দূরে , বহুদূরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে এখন মাঝেমাঝে। চারপাশের ব্যস্ত জীবনের কোলাহল যেখানে থাকবে না ; কোন আশা - আকাঙ্ক্ষার চাপ যেখানে থাকবে না। ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ান যাবে তেপান্তরের মাঠ জুড়ে। ইচ্ছে পাখির সোনালি ডানায় চেপে ছুটে যাওয়া যাবে যান্ত্রিকতা থেকে অনেক দূরে।কর্মব্যস্ততার লেশমাত্র থাকবেনা। নিজ খুশিমত সাজিয়ে নেয়া যাবে নিজের জীবন। একটা পাতার কুটির , পা ডুবিয়ে বসে থাকার জন্য একটা নীল সরোবর , আর কিছু ...বই। অনেক সুন্দর করে কাটিয়ে দেয়া যেত ছোট্ট জীবনটা। কিন্তু না , বাস্তবতা অতদূর কল্পনা করার শক্তিটাও কেড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। তারপরেও পুরাতন ছবির এলবামের পাতায় সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণের ছবি দেখে আজও দীর্ঘশ্বাস ফেলি। সতের বছরের যান্ত্রিকতার মাঝে এ যে এক টুকরো প্রকৃতির ছোঁয়া ...
সত্যি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজার ভ্রমণের স্মৃতিটুকু আজকে কেন যেন অনেক বেশি মনে পড়ছে। হয়ত বা পুরনো এলবাম হটাত করে খুঁজে পাওয়ার কারণেই। ক্লাস নাইনে পড়তাম তখন। অনেকদিন থেকেই প্ল্যান ছিল বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই কক্সবাজার যাব। সেইমত কাজ শুরু হল। এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু গোছগাছ করে , একুরিয়ামের মাছদের পাশের বাসায় একুরিয়ামে রেখে এসে , রাস্তায় পড়ার জন্য গল্পের বই কিনে সব রেডি করা শেষ। তবে সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার ছিল মোবাইল কেনা। যদিও তখন সিম ব্যবহারের পারমিশন পাইনি ; তবে তখন ফেসবুক ইউজ করতাম না। কাজেই সিম জিনিসটা তেমন বেশি দরকারিও ছিল না আমার কাছে। মোবাইল ক্যামেরা আর অনেক অনেক গান নিয়েই খুশি ছিলাম। একদিন রাতের বাসে আমি , আম্মু , ছোট ভাই আব্বু যাত্রা করলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।
একদিন একরাত পর গিয়ে পৌঁছালাম কক্সবাজারে। যাত্রাপথে কোথায় যেন থেমে খাবার খাওয়া , বাসের জানালা দিয়ে সূর্যোদয়ের ছবি তোলার চেষ্টা আর চট্টগ্রামের উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকা ; সবকিছু অনেক বেশি মনে পরছে আজকে। কক্সবাজারে পৌঁছেছিলাম ভর সন্ধ্যায়। নেমে এক দৌড়ে আমি আর ভাইয়া সমুদ্রসৈকতে। বাবা গেল হোটেল খুঁজতে , মা অবাক - এই দুইটা এত এনার্জি পায় কোথা থেকে !!! এরপর সূর্যাস্ত দেখা আর সূর্যকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে একের পর এক ছবি তোলা। সমুদ্রের ঢেউ এর মধ্যে অযথাই লাফালাফি করা ; আর পানি ছোঁড়াছুঁড়ি করা। রাত নেমে আসলো একসময়। খুব ইচ্ছা ছিল সারারাত সমুদ্রসৈকতে বসে কাটানোর। কিন্তু আমি যে মেয়ে , এত বড় ভাগ্য নিয়ে তো জন্মাইনি। তাই আসতে হল হোটেলে। বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে এরপর বুঝলাম কতটা ক্লান্ত। ঘুম ভাঙল পরদিন সকাল নয়টার দিকে। কাজেই কক্সবাজারে গিয়েও আমাদের সূর্যোদয় দেখা হল না...
পরদিন সারাদিনই প্রায় সমুদ্রসৈকতে। ঢেউ এর মধ্যে নেমে পানি ছোড়াছুড়ি করতে গিয়ে ঢেউ এর ধাক্কায় মোবাইলটা গেল পরে পানির মধ্যে। কোনরকমে তাকে উদ্ধার করা হলেও , কিছুতেই আর অন করা গেল না। কাজেই ; ছবি তুলা বন্ধ হয়ে গেল তখনকার মত। সারাদিন সৈকতে কাটিয়ে , শামুক -ঝিনুকের জিনিসপত্র কিনে রাতে আবার বাসে যাত্রা শুরু ঢাকার পথে। কোন এক অজানা কারনে যেতে যতটা সময় লেগেছিল তার চেয়ে যেন খুব কমই লাগলো ফিরে আসতে। ফিরে আসলাম চিরপরিচিত ঢাকায়। তিনদিনের একটা ভ্রমন , কিন্তু এখনও যখনি সবকিছু নিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাই , এই স্মৃতিটুকু মনে করলে ভাল লাগে। এটাই আমার একমাত্র ভ্রমণের স্মৃতি। অনেক বেশি মনে পরছিল আজকে। হয়ত নিজের মধ্যে নিজের জগত তৈরি করে নেয়ার ক্ষমতাটা বাস্তবতার আঘাতে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই অতীতের সুখস্মৃতিতে সান্ত্বনা খুঁজছি। কখনও কি আর ফিরে পাব সেই দিনগুলো ...
পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কে রে ...
হায় ও সেই চোখের দেখা , প্রাণের কথা ...
সেই কি ভোলা যায় ...।
সত্যি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজার ভ্রমণের স্মৃতিটুকু আজকে কেন যেন অনেক বেশি মনে পড়ছে। হয়ত বা পুরনো এলবাম হটাত করে খুঁজে পাওয়ার কারণেই। ক্লাস নাইনে পড়তাম তখন। অনেকদিন থেকেই প্ল্যান ছিল বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই কক্সবাজার যাব। সেইমত কাজ শুরু হল। এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু গোছগাছ করে , একুরিয়ামের মাছদের পাশের বাসায় একুরিয়ামে রেখে এসে , রাস্তায় পড়ার জন্য গল্পের বই কিনে সব রেডি করা শেষ। তবে সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার ছিল মোবাইল কেনা। যদিও তখন সিম ব্যবহারের পারমিশন পাইনি ; তবে তখন ফেসবুক ইউজ করতাম না। কাজেই সিম জিনিসটা তেমন বেশি দরকারিও ছিল না আমার কাছে। মোবাইল ক্যামেরা আর অনেক অনেক গান নিয়েই খুশি ছিলাম। একদিন রাতের বাসে আমি , আম্মু , ছোট ভাই আব্বু যাত্রা করলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।
একদিন একরাত পর গিয়ে পৌঁছালাম কক্সবাজারে। যাত্রাপথে কোথায় যেন থেমে খাবার খাওয়া , বাসের জানালা দিয়ে সূর্যোদয়ের ছবি তোলার চেষ্টা আর চট্টগ্রামের উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকা ; সবকিছু অনেক বেশি মনে পরছে আজকে। কক্সবাজারে পৌঁছেছিলাম ভর সন্ধ্যায়। নেমে এক দৌড়ে আমি আর ভাইয়া সমুদ্রসৈকতে। বাবা গেল হোটেল খুঁজতে , মা অবাক - এই দুইটা এত এনার্জি পায় কোথা থেকে !!! এরপর সূর্যাস্ত দেখা আর সূর্যকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে একের পর এক ছবি তোলা। সমুদ্রের ঢেউ এর মধ্যে অযথাই লাফালাফি করা ; আর পানি ছোঁড়াছুঁড়ি করা। রাত নেমে আসলো একসময়। খুব ইচ্ছা ছিল সারারাত সমুদ্রসৈকতে বসে কাটানোর। কিন্তু আমি যে মেয়ে , এত বড় ভাগ্য নিয়ে তো জন্মাইনি। তাই আসতে হল হোটেলে। বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে এরপর বুঝলাম কতটা ক্লান্ত। ঘুম ভাঙল পরদিন সকাল নয়টার দিকে। কাজেই কক্সবাজারে গিয়েও আমাদের সূর্যোদয় দেখা হল না...
পরদিন সারাদিনই প্রায় সমুদ্রসৈকতে। ঢেউ এর মধ্যে নেমে পানি ছোড়াছুড়ি করতে গিয়ে ঢেউ এর ধাক্কায় মোবাইলটা গেল পরে পানির মধ্যে। কোনরকমে তাকে উদ্ধার করা হলেও , কিছুতেই আর অন করা গেল না। কাজেই ; ছবি তুলা বন্ধ হয়ে গেল তখনকার মত। সারাদিন সৈকতে কাটিয়ে , শামুক -ঝিনুকের জিনিসপত্র কিনে রাতে আবার বাসে যাত্রা শুরু ঢাকার পথে। কোন এক অজানা কারনে যেতে যতটা সময় লেগেছিল তার চেয়ে যেন খুব কমই লাগলো ফিরে আসতে। ফিরে আসলাম চিরপরিচিত ঢাকায়। তিনদিনের একটা ভ্রমন , কিন্তু এখনও যখনি সবকিছু নিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাই , এই স্মৃতিটুকু মনে করলে ভাল লাগে। এটাই আমার একমাত্র ভ্রমণের স্মৃতি। অনেক বেশি মনে পরছিল আজকে। হয়ত নিজের মধ্যে নিজের জগত তৈরি করে নেয়ার ক্ষমতাটা বাস্তবতার আঘাতে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই অতীতের সুখস্মৃতিতে সান্ত্বনা খুঁজছি। কখনও কি আর ফিরে পাব সেই দিনগুলো ...
পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কে রে ...
হায় ও সেই চোখের দেখা , প্রাণের কথা ...
সেই কি ভোলা যায় ...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন