আজ বিকালে ঘুরে আসলাম বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। প্রথমেই দেখলাম একের পর এক কামান সাজিয়ে রাখা হয়েছে, খুব গর্ব হল যখন এগুলোর অধিকাংশের গায়েই লেখা দেখলাম মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের স্মারক এই কামানগুলো। এরপর দেখলাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ডকুমেন্টারি। ৭ ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটা যখন দেখানো হচ্ছিল, স্থান কাল পাত্র ভুলে "জয় বাংলা..." বলে চিৎকার করে উঠেছিলাম। ভুলেই গিয়েছিলাম যে জায়গাটা শাহবাগ... প্রজন্ম চত্বর না! আসলে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে, রক্তে আগুনধরা এ স্লোগানগুলো শুনলে সাথে কণ্ঠ মেলানোর।প্রিয় গণজাগরণের আগে এমনটা করা হয়ত কল্পনাতীত ছিল।
সত্যি, ঐ ডকুমেন্টারি দেখতে গিয়ে আমি চোখের পানি আটকাতে পারিনি। নিজেকে সামলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম বারবার কিন্তু যখন দেখানো হল একটি বীরাঙ্গনা মেয়েকে, পাক বাহিনী পাশবিক লালসা চরিতার্থ করার পর যার মাথায় গুলি করে ফেলে গিয়েছে, সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে নাম লিখিয়েছে শহীদের খাতায়; কিংবা শরণার্থী শিবিরের আট লাখ মৃত শিশু, বাংলার আনাচে কানাচে, রণক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা ত্রিশ লক্ষ শহীদ... এক জন নয়, দুইজন নয়, ত্রিশ লক্ষ। কারাগারে বন্দী জাতির পিতা, সেলের সামনে খোড়া হচ্ছে কবর। তারপরেও পিতা বলে যাচ্ছেন, "আমার মৃত্যুর পর লাশটা আমার বাঙ্গালির কাছে দিয়ে দিও..."
ডকুমেন্টারি দেখা শেষ হবার পর কিছুক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম সত্যি। কত বড় একটা কাজে আমরা হাত দিয়েছি এটা বুঝতে পারছিলাম অনেকটা। এই যে মেয়েটার মৃত্যু দেখে আমি বাচ্চা মানুষের মত কান্নাকাটি করছি, এই মেয়েটার মৃত্যুর বদলা নেয়ার জন্য আমরা লড়ছি। এইযে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনার কথা শুনে আমি কাঁদছি, এই প্রত্যেকটা রক্তের, প্রত্যেকটা অত্যাচারের বদলা নিতে আমরা লড়ছি। হ্যা, অনেকটা পেরেছি আমরা। তবু পথটা এখনও অনেক বাকি। এ লড়াই থেকে এক পা পিছনে সরে যাওয়া মানে পাক বাহিনীর হাতে ধর্ষিতা হয়ার পর মাথায় গুলি খেয়ে অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে বীরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেয়া ঐ মেয়েটার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
না, আমি তা পারব না। কোনও মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই আমি তা পারব না। তাই গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আছি, থাকব। প্রয়োজনে সেই ফেব্রুয়ারির মত আবার দিনরাত শাহবাগে অবস্থান করতে প্রস্তুত আছি। একবার নয় বারবার প্রস্তুত আছি সব বাধা অতিক্রম করে এক একটা বিজয় ছিনিয়ে আনতে। আমি জানি এত বার এতরকম বাধা আসার পরও, এত আঘাত আসার পরও যারা এখন পর্যন্ত শাহবাগকে আঁকড়ে ধরে আছেন, এই যোদ্ধাদের কোন কিছুই আর কখনও টলাতে পারবে না দাবি আদায়ের উত্তাল রাজপথ থেকে।আজকে এই ডকুমেন্টারি দেখার পর থেকে সত্যি অন্যরকম একটা উপলব্ধির মধ্যে আছি। বাংলাদেশ শব্দটা যে কত প্রিয়, জয় বাংলা স্লোগানটা যে কত আপন হারে হারে টের পাচ্ছি।
এরপর বই কিনলাম। মুক্তিযুদ্ধের বই। সদেরা সুজনের "আমাদের দেখা ১৯৭১" আর আবদুল হাসিবের "বালকের চোখে দেখা '৭১"। বইগুলো পড়া শুরু করব আজ রাতেই। বই কিনে এরপর পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখলাম। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল সেনাবাহিনী আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর্কাইভ দেখলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কিছুক্ষন কামান আর চারপাশের প্রকৃতির ছবি তুলে ঘরে ফিরলাম....।
আমার বাংলাদেশ, আঁধার পথে চলতে দেব না
আমার বাংলাদেশ, বিভাজনে জ্বলতে দেব না।
জয় বাংলা...
সত্যি, ঐ ডকুমেন্টারি দেখতে গিয়ে আমি চোখের পানি আটকাতে পারিনি। নিজেকে সামলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম বারবার কিন্তু যখন দেখানো হল একটি বীরাঙ্গনা মেয়েকে, পাক বাহিনী পাশবিক লালসা চরিতার্থ করার পর যার মাথায় গুলি করে ফেলে গিয়েছে, সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে নাম লিখিয়েছে শহীদের খাতায়; কিংবা শরণার্থী শিবিরের আট লাখ মৃত শিশু, বাংলার আনাচে কানাচে, রণক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা ত্রিশ লক্ষ শহীদ... এক জন নয়, দুইজন নয়, ত্রিশ লক্ষ। কারাগারে বন্দী জাতির পিতা, সেলের সামনে খোড়া হচ্ছে কবর। তারপরেও পিতা বলে যাচ্ছেন, "আমার মৃত্যুর পর লাশটা আমার বাঙ্গালির কাছে দিয়ে দিও..."
ডকুমেন্টারি দেখা শেষ হবার পর কিছুক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম সত্যি। কত বড় একটা কাজে আমরা হাত দিয়েছি এটা বুঝতে পারছিলাম অনেকটা। এই যে মেয়েটার মৃত্যু দেখে আমি বাচ্চা মানুষের মত কান্নাকাটি করছি, এই মেয়েটার মৃত্যুর বদলা নেয়ার জন্য আমরা লড়ছি। এইযে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ বীরাঙ্গনার কথা শুনে আমি কাঁদছি, এই প্রত্যেকটা রক্তের, প্রত্যেকটা অত্যাচারের বদলা নিতে আমরা লড়ছি। হ্যা, অনেকটা পেরেছি আমরা। তবু পথটা এখনও অনেক বাকি। এ লড়াই থেকে এক পা পিছনে সরে যাওয়া মানে পাক বাহিনীর হাতে ধর্ষিতা হয়ার পর মাথায় গুলি খেয়ে অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে বীরের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেয়া ঐ মেয়েটার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
না, আমি তা পারব না। কোনও মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই আমি তা পারব না। তাই গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আছি, থাকব। প্রয়োজনে সেই ফেব্রুয়ারির মত আবার দিনরাত শাহবাগে অবস্থান করতে প্রস্তুত আছি। একবার নয় বারবার প্রস্তুত আছি সব বাধা অতিক্রম করে এক একটা বিজয় ছিনিয়ে আনতে। আমি জানি এত বার এতরকম বাধা আসার পরও, এত আঘাত আসার পরও যারা এখন পর্যন্ত শাহবাগকে আঁকড়ে ধরে আছেন, এই যোদ্ধাদের কোন কিছুই আর কখনও টলাতে পারবে না দাবি আদায়ের উত্তাল রাজপথ থেকে।আজকে এই ডকুমেন্টারি দেখার পর থেকে সত্যি অন্যরকম একটা উপলব্ধির মধ্যে আছি। বাংলাদেশ শব্দটা যে কত প্রিয়, জয় বাংলা স্লোগানটা যে কত আপন হারে হারে টের পাচ্ছি।
এরপর বই কিনলাম। মুক্তিযুদ্ধের বই। সদেরা সুজনের "আমাদের দেখা ১৯৭১" আর আবদুল হাসিবের "বালকের চোখে দেখা '৭১"। বইগুলো পড়া শুরু করব আজ রাতেই। বই কিনে এরপর পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখলাম। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল সেনাবাহিনী আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর্কাইভ দেখলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কিছুক্ষন কামান আর চারপাশের প্রকৃতির ছবি তুলে ঘরে ফিরলাম....।
আমার বাংলাদেশ, আঁধার পথে চলতে দেব না
আমার বাংলাদেশ, বিভাজনে জ্বলতে দেব না।
জয় বাংলা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন