপেন্ড হওয়া , বাসায় বাবার শাহবাগ বিরোধিতা , জামাত -শিবিরের আক্রমন - সতের বছরের জীবনে সতেরটা ভাল বন্ধু না হলে শত্রু সংখ্যা কম হয়নি। শারীরিক , মানসিক সব আঘাত সহ্য করেই বেঁচে আছি তো , টিকে আছি তো , সাথে আছি তো এখনও প্রজন্ম চত্বরের। সত্যি , প্রজন্ম চত্বরের জয় বাংলা স্লোগানের সাথে আমি আমার ব্যাক্তিগত জীবনের সব কষ্ট ভুলতে পারি। একাত্তর দেখিনি , একাত্তরের ইতিহাস জেনেছি যুদ্ধদিনের আগুনঝরা ইতিহাসের স্মারক হয়ে জেগে থাকা বই , ডায়েরি কিংবা মা জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি' পড়ে। আর সেই ইতিহাসকে আবার জীবন্ত হয়ে উঠতে দেখেছি প্রজন্ম চত্বরের পাতায়। বন্ধু , বাবা সবাই একদিকে - আমি বিপরীতে গিয়ে প্রজন্ম চত্বরকেই আঁকড়ে ধরেছিলাম ; শাহবাগ যাওয়ার জন্য কলেজের সব শাস্তি নীরবে মেনে নিয়েছিলাম। মায়ের হাত ধরে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ছুটে গিয়েছিলাম বারবার। অবশেষে সেই আজন্ম লালিত স্বপ্নসাধ আমাদের পূরণ হয়েছে। এইত , ২০১৩ সালের ১২ ই ডিসেম্বর রাত দশটায় - প্রজন্ম চত্বরের প্রত্যেকটা যোদ্ধার জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে , পূরণ হয়েছে বাঙ্গালির বিয়াল্লিশ বছর ধরে লালিত স্বপ্ন , মা জাহানারা ইমামের স্বপ্ন। এখন মনে হয় , এই স্বপ্নের সিঁড়িটাকে গড়তে পেরেছি আমরা - জীবনে এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারেনা । কক্ষনো না।
  • প্রজন্ম চত্বর অনেক ভাল কিছু মানুষকে এনে দিয়েছে আমার জীবনে। এই মানুষগুলো আমার জীবনে সত্যি অনেক অর্থ বহন করে। যুদ্ধদিনের সহযোদ্ধার চেয়ে প্রিয় আর বিশ্বস্ত মানুষ আর কেউ হতে পারেনা। আর তাই এই মানুষগুলো আমার মায়ের পর আমার সবচেয়ে আপনজন। শাহবাগ আমাকে সুযোগ দিয়েছে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আসার - বিচ্ছু জালাল ভাইয়া , রঞ্জু আঙ্কেল , হেলাল আঙ্কেল , রাজু আঙ্কেলদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনার। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের মাঝেই বন্ধু করে পেয়েছি আবীর , রুপস , ফারিহা , রুহি , সাজিদ আরও কতজনকে , শাহবাগের মধ্যে দিয়েই পেয়েছি ইমরান ভাই , বাধন ভাই , বাপ্পাদা, অর্ণব ভাই, রাজন ভাই, রাসএল ভাই, রিয়াজ ভাই, জিসান ভাই, আকাশ ভাই, অনি ভাইদের মত ভাইয়াদেরকে , লাকি আপু , শাম্মি আপুদের মত অগ্নিকন্যা বোনদেরকে। আর পেয়েছি পুরো অনলাইন জুড়ে শত শত মানুষের ভালবাসা। শাহবাগ আমাকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের তেজে জ্বলে উঠতে শিখিয়েছে দাবি আদায়ের পথে। শাহবাগ আমাকে দাবি আদায়ের পথে রাস্তায় ঘুমাতে , প্রজন্ম চত্বরে রাতভোর অবস্থান করতে শিখিয়েছে। বন্ধু আর দেশের মধ্যে বন্ধুকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেশকে আপন করে নিতে আমায় শিখিয়েছে শাহবাগ। চিরদিনের শান্ত -নিরীহ এক আমি আজ বিদ্রোহ করতে জানি , সবকিছু মেনে নিয়ে চলতে শেখা এক আমি আজকে "রাজাকারের ফাসি চাই" বলে স্লোগান তুলতে জানি। প্রজন্ম চত্বর জেগে থাকবে একাত্তরের ধারক হয়ে - যুগে যুগে সংগ্রামী চেতনার মাঝে , পুলিশের উদ্যত অস্ত্রের মুখে তরুণীর জয় বাংলা স্লোগানের মাঝে। এই ভালবাসা -চেতনা -সংগ্রাম , এক জীবনে আর কত কিছু পাবার থাকে একজন মানুষের ?
  • তারপরেও - জীবন এগিয়ে চলছে। জীবন তো এগিয়ে চলবেই। স্বপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি , জামাত -শিবির নামক স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং দেশবিরোধী সকল চক্রান্তের হাত থেকে। স্বপ্ন দেখি একদিন আর ক্ষমতার লড়াইয়ে পুড়ে মরবে না কোন মনির -আসাদ -গাজি , কাঁটাতারে ঝুলবে না কোন ফেলানির লাশ। স্বপ্ন দেখি একদিন আর লাঞ্ছিত হবে না মানবতা ; একদিন মানুষ পাবে বাঁচার অধিকার। বন্ধ হবে সাম্প্রদায়িক হামলা। হাসি ফুটবে সব মানুষের মুখে। সেইদিন হয়ত এই জনকোলাহল ছেড়ে চলে যাব দূরে , অনেক দূরে। হয়ত কোন এক সমুদ্রসৈকতে বালুবেলায় বসে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দেব দূর দিগন্তের পথপানে। অনেক দূরে চলে যাব হয়ত , যেখানে থাকব একা , আমি একা। সম্পূর্ণ একা। ভালবাসব একাকীত্বকে - নিজের মত করে রঙ তুলিতে সাজিয়ে নেব নিশ্ছিদ্র নীরবতার একাকীত্বের শহর।
"আমার বাংলাদেশ আঁধার পথে চলতে দেব না
 আমার বাংলাদেশ বিভাজনে জ্বলতে দেব না।"
  জয় বাংলা... জয় বাংলা... জয় বাংলা...।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন