স্বপ্নচারী মায়ার চাদরে আচ্ছন্ন শহরটাতে প্রতি মুহূর্তে লেখা হচ্ছে কত সহস্র স্বপ্নের ইতিহাস। কত আশা ভালোবাসার কত ভাঙাগড়া এই ইট পাথরের শহরটাতে প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলেছে মহাকাল হয়ত বা তার সময়ের পাতায় লিখে রাখে চিরকাল নীরব হয়ে থাকা অস্পৃশ্য মানব মানবীর সেই অনুচ্চারিত উপাখ্যানগুলো। জানি না অজানা কোন এক জগতে কখনও লেখা হয়ে থাকে কিনা স্বপ্নগুলোর এই সব ভাঙ্গা গড়ার গল্প। নিজের অজান্তে অজানায় অতীত কখন সামনে এ...সে দাঁড়ায় জীবনের সাঁঝ বেলায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের। হয়ত , আমাদের পরিচিত জগত থেকে ; পরিচিত পৃথিবী থেকে অনেক দূরে কোন এক সংরক্ষানাগারে লিপিবদ্ধ হয় কালের অক্ষত ইতিহাস। ভবিষ্যৎ মানবের সামনে এগুলো যে হয়ে দাঁড়াবে প্রাচীন পুঁথি। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় অতীতের গুহামানবের; পাথরের বুকে যারা জন্ম দিয়েছিল চিত্রকলার। চরম বাস্তবতা হয়ে একদিন হয়ত তাঁরাই দাঁড়াবে বর্তমানের সামনে ...
অস্ত্রের ঝংকার ছাপিয়ে একদিন গর্জন করে উঠবে শাশ্বত মানবপ্রেমের বাণী। বন্দী বালিকা , জেনে রেখ - সময় আসবে তোমার রুদ্ধদ্বার খুলে যাওয়ার। জেনে রেখ , বুলেট আর বোমার ধ্বংসের সীমা ছাড়িয়ে একদিন তোমার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ ঝংকার তুলবে। সেদিন আবার প্রেম হবে মানুষের সাথে মানুষের। বালিকা , জেনে রেখ একদিন তুমিও মানব পরিচয় পাবে। রাত পোহাবার কত দেরি জানি না , শুধু জানি জীবনের রথ চলমান। চলমান জীবনস্রোতেই ভেসে থাকতে হবে তোমাকে , একাকীত্বকে সঙ্গী করে ; কঠিন বাস্তবতাকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে। বালিকা , চেয়ে দেখ - কুয়াশার চাদর ভাদ করে সূর্যের দুটি আলোকরশ্মি যেন তোমার কারাগারে এসে পরেছে !!! বালিকা , দুফোটা জ্যোৎস্নার জন্য না তুমি ছটফট কর; জানালার শিকগুলোর ফাঁক দিয়ে কিছু জ্যোৎস্নাও যেন আজ তোমার হাতে এসে পৌঁছেছে। দুচোখ ভরে দেখ বালিকা , তোমার সীমা যে এতোটুকুই। উন্মুক্ত প্রান্তরে চন্দ্রস্নান করার অধিকার তোমার থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে বহুকাল আগেই...
প্রযুক্তির নির্মম শ্বদন্তের ছোঁয়ায় মানব বলে জিনিষটা হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। রক্ত -মাংসের আড়ালে আজ শুধু যান্ত্রিক জীবনযাত্রা। ঘড়ি ধরে চলা , ঘড়ি ধরে ফেরা। আদিম মানবের প্রথম পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাবার , কিংবা প্রথম সঙ্গীতের সুর উদ্ভাবনের আনন্দ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে অনেককাল আগেই। কম্পিউটার , ল্যাপটপ , স্মার্টফোন , ট্যাব এর আড়ালে হারিয়ে গেছে নীরব গাছ তলায় বসে মনের মত সুর তৈরির আনন্দ। কর্পোরেট জীবনে মানুষগুলোও যেন এক একটি চাবি দেয়া যন্ত্র । বালিকা , এই যন্ত্রদের মধ্যে থেকে সুপ্ত মনুষ্যত্বটাকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব তোমার। আয়নায় চেয়ে দেখ , তোমার দুই চোখ এখনও যান্ত্রিক হয়ে যায়নি। এখনও এখানে স্বপ্ন খেলা করে ; সবুজ ঘাসের উপর এক ফোঁটা শিশিরবিন্দুর স্বপ্ন। শীতের সকালে শিশিরে পা ভিজিয়ে শিউলি ফুল কুড়িয়ে মায়ের বকুনি খাওয়ার স্বপ্ন। কালো ধোয়ায় ঢাকা আকাশটাতে এক টুকরো নীল মেঘের স্বপ্ন। বালিকা , অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভেজার স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রেখ...
মায়াবী শহরটাকে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলছে কালো মেঘ। বেদনার , বিষাদের , যান্ত্রিকতার কালো মেঘ। ছোট ছোট ভাললাগা , ভালবাসাগুলো বেঁচে থাকতে চায় এই ভয়ানক মেঘগুলোর সাথে যুদ্ধ করে। ভালবাসাগুলো খুব ছোট , এক ফোঁটা শিশিরের জন্য ভালোবাসা। কুড়িয়ে পাওয়া একগুচ্ছ শিউলি ফুলের জন্য ভালবাসা। বহমান নীল জলস্রোতের জন্য ভালবাসা। একটি দুরন্ত শৈশব আর কৈশোরের জন্য অনন্ত আশা। একজন মানুষের অতীত আর বর্তমান যদি মুখোমুখি দাঁড়ায় তাহলে কি হবে ; বর্তমানটা কি ভয় পেয়ে যাবে স্মৃতিময় অতীতটাকে দেখে ? নাকি মনের মধ্যে সাজিয়ে নেবে একটি কল্পনার জগত। যে জগত নিজের , শুধুই নিজের। যে জগতে প্রবেশাধিকার শুধুই সুন্দরের মধ্যে সীমাবদ্ধ , বন্ধুত্বের বিশ্বস্ত হাতের মধ্যে আর ছোট ছোট সুখস্বপ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সত্যি , এ জগত সাজিয়ে নেয়া যায়। প্রয়োজনে হারিয়েও যাওয়া যায় এই জগতের মাঝে। অরণ্যবাসীরা প্রস্তুত হও , নতুন পৃথিবীটাকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে তোমাদেরকেই ...
অস্ত্রের ঝংকার ছাপিয়ে একদিন গর্জন করে উঠবে শাশ্বত মানবপ্রেমের বাণী। বন্দী বালিকা , জেনে রেখ - সময় আসবে তোমার রুদ্ধদ্বার খুলে যাওয়ার। জেনে রেখ , বুলেট আর বোমার ধ্বংসের সীমা ছাড়িয়ে একদিন তোমার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ ঝংকার তুলবে। সেদিন আবার প্রেম হবে মানুষের সাথে মানুষের। বালিকা , জেনে রেখ একদিন তুমিও মানব পরিচয় পাবে। রাত পোহাবার কত দেরি জানি না , শুধু জানি জীবনের রথ চলমান। চলমান জীবনস্রোতেই ভেসে থাকতে হবে তোমাকে , একাকীত্বকে সঙ্গী করে ; কঠিন বাস্তবতাকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে। বালিকা , চেয়ে দেখ - কুয়াশার চাদর ভাদ করে সূর্যের দুটি আলোকরশ্মি যেন তোমার কারাগারে এসে পরেছে !!! বালিকা , দুফোটা জ্যোৎস্নার জন্য না তুমি ছটফট কর; জানালার শিকগুলোর ফাঁক দিয়ে কিছু জ্যোৎস্নাও যেন আজ তোমার হাতে এসে পৌঁছেছে। দুচোখ ভরে দেখ বালিকা , তোমার সীমা যে এতোটুকুই। উন্মুক্ত প্রান্তরে চন্দ্রস্নান করার অধিকার তোমার থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে বহুকাল আগেই...
প্রযুক্তির নির্মম শ্বদন্তের ছোঁয়ায় মানব বলে জিনিষটা হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। রক্ত -মাংসের আড়ালে আজ শুধু যান্ত্রিক জীবনযাত্রা। ঘড়ি ধরে চলা , ঘড়ি ধরে ফেরা। আদিম মানবের প্রথম পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাবার , কিংবা প্রথম সঙ্গীতের সুর উদ্ভাবনের আনন্দ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে অনেককাল আগেই। কম্পিউটার , ল্যাপটপ , স্মার্টফোন , ট্যাব এর আড়ালে হারিয়ে গেছে নীরব গাছ তলায় বসে মনের মত সুর তৈরির আনন্দ। কর্পোরেট জীবনে মানুষগুলোও যেন এক একটি চাবি দেয়া যন্ত্র । বালিকা , এই যন্ত্রদের মধ্যে থেকে সুপ্ত মনুষ্যত্বটাকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব তোমার। আয়নায় চেয়ে দেখ , তোমার দুই চোখ এখনও যান্ত্রিক হয়ে যায়নি। এখনও এখানে স্বপ্ন খেলা করে ; সবুজ ঘাসের উপর এক ফোঁটা শিশিরবিন্দুর স্বপ্ন। শীতের সকালে শিশিরে পা ভিজিয়ে শিউলি ফুল কুড়িয়ে মায়ের বকুনি খাওয়ার স্বপ্ন। কালো ধোয়ায় ঢাকা আকাশটাতে এক টুকরো নীল মেঘের স্বপ্ন। বালিকা , অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভেজার স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রেখ...
মায়াবী শহরটাকে ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলছে কালো মেঘ। বেদনার , বিষাদের , যান্ত্রিকতার কালো মেঘ। ছোট ছোট ভাললাগা , ভালবাসাগুলো বেঁচে থাকতে চায় এই ভয়ানক মেঘগুলোর সাথে যুদ্ধ করে। ভালবাসাগুলো খুব ছোট , এক ফোঁটা শিশিরের জন্য ভালোবাসা। কুড়িয়ে পাওয়া একগুচ্ছ শিউলি ফুলের জন্য ভালবাসা। বহমান নীল জলস্রোতের জন্য ভালবাসা। একটি দুরন্ত শৈশব আর কৈশোরের জন্য অনন্ত আশা। একজন মানুষের অতীত আর বর্তমান যদি মুখোমুখি দাঁড়ায় তাহলে কি হবে ; বর্তমানটা কি ভয় পেয়ে যাবে স্মৃতিময় অতীতটাকে দেখে ? নাকি মনের মধ্যে সাজিয়ে নেবে একটি কল্পনার জগত। যে জগত নিজের , শুধুই নিজের। যে জগতে প্রবেশাধিকার শুধুই সুন্দরের মধ্যে সীমাবদ্ধ , বন্ধুত্বের বিশ্বস্ত হাতের মধ্যে আর ছোট ছোট সুখস্বপ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সত্যি , এ জগত সাজিয়ে নেয়া যায়। প্রয়োজনে হারিয়েও যাওয়া যায় এই জগতের মাঝে। অরণ্যবাসীরা প্রস্তুত হও , নতুন পৃথিবীটাকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে তোমাদেরকেই ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন