বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

নতুন আশার নাম দিয়েছি প্রজন্ম চত্বর ...

ছিন্নভিন্ন কথাগুলোকে আবার সাজিয়ে নিতে খুব ইচ্ছে করে। কাঁদতে চাই, আমি প্রাণ খুলে কাঁদতে চাই। নীরবে- নিভৃতে দুই ফোঁটা অশ্রুজল ফেলা নয়, বধ্যভূমির সারি সারি শহীদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আকাশ -বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে চাই। কাঁদতে চাই অজ্ঞাতনামা সেই বীরদের স্মরণে। দুটো গোলাপের পাপড়ি নয়, এক বুক ভালোবাসায় ভরা রক্ত দিয়ে রাঙ্গাতে চাই সবুজ মেঠোপথ। হাতে রক্তলাল গোলাপ নিয়ে নয়, রাজাকারের রক্তে পুণ্যস্নান করে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে শ্রদ্ধাবনত মস্তকে পড়ন্ত বিকালের আলোয় দাঁড়াতে চাই শহীদ মিনারের পাদদেশে। রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসির দিনের স্বর্গীয় আনন্দ আজো জাগ্রত অন্তরে। সে রকম কলঙ্কমুক্তির আনন্দে আবার ভাসতে চাই। এটা কোন প্রার্থনা নয়। এটা দাবি , এটা অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। বীরাঙ্গনা মায়ের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। রক্তের বন্যায় চারপাশের প্রান্তর ভেসে যেতে হলে যাক, জীবনের মূল্যে হলেও বাংলা মায়ের কলঙ্কমুক্তি চাই। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।জয়... বাংলা...।

কি এক অমোঘ স্লোগান তাইনা!! কি এক অবিশ্বাস্য প্রাণের টান এই প্রজন্ম চত্বরের প্রতি।  রাতের নিকশ কালো আঁধার ভেদ করে সোডিয়াম বাতিগুলো জ্বলে আছে কিছু পরপর।ব্যস্ত নাগরিক জীবনের যে এখনও সমাপ্তি হয়নি। চারপাশে অবিরাম জীবনের প্রবাহ আর সেই প্রবাহের মাঝে দাঁড়িয়েই একটু বৃত্তের বাইরে বের হবার চেষ্টা। কি আর করা, আমরা যে বাঙালি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়েও আমরা যে ঘুরে দাঁড়াই আর একবার বাঁচার জন্য, নতুন করে আর একবার স্বপ্ন দেখার জন্য। সত্যি,  আরেকবার নতুন করে স্বপ্ন দেখার আশা খুঁজে পাচ্ছি ধীরে ধীরে। স্বপ্নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রানা প্লাজার  ধ্বংসস্তূপে এখনও মিলতে থাকা মানুষের খুলি কিংবা সন্তানের মৃতদেহটা পাওয়ার আশায় অপেক্ষারতা মাতার করুণ মুখটি। তারপরেও আশায় বুক বাঁধি- বাংলাদেশের নিজস্ব  ড্রোণ বিমান আগামীকাল উড়তে যাচ্ছে আকাশে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক সচেতনতায়ও। আমার বাংলাদেশ আর কখনও পথ হারাবে না।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

পুরনো সেই দিনের কথা...

দূরে , বহুদূরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে এখন মাঝেমাঝে। চারপাশের ব্যস্ত জীবনের কোলাহল যেখানে থাকবে না ; কোন আশা - আকাঙ্ক্ষার চাপ যেখানে থাকবে না। ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ান যাবে তেপান্তরের মাঠ জুড়ে। ইচ্ছে পাখির সোনালি ডানায় চেপে ছুটে যাওয়া যাবে যান্ত্রিকতা থেকে অনেক দূরে।কর্মব্যস্ততার লেশমাত্র থাকবেনা। নিজ খুশিমত সাজিয়ে নেয়া যাবে নিজের জীবন। একটা পাতার কুটির , পা ডুবিয়ে বসে থাকার জন্য একটা নীল সরোবর , আর কিছু ...বই। অনেক সুন্দর করে কাটিয়ে দেয়া যেত ছোট্ট জীবনটা। কিন্তু না , বাস্তবতা অতদূর কল্পনা করার শক্তিটাও কেড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। তারপরেও পুরাতন ছবির এলবামের পাতায় সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণের ছবি দেখে আজও দীর্ঘশ্বাস ফেলি। সতের বছরের যান্ত্রিকতার মাঝে এ যে এক টুকরো প্রকৃতির ছোঁয়া ...

সত্যি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজার ভ্রমণের স্মৃতিটুকু আজকে কেন যেন অনেক বেশি মনে পড়ছে। হয়ত বা পুরনো এলবাম হটাত করে খুঁজে পাওয়ার কারণেই। ক্লাস নাইনে পড়তাম তখন। অনেকদিন থেকেই প্ল্যান ছিল বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই কক্সবাজার যাব। সেইমত কাজ শুরু হল। এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু গোছগাছ করে , একুরিয়ামের মাছদের পাশের বাসায় একুরিয়ামে রেখে এসে , রাস্তায় পড়ার জন্য গল্পের বই কিনে সব রেডি করা শেষ। তবে সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার ছিল মোবাইল কেনা। যদিও তখন সিম ব্যবহারের পারমিশন পাইনি ; তবে তখন ফেসবুক ইউজ করতাম না। কাজেই সিম জিনিসটা তেমন বেশি দরকারিও ছিল না আমার কাছে। মোবাইল ক্যামেরা আর অনেক অনেক গান নিয়েই খুশি ছিলাম। একদিন রাতের বাসে আমি , আম্মু , ছোট ভাই আব্বু যাত্রা করলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৪

একটা নতুন শুরু , আজ যে বড় প্রয়োজন...

রক্তকরবী বৃক্ষের ডালে নতুন ফুল এসেছে নববসন্তের। কৃষ্ণচূড়ার লালে প্রকৃতি আকুল ঋতুর রাণীর আগমনবার্তায়। পাখিদের কলতান চারদিকে।কুহেলিকার চাদর ভেদ করে এইতো আর কিছুদিনের মধ্যেই পাতায় পাতায় দেখা দিবে নতুন মুকুল । রক্তিম গোলাপ , সাদা বকুল আর শুভ্র বর্ণা রজনীগন্ধার মিষ্টি সুবাসে প্রকৃতি বরণ করে নেবে তার চির আরাধ্য বসন্তকে।বাঙালি হৃদয়ের রক্তপলাশ ফোটার মাস এ বসন্ত । অমর একুশের ঋতু , প্রজন্মের জাগরণের অক্ষয় স্মারক, জাগ্রত ইতিহাস এই বসন্ত । চির সবুজ বাংলার বুকে বসন্ত চিরকাল বেজেছে গণদাবী হয়ে। জানিয়ে দিয়েছে বাঙালি রক্তকমলে মালা গাঁথতে জানে। রক্তের দামে আদায় করতে জানে প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে। বসন্ত ভালবাসার , বসন্ত বিপ্লবের। বসন্ত শীতের রিক্ততাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নব অরুণোদয়ের পথে শুভযাত্রার। গণদাবী বেঁচে আছে , বেঁচে থাকবে চিরকাল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সারা বাংলাদেশ যে নতুন সূর্যের পথে যাত্রা শুরু করেছিল , প্রায় এক বছর পর দাঁড়িয়ে আজ দেখতে পারছি সেই যাত্রার প্রাপ্তি গুলো। কিশোর - কিশোরী স্কুল -কলেজ ফাঁকি দিয়ে , শাহবাগ যাওয়ার অপরাধে (!!!) কলেজ থেকে বহিস্কার হয়ে , কিংবা আরও অনেক বাধা অতিক্রম করে ছুটে গেছে প্রজন্ম চত্বরে। তরুন - তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস , পরীক্ষা বর্জন করে এসে সামিল হয়েছে নবজাগরণের জয়যাত্রায়।সত্যি , সেই আগুন ঝরা দিন গুলোর কথা আজও অক্ষয় হয়ে আছে। সারা জীবন থাকবে। প্রজন্ম চত্বরে যতক্ষণ থাকি - সব কষ্ট ভুলে যেতে পারি আমি। জানি , এই দেশ আমার মা। মায়ের বুক থেকে মায়ের খুনিদের তাড়াতে আমাদের সংগ্রাম। অগনিত মানুষ একসাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া , শপথ নেয়া - দিনগুলো কক্ষনো ভুলার মত নয়। নিজেকে খুব বেশি ভাগ্যবান মনে করি এই আন্দোলনের অংশ হতে পেরে।

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

অন্ধকারে পূবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি ...

প্রভাতী সূর্যের প্রথম কিরণে সূচনা হয় একটি দিবসের। একটি দিন , অল্প কিছু সময় ; তার মধ্যেও কত স্বপ্নের ইতিহাস লেখা হয় কে তার হিসাব রাখবে। সাদা পায়রাগুলো এলোমেলো উড়তে থাকে আকাশ জুড়ে। নীল আকাশটাকে একেবারে আচ্ছন্ন করে রেখেছে কুহেলিকার চাদর। এর মধ্যেই আবছায়ার মত চোখে পরে দূরের গাছপালা , দূরের শহর। শুভ্র মায়াচ্ছাদন ভেদ করে প্রভাতী সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পরেছে নিঝুম ধরণীটিতে। নিদ্রাকাতর পৃথিবী জাগতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। বারান্দার পাশে নারিকেল গাছটির দুটো পাতার মাঝখান থেকে রাতে উঁকি দিয়েছিল গোল রুপালি থালার মত একটা চাঁদ। এখন সেখানেই সূর্যালোকের রঙিন বর্ণচ্ছটা। এক সুতীব্র আঁধারের পর আলোকের বহ্নিশিখা। সাদা পায়রাদুটি যদি একটু বিশ্রাম নিতে চাঁদের আলোয় এসে বসত নারিকেল গাছটার উপর ; রুপালি চাঁদ আর এই পুরো দৃশ্যকল্পটা কেমন হত ? মনের ক্যানভাসে ধরে রাখতাম চিরকাল সেই ছবিটিকে - যেমনভাবে ধরে রেখেছি প্রজন্ম চত্বরকে।

দূরের শহরটা অনেক বেশি দূরে তো নয়। নদীর ওপারেও হয়ত এপারের মতই লক্ষ দীর্ঘশ্বাসের মাঝে মায়াবী স্বপ্ন বোনে কোন তরুণী। চার দেয়ালের বাইরে পা রাখার একটা স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা। চারপাশে অবিরাম জীবনের প্রবাহ। সংগ্রাম , শুধুই সংগ্রাম চারদিকে। প্রজন্ম চত্বরের সংগ্রাম , মা বাংলাদেশের জন্য। পথে - প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো একটা শিশুর সংগ্রাম , পরিবারের জন্য দুমুঠো অন্ন যোগানোর। চতুর্দিকে বিচিত্র রকম ভালোবাসা , আর সে ভালোবাসার জন্যই অনন্ত সংগ্রাম। এদেশের মানুষগুলোর যে লড়াইয়ের সাথে জন্ম-জন্মান্তরের  ভালবাসার সম্পর্ক। জন্মেই শিশুরা এখানে দেখে ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি। অবাক পৃথিবী বারংবার অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয় ; চারিদিকে এত মৃত্যুর কারবারের মধ্যেও এ মানুষ গুলোর মাথা তুলে দাঁড়ানোর ক্ষমতা দেখে। অবিরাম বোমার আঘাতের মাঝেও প্রজন্ম যোদ্ধারা দুচোখ মেলে এগিয়ে যান লক্ষ্যের দিকে। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রক্তমাখা ব্যান্ডেজ মাথায় আবার স্লোগান তোলেন সন্তানের সাথে - জয় বাংলা বলে। এই প্রিয় মাতৃভূমির নাম বাংলাদেশ...
 

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪

এক মুঠো রোদ ধরতে চাই...

মায়াবী জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ আলো পরম মাতৃ মমতায় আচ্ছাদিত করে রেখেছে সমগ্র সৈকত টিকে। সাগরের উন্মাতাল জলরাশি আছড়ে পরেছে সমুদ্রতীরে , বালুবেলাকে স্নান করিয়ে দিয়ে আবার ফিরে চলেছে সমুদ্রগর্ভে । জ্যোৎস্নার মায়াবিনী আলোয় ভিজতে আসা জীবনের ভিড় চারপাশে। জীবনগুলো বারবার ঝাঁপিয়ে পরছে উত্তাল ঢেউএর সাগরের মাঝে, আহরণ করছে কিছু অমূল্য ঝিনুক কিংবা মুক্তো। পর্যটক দল হয়ত পরদিন খুব ভোরে এসে অর্থের বিনিময়ে খুব সহজেই নি...জেদের করে নিতে পারবে এই মুক্তো গুলোকে। কিন্তু , মাঝরাতে স্নিগ্ধ চাঁদের আলোয় চরাচরব্যাপী জ্যোৎস্নার মাঝে সমুদ্রে ডুবসাঁতার কেটে একটি মুক্তো আহরণ করে সঙ্গিনীর হাতে তুলে দেয়ার স্বর্গীয় আনন্দ তাদের অনুভবের জগত থেকেও অনেক দূরে। শিউলি মালা গাঁথতে গিয়ে গ্রাম্য কিশোরীর মুখে ফুটে ওঠা হাসি , কিংবা দাওয়ায় বসে নকশী কাঁথার বুকে নিজের জীবনের স্বপ্নকে ফুটিয়ে তোলার অপার্থিব আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাবে না কোন ফাইভ স্টার হোটেল বা অত্যাধুনিক পার্টি হলে...

মৌসুমি হাওয়া হয়ত শুনতে পায় অগ্রসরমান জাহাজের পদধ্বনি ; অনাগত ভবিষ্যতের দুর্নিবার জলস্রোতের আশায় পথ গোনে হাজার ক্লান্ত পথিক। জাহাজ একদিন এসে কূলে পৌঁছায় , মাঝিমাল্লারা নেমে আসে ; নেমে আসে জাহাজের ক্যাপ্টেন। অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতের মধ্যে সুনির্দিষ্ট যোগসূত্র রেখাই যে যোদ্ধাদের টেনে এনেছে এই বর্তমানে। তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়ে ৪২ বছরের সমুদ্রযাত্রা শেষে জাহাজ এসে পৌঁছেছে প্রজন্ম চত্বরে। দুর্যোগের ঘনঘটা ছাপিয়ে আকাশ -বাতাস কাঁপিয়ে আজ শুধুই মুক্তির গান। তিমিরবিদারী তারুন্য যে আজ পৌঁছে গেছে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে। মানবতার মুক্তির জয়গান গেয়ে জাগ্রত প্রজন্ম বিজয় এনেছে আবার , অগ্রজ মুক্তিসেনার আশীর্বাদ আর বীরাঙ্গনা মায়ের অমর কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান এই প্রজন্ম যোদ্ধাদের পথের পাথেয়। হাতিয়ার ? অক্ষয় দেশপ্রেম আর দুর্জয় স্লোগান ; যে স্লোগান যুগে যুগে ভিত কাপিয়ে দিয়েছে শাসকের , শোষকের , পাকিস্তানের আর রাজাকারের।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

স্বপ্ন দেখব বলে , আমি দুচোখ পেতেছি...

স্বপ্নচারী মায়ার চাদরে আচ্ছন্ন শহরটাতে প্রতি মুহূর্তে লেখা হচ্ছে কত সহস্র স্বপ্নের ইতিহাস। কত আশা ভালোবাসার কত ভাঙাগড়া এই ইট পাথরের শহরটাতে প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলেছে মহাকাল হয়ত বা তার সময়ের পাতায় লিখে রাখে চিরকাল নীরব হয়ে থাকা অস্পৃশ্য মানব মানবীর সেই অনুচ্চারিত উপাখ্যানগুলো। জানি না অজানা কোন এক জগতে কখনও লেখা হয়ে থাকে কিনা স্বপ্নগুলোর এই সব ভাঙ্গা গড়ার গল্প। নিজের অজান্তে অজানায় অতীত কখন সামনে এ...সে দাঁড়ায় জীবনের সাঁঝ বেলায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের। হয়ত , আমাদের পরিচিত জগত থেকে ; পরিচিত পৃথিবী থেকে অনেক দূরে কোন এক সংরক্ষানাগারে লিপিবদ্ধ হয় কালের অক্ষত ইতিহাস। ভবিষ্যৎ মানবের সামনে এগুলো যে হয়ে দাঁড়াবে প্রাচীন পুঁথি। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় অতীতের গুহামানবের; পাথরের বুকে যারা জন্ম দিয়েছিল চিত্রকলার। চরম বাস্তবতা হয়ে একদিন হয়ত তাঁরাই দাঁড়াবে বর্তমানের সামনে ...

অস্ত্রের ঝংকার ছাপিয়ে একদিন গর্জন করে উঠবে শাশ্বত মানবপ্রেমের বাণী। বন্দী বালিকা , জেনে রেখ - সময় আসবে তোমার রুদ্ধদ্বার খুলে যাওয়ার। জেনে রেখ , বুলেট আর বোমার ধ্বংসের সীমা ছাড়িয়ে একদিন তোমার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ ঝংকার তুলবে। সেদিন আবার প্রেম হবে মানুষের সাথে মানুষের। বালিকা , জেনে রেখ একদিন তুমিও মানব পরিচয় পাবে। রাত পোহাবার কত দেরি জানি না , শুধু জানি জীবনের রথ চলমান। চলমান জীবনস্রোতেই ভেসে থাকতে হবে তোমাকে , একাকীত্বকে সঙ্গী করে ; কঠিন বাস্তবতাকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে। বালিকা , চেয়ে দেখ - কুয়াশার চাদর ভাদ করে সূর্যের দুটি আলোকরশ্মি যেন তোমার কারাগারে এসে পরেছে !!! বালিকা , দুফোটা জ্যোৎস্নার জন্য না তুমি ছটফট কর; জানালার শিকগুলোর ফাঁক দিয়ে কিছু জ্যোৎস্নাও যেন আজ তোমার হাতে এসে পৌঁছেছে। দুচোখ ভরে দেখ বালিকা , তোমার সীমা যে এতোটুকুই। উন্মুক্ত প্রান্তরে চন্দ্রস্নান করার অধিকার তোমার থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে বহুকাল আগেই...

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪

প্রজন্মের আহ্বান , নিপাত যাক পাকিস্তান...

আসছে এশিয়া কাপ ২০১৪...

বরাবরের মত ক্রিকেটপাগল আমাদের বাংলাদেশে আবার লাগবে উৎসবের ঢেউ। দল -মত পরিচয় নির্বিশেষে সব বাঙালি এক হতে পারে এই একটা মাত্র বিন্দুতে , আর তা হল ক্রিকেট। সাকিব - মুশফিকদের সাথে সারা বাংলাদেশ এক সুরে কাঁদে , হাসে। এগারোজন ক্রিকেটার হয়ে দাঁড়ান আমাদের প্রত্যেকের পরম আপনজন , এদেশের প্রত্যেকটা মায়ের সন্তান...

এবারের এশিয়া কাপে আবারও বিস্ফোরণ ঘটবে বাংলাদেশের প্রতি বাঙ্গালিদের পর...ম ভালবাসার। লাল - সবুজ পতাকা বেঁধে আবার স্টেডিয়ামে যাব আমরা , মেতে উঠবো বাংলাদেশ , বাংলাদেশ বলে। খেয়াল রাখতে হবে - এবারে যেন আমরা কেউ কোনরকম যুক্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করার কথা না ভাবি...

মনে রাখবেন , পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট দেয়া মানে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের দামে কেনা পতাকাকে অবমাননা করা। পাকিস্তানিদের হাতে ধর্ষিতা বীরাঙ্গনা মাকে অবমাননা করা। মনে রাখবেন , আপনি যদি "ম্যারি মি আফ্রিদি" লিখে ব্যানার নিয়ে স্টেডিয়ামে যান , তাহলে ঠিক আপনার বয়সী সেই মেয়েটির রক্তের উপর দিয়ে পা ফেলে গেলেন , যে মেয়েটিকে ছিঁড়ে -কুঁড়ে খেয়েছিল এই পাকিস্তানি হায়েনারাই...

You may say I am a dreamer , but I am not the only one...

প্রিয় উপন্যাসের সবচেয়ে সুন্দর ঘটনাটির চেয়েও একজন মানুষের গল্প অনেক বেশি আপন , অনেক বেশি সুন্দর।প্রতিটা জীবনের এক একটি গল্প থাকে, প্রতিটা মানুষের একটা করে গল্প শোনাবার থাকে।একজন কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ফসল ফলান , সেই প্রত্যেক কণা ফসলের দানার মাঝে এক একটি গল্প লুকিয়ে থাকে, লুকিয়ে থাকে এক একটি জীবনের স্বপ্ন। প্রজন্ম চত্বরের প্রত্যেকটা হাতের উদ্যত মশালের মাঝে এক একটি স্বপ্ন থাকে - রাজাকারমুক্ত নতু...ন আগামীর স্বপ্ন। ছোট্ট শিশুর এক একটি পদক্ষেপ আর আধো আধো বুলিতে মা ডাকের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যৎ জীবনের অজানা কত স্বপ্ন। শিশু জানেনা পৃথিবী কত কঠিন, তবুও তো নতুন স্বপ্ন খেলা করে তার অবুঝ দুই চোখের মাঝে। মানুষ স্বপ্ন দেখতে শেখে, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মিশেলে সাজাতে চায় জীবনকে।

হয়ত একটা ঘটনা , দশ কি পনের মিনিট - সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টার একটি ঘটনা - রাজাকার কাদের কসাইয়ের ফাঁসি। কিন্তু এই আধা ঘণ্টার ঘটনাটির পিছনে কত জীবনের , কত স্বপ্নের ইতিহাস যে লুকিয়ে আছে - ইতিহাস তার পাতায় হয়ত লিখে রাখবে সেসব স্মৃতি। আজ প্রায় একমাস হতে চলেছে , শত সহস্র প্রজন্ম যোদ্ধার ঘর্মাক্ত হাতে উদ্যত মশাল, মা -বোনের অশ্রুজল , প্রেমিক নব্য রাজাকার জেনে প্রেম ভেঙ্গে দিয়ে শাহবাগে ছুটে আসা প্রেমিকার অঝোর অশ্রুজল আর দীপ- রাজীব - শান্ত - জগতজ্যোতি - জাফর মুন্সির জীবনের বিনিময়ে পাওয়া বিজয় - রাজাকারের ফাসির। কিন্তু এখনও সেই আনন্দ এতোটুকু ম্লান হয়ে যায়নি আমার কাছে। বিজয়ানন্দ হয়ত একেই বলা হয়। জীবনের শ্রেষ্ঠ বিজয় অনুষ্ঠানের প্রতিটা মুহূর্ত অন্তরে গেঁথে আছে এখনও। প্রতিশোধ নিয়েছি আমরা , পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম প্রতিশোধ। শহীদের রক্তের প্রতিশোধ , মায়ের অশ্রুর প্রতিশোধ...

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

আমার বাংলাদেশ -আঁধার পথে চলতে দেব না / আমার বাংলাদেশ - বিভাজনে জ্বলতে দেব না...

হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাসের পাতা থেকে জেগে ওঠা একটি দেশের নাম বাংলাদেশ , সেই সংগ্রামী জাতির নাম বাঙালি জাতি। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বাঙালি কখনও পিছপা হয়নি - ইতিহাস সাক্ষী। আর সেজন্যেই বাংলাদেশটাকে নিয়ে কখনও আশা হারাই না , আশা হারাবার জন্য যে বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। সাম্প্রদায়িক হানাহানি , বিদ্বেষ , নারী নির্যাতন - অনেক অনেক খারাপ খবরের মাঝেও আশার আলো খুঁজে পাই। বার্ন ইউনিটে দগ্ধ মানুষগুলোকে দেখে কাঁদি , কিন্তু জানি সোনার বাংলার গল্পটা এখানেই শেষ নয়। এইসব হামলাকারী কিংবা দেশবিরোধী , স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে মানুষের জাগরণ এই মুহূর্তে দেখায় আশার আলো। ২০১৪ সালের শুরুটাই হল সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদের ইতিহাস হয়ে। আমার সোনার বাংলাদেশ এভাবেই জেগে থাকবে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আজীবন।

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ ও নির্যাতিতদের সাহায্য প্রদান কর্মসূচীতে বিভিন্ন জায়গায় , এক একটি পথসভায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের খবরগুলো দেখছি , পড়ছি , জানছি - আর নিজে যেতে না পারার কষ্টটা আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে। পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি যেতে পারিনি। কিন্তু আমার ভাইয়েরা , বোনেরা , বন্ধুরা , সহযোদ্ধারা সেখানে আছেন। গণজাগরণ মঞ্চ পাশে দাঁড়িয়েছে যশোরের সেই মানুষগুলোর - হয়ত একটু হলেও আঘাতপ্রাপ্ত মানুষগুলো মানুষের উপর বিশ্বাস ফিরে পাবেন আবার। প্রজন্ম চত্বর যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো দেশের কোটি কোটি তরুণের মনে জ্বালিয়ে দিয়েছিল - সেই আলো এখনও নিভে যায়নি - জেগে আছে জামাত -শিবির , রাজাকার , দেশবিরোধী - স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

Let there be light....

  • প্রতিদিন ব্যস্ত নাগরিক জীবনে কত ঘটনার অবিরাম প্রবাহ আমাদের চারপাশে। কত হাসি - কান্নার খেলা , কত স্বপ্নের কত রকম ভাঙ্গাগড়া। কখনো রাজাকারের ফাঁসি হওয়ার আনন্দে ভাসি সারা দেশ, কখনও বাংলাদেশের কোন গৌরবময় অর্জন শত দুঃখের মাঝেও হাসি ফোটায় আমাদের যান্ত্রিক হৃদয়গুলোতে। আবার কখনও সাভার ট্র্যাজেডি , রামু , ফেলানি কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ে বলি অসংখ্য মানুষের চিত্র অসহায় আক্রোশে কাঁদায়। সত্যি বিচিত্র এক জাতি আমরা। নীরবতায় আমরা অভ্যস্ত , কিন্তু বাঙালি একবার যখন জেগে ওঠে তখন দাবি আদায় করেই সমাপ্তি ঘটায়। বাঙ্গালির জাগরণ মানে অনেকদিনের পুঞ্জীভূত বেদনার অশ্রুজল একসাথে সামনে চলে আসা। বাঙ্গালির জাগরন মানে অনেক অনেক দিনের লুকিয়ে রাখা ক্ষোভ , যন্ত্রণা স্লোগানে স্লোগানে মূর্ত হয়ে ওঠা। আর সেজন্যেই বাঙালির জেগে ওঠা বিষয়টা শোষকশ্রেণীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যার প্রমাণ বায়ান্ন , উনসত্তর , একাত্তর কিংবা ২০১৩। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বারবার জেগে উঠেছে বাংলা মায়ের জন্য - কখনও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় , কখনও প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য , কখনও প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে - কখনও বা পরাজিত হায়েনার দল রাজাকারের ফাসির দাবিতে। বলাবাহুল্য , কোন জাগরণই বৃথা যায়নি বাঙ্গালির - বরং এক জাগরণ পথ দেখিয়েছে আরেক জাগরণের , এক জাগরন ইতিহাস হয়ে প্রতিবাদের বহ্নিশিখা ছড়িয়ে দিয়েছে সহস্র কোটি অন্তরে। সারা বাংলার আকাশ -বাতাস জুড়ে যুগে যুগে বারবার ধ্বনিত -প্রতিধ্বনিত হয়েছে "জয় বাংলা" স্লোগান।

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪

একটি বাংলাদেশ , তুমি জাগ্রত জনতার...

  • বাংলাদেশ আমাদের সবার , বাংলাদেশ প্রত্যেকটা বাঙালির প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি। আর তাই যুগে যুগে একতাবদ্ধ হয়ে সবরকম অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বাঙালি। আজ সময় এসেছে আবার রুখে দাঁড়ানোর , সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের , হানাহানির বিরুদ্ধে। রক্তের দামে বোনের সিঁথির সিঁদুর রক্ষা করার শপথ নেয়ার মাহেন্দ্রক্ষন আজ। প্রিয় , ফুল খেলবার দিন নয় আজ , ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা। ধ্বংসের মুখোমুখি আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস , ঐতিহ্য , ভ্রাতৃত্ববোধ , সম্প্রীতি। ধ্বংসের মুখোমুখি মানবতা , ধ্বংসের মুখোমুখি পারস্পারিক সকল সুসম্পর্ক , শুভকামনা আর হাসি - খেলার ইতিহাসের পাতা। রাম রহিমের দেশে আজ ছড়ানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প। নির্বাচন , গণতন্ত্র , রাজনীতি , ক্ষমতার লড়াই - এসব থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশের নিভৃত পল্লীতে যে সজলা মাসী আর রহিমা বুবু একসাথে বসে নকশী কাঁথা বুনেছে আজীবন ধরে , সেই সরলা মাসীর ঘরে আজ আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সজলা মাসীর অপরাধ , সে হিন্দু। সজলা মাসীর অপরাধ , সে ভোট দিতে গিয়েছিল। হ্যা , ভোট দিতে রহিমা বুবুও গিয়েছিল - কিন্তু ঐযে , সজলা মাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বী। সমাজ তার গায়ে লাগিয়ে রেখেছে "সংখ্যালঘু" নামের এর ঘৃণ্য পরিচয়। সমাজ তাকে "আশ্রিত" বলে অভিহিত করতে স্বস্তিবোধ করে , মানুষ বলে নয়। রহিমা বুবু হয়ত কাঁদেন সজলা মাসীকে জড়িয়ে ধরে , পাশে থাকতে চান মাসীর। কিন্তু সজলা মাসীরা যে আর পারছেন না। পূর্বপুরুষদের রক্তের দামে , জীবনের দামে স্বাধীন করা বাংলাদেশে ঘাতক জামাত -শিবির আজও তাদেরকে চিহ্নিত করে আক্রমণ করে , সেই একাত্তরের মতই। একাত্তরে হয়ত সজলা মাসীর বাবা গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে , মা ছোট ছোট দুটি সন্তান নিয়ে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ আর পার্শ্ববর্তী ভারতে ছুটে বেড়িয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। আজকে বাংলাদেশ তো স্বাধীন , কিন্তু সজলা মাসীদের কেন থাকতে হবে নিজ দেশে পরবাসী হয়ে ?

"বাংলাদেশ" অনন্ত -অক্ষত মূর্তি জাগে ...

  • সাদা কাশফুলের মত মেঘগুলো শুভ্র আকাশে এলোমেলোভাবে উড়ে জানিয়ে দেয় ঋতুর রাণী শরতের আগমনবার্তা। সেই সাদা মেঘগুলোই কখনো ঘন কালো হয়ে বর্ষা হয়ে ঝরে পরে , কখনো বা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ ঘোষণা দেয় গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। কৃষকের মুখে সোনালি হাসি আর গোলাভরা সোনালি ধান সাক্ষ্য দেয় হেমন্তের , কুয়াশাচ্ছন্ন পথঘাট জানিয়ে দেয় শীতের আর বেশি দেরি নেই। ঋতুরাজ বসন্ত হাজির হয় কৃষ্ণচূড়ার রক্তলাল রঙ সারা অঙ্গে মেখে। এমনি ঋতু বৈচিত্রের দেশ , অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। একই অঙ্গে নানা রকম আভরণে প্রতিনিয়ত সেজে ওঠে বাংলা মা , কিন্তু সবকিছুর উপরে চিরন্তন শাশ্বত বাংলা মায়ের মূর্তি , লাল -সবুজের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের চিত্র। বাংলাদেশ , বাঙালি পরস্পরের সাথে এক সুতীব্র ভালোবাসার বন্ধনে বাধা। সে বন্ধন মায়ের সাথে সন্তানের বন্ধন। জন্মদাত্রী মাকে একজন বাঙালি যতটা ভালবাসে-ঠিক ততটাই ভালোবাসে জন্মভূমি বাংলা মাকে। স্বর্গের চেয়েও এই মাতৃভূমি আমাদের কাছে প্রিয় , তাই মুক্তির মন্দির সোপানতলে প্রাণ বলিদান করতে প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত থাকে বাংলাদেশের মানুষ। সেরকম অনেক ত্যাগ , অনেক অশ্রুর বিনিময়েই আজকের বাংলাদেশ। তাই বাঙালি এক ফিনিক্স পাখির নাম , মাতৃভূমির প্রশ্নে যে অনন্ত প্রহরী হয়ে জেগে থাকে আজীবন। আর সেজন্যই এত দারিদ্র্য , দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম সুখী দেশগুলোর একটি।