রক্তকরবী বৃক্ষের ডালে নতুন ফুল এসেছে নববসন্তের। কৃষ্ণচূড়ার লালে প্রকৃতি আকুল ঋতুর রাণীর আগমনবার্তায়। পাখিদের কলতান চারদিকে।কুহেলিকার চাদর ভেদ করে এইতো আর কিছুদিনের মধ্যেই পাতায় পাতায় দেখা দিবে নতুন মুকুল । রক্তিম গোলাপ , সাদা বকুল আর শুভ্র বর্ণা রজনীগন্ধার মিষ্টি সুবাসে প্রকৃতি বরণ করে নেবে তার চির আরাধ্য বসন্তকে।বাঙালি হৃদয়ের রক্তপলাশ ফোটার মাস এ বসন্ত । অমর একুশের ঋতু , প্রজন্মের জাগরণের অক্ষয় স্মারক, জাগ্রত ইতিহাস এই বসন্ত । চির সবুজ বাংলার বুকে বসন্ত চিরকাল বেজেছে গণদাবী হয়ে। জানিয়ে দিয়েছে বাঙালি রক্তকমলে মালা গাঁথতে জানে। রক্তের দামে আদায় করতে জানে প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে। বসন্ত ভালবাসার , বসন্ত বিপ্লবের। বসন্ত শীতের রিক্ততাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নব অরুণোদয়ের পথে শুভযাত্রার। গণদাবী বেঁচে আছে , বেঁচে থাকবে চিরকাল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সারা বাংলাদেশ যে নতুন সূর্যের পথে যাত্রা শুরু করেছিল , প্রায় এক বছর পর দাঁড়িয়ে আজ দেখতে পারছি সেই যাত্রার প্রাপ্তি গুলো। কিশোর - কিশোরী স্কুল -কলেজ ফাঁকি দিয়ে , শাহবাগ যাওয়ার অপরাধে (!!!) কলেজ থেকে বহিস্কার হয়ে , কিংবা আরও অনেক বাধা অতিক্রম করে ছুটে গেছে প্রজন্ম চত্বরে। তরুন - তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস , পরীক্ষা বর্জন করে এসে সামিল হয়েছে নবজাগরণের জয়যাত্রায়।সত্যি , সেই আগুন ঝরা দিন গুলোর কথা আজও অক্ষয় হয়ে আছে। সারা জীবন থাকবে। প্রজন্ম চত্বরে যতক্ষণ থাকি - সব কষ্ট ভুলে যেতে পারি আমি। জানি , এই দেশ আমার মা। মায়ের বুক থেকে মায়ের খুনিদের তাড়াতে আমাদের সংগ্রাম। অগনিত মানুষ একসাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া , শপথ নেয়া - দিনগুলো কক্ষনো ভুলার মত নয়। নিজেকে খুব বেশি ভাগ্যবান মনে করি এই আন্দোলনের অংশ হতে পেরে।
সময়ের পরিক্রমায় কেটে গেছে একটি বছর। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে কাদের কসাইয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে , সুযোগ তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ; একসময় যে রাজাকাররা মন্ত্রী হয়েছিল , তারা এখন ফাসির প্রহর গুনছে। নিঃসন্দেহে প্রজন্ম চত্বরের এবং সারা বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি এসবই। তবে সবকিছুর উপরে প্রজন্ম চত্বরের সফলতা হল শিশুর অবুঝ হাতের উত্থিত তর্জনীতে জয় বাংলা স্লোগান , লাল - সবুজ পতাকা বেঁধে রাজাকারের ফাসি চাইতে শাহবাগে ছুটে আসা কিশোরী। শাহবাগের সবচেয়ে বড় সাফল্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে থাকা একটি প্রজন্মের জাগরন। তারাই এখন বহন করে নিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , মুক্তিযুদ্ধের প্রতি , দেশের প্রতি ভালবাসার বাণী। শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। উত্তরবঙ্গে , যশোরে - প্রতিটা জায়গায় হতাশের পাশে আশার বাণী হয়ে , মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে।
প্রজন্ম চত্বরের সূত্রেই অনলাইন জগতে পদার্পণ করেছিলাম। এক বছরে নিজে যেমন লেখালেখি করেছি , তেমনি অনেক কিছু জেনেছি শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়া অমি রহমান পিয়াল , নিঝুম মঝুমদার, আখতারুজ্জামান আজাদ ভাইদের কাছ থেকে। লাকি আপু , শাম্মি আপু , ইমরান ভাই , বাধন ভাই , বাপ্পাদাদের দেখে পেয়েছি পারিবারিক বাধা অতিক্রম করার মানসিক শক্তি। অর্ণব ভাই , রাজন ভাই , রাফি ভাইদের মত ভাই ,কুমু আপুর মত ভাবি, আবীর , রুপসের মত বন্ধু ; ফারিহা, অণু , অর্চি , ইকফাত আপুর মত বোন পেয়েছি এই অনলাইনেই। আর সবার উপরে রঞ্জু আঙ্কেল , হেলাল আঙ্কেল , শাফি আঙ্কেল , বিচ্ছু জালাল আঙ্কেলদের মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহচর্য। সময়ের চক্রে এক বছর পার হয়ে গেল এই অনলাইন জগতে। এইচ এস সি পরীক্ষা প্রায় কাছে চলে এসেছে। কাজেই , ল্যাপটপ এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবার সম্ভাবনা প্রবল। আর মোবাইল দিয়ে আর যাই হোক , আমার এই আইডিতে লেখালেখি করা সম্ভব না।একবার বাবার হাতে শাহবাগ নিয়ে এত লেখাসহ আইডি পরলে আর কিছু দেখা লাগবে না।
মূলত এইজন্যেই মায়াবী তেজস্বিনী হওয়ার চেষ্টা। এখন থেকে যা লেখালেখি করার এখান থেকেই করব , লেখা পড়বও এখান থেকেই। সবকিছু আর একবার নতুন করে শুরু করতে চাইছি। নতুন স্বপ্ন নিয়ে , নতুন আশা নিয়ে। গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আছি , থাকব সবসময় - যতদিন দেহে প্রাণ আছে ততদিন। সব আবার গুছিয়ে নেব আমি। বারবার যেমন নিয়েছি। নতুন করে সবকিছু শুরু করা আসলেই অনেক বেশি জরুরি আজকে। আশা করি আবার পারব আমি। একটা নতুন শুরু , আজ যে বড় প্রয়োজন ...
"বাতাসের হিমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের করতল
জনপদ জুড়ে হাওয়ার কোরাসে আহবান অবিচল
আমাদের বুকের রৌদ্র লিখেছে নিহতজনের নাম
গণহত্যার বিচার করব , প্রতিজ্ঞা করলাম।"
জয় বাংলা... জয় বাংলা... জয় বাংলা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সারা বাংলাদেশ যে নতুন সূর্যের পথে যাত্রা শুরু করেছিল , প্রায় এক বছর পর দাঁড়িয়ে আজ দেখতে পারছি সেই যাত্রার প্রাপ্তি গুলো। কিশোর - কিশোরী স্কুল -কলেজ ফাঁকি দিয়ে , শাহবাগ যাওয়ার অপরাধে (!!!) কলেজ থেকে বহিস্কার হয়ে , কিংবা আরও অনেক বাধা অতিক্রম করে ছুটে গেছে প্রজন্ম চত্বরে। তরুন - তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস , পরীক্ষা বর্জন করে এসে সামিল হয়েছে নবজাগরণের জয়যাত্রায়।সত্যি , সেই আগুন ঝরা দিন গুলোর কথা আজও অক্ষয় হয়ে আছে। সারা জীবন থাকবে। প্রজন্ম চত্বরে যতক্ষণ থাকি - সব কষ্ট ভুলে যেতে পারি আমি। জানি , এই দেশ আমার মা। মায়ের বুক থেকে মায়ের খুনিদের তাড়াতে আমাদের সংগ্রাম। অগনিত মানুষ একসাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া , শপথ নেয়া - দিনগুলো কক্ষনো ভুলার মত নয়। নিজেকে খুব বেশি ভাগ্যবান মনে করি এই আন্দোলনের অংশ হতে পেরে।
সময়ের পরিক্রমায় কেটে গেছে একটি বছর। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে কাদের কসাইয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে , সুযোগ তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ; একসময় যে রাজাকাররা মন্ত্রী হয়েছিল , তারা এখন ফাসির প্রহর গুনছে। নিঃসন্দেহে প্রজন্ম চত্বরের এবং সারা বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি এসবই। তবে সবকিছুর উপরে প্রজন্ম চত্বরের সফলতা হল শিশুর অবুঝ হাতের উত্থিত তর্জনীতে জয় বাংলা স্লোগান , লাল - সবুজ পতাকা বেঁধে রাজাকারের ফাসি চাইতে শাহবাগে ছুটে আসা কিশোরী। শাহবাগের সবচেয়ে বড় সাফল্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে থাকা একটি প্রজন্মের জাগরন। তারাই এখন বহন করে নিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , মুক্তিযুদ্ধের প্রতি , দেশের প্রতি ভালবাসার বাণী। শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। উত্তরবঙ্গে , যশোরে - প্রতিটা জায়গায় হতাশের পাশে আশার বাণী হয়ে , মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে।
প্রজন্ম চত্বরের সূত্রেই অনলাইন জগতে পদার্পণ করেছিলাম। এক বছরে নিজে যেমন লেখালেখি করেছি , তেমনি অনেক কিছু জেনেছি শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়া অমি রহমান পিয়াল , নিঝুম মঝুমদার, আখতারুজ্জামান আজাদ ভাইদের কাছ থেকে। লাকি আপু , শাম্মি আপু , ইমরান ভাই , বাধন ভাই , বাপ্পাদাদের দেখে পেয়েছি পারিবারিক বাধা অতিক্রম করার মানসিক শক্তি। অর্ণব ভাই , রাজন ভাই , রাফি ভাইদের মত ভাই ,কুমু আপুর মত ভাবি, আবীর , রুপসের মত বন্ধু ; ফারিহা, অণু , অর্চি , ইকফাত আপুর মত বোন পেয়েছি এই অনলাইনেই। আর সবার উপরে রঞ্জু আঙ্কেল , হেলাল আঙ্কেল , শাফি আঙ্কেল , বিচ্ছু জালাল আঙ্কেলদের মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহচর্য। সময়ের চক্রে এক বছর পার হয়ে গেল এই অনলাইন জগতে। এইচ এস সি পরীক্ষা প্রায় কাছে চলে এসেছে। কাজেই , ল্যাপটপ এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবার সম্ভাবনা প্রবল। আর মোবাইল দিয়ে আর যাই হোক , আমার এই আইডিতে লেখালেখি করা সম্ভব না।একবার বাবার হাতে শাহবাগ নিয়ে এত লেখাসহ আইডি পরলে আর কিছু দেখা লাগবে না।
মূলত এইজন্যেই মায়াবী তেজস্বিনী হওয়ার চেষ্টা। এখন থেকে যা লেখালেখি করার এখান থেকেই করব , লেখা পড়বও এখান থেকেই। সবকিছু আর একবার নতুন করে শুরু করতে চাইছি। নতুন স্বপ্ন নিয়ে , নতুন আশা নিয়ে। গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আছি , থাকব সবসময় - যতদিন দেহে প্রাণ আছে ততদিন। সব আবার গুছিয়ে নেব আমি। বারবার যেমন নিয়েছি। নতুন করে সবকিছু শুরু করা আসলেই অনেক বেশি জরুরি আজকে। আশা করি আবার পারব আমি। একটা নতুন শুরু , আজ যে বড় প্রয়োজন ...
"বাতাসের হিমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের করতল
জনপদ জুড়ে হাওয়ার কোরাসে আহবান অবিচল
আমাদের বুকের রৌদ্র লিখেছে নিহতজনের নাম
গণহত্যার বিচার করব , প্রতিজ্ঞা করলাম।"
জয় বাংলা... জয় বাংলা... জয় বাংলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন